ভারতে অবৈধভাবে বসবাসের অভিযোগে গত শনিবার গুজরাট রাজ্যের সুরাটের চান্ডোলা লেক এলাকা থেকে কয়েক শতাধিক ‘বাংলাদেশিকে’ গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। এবার সেই অনুপ্রবেশকারীদের অবৈধ স্থাপনাগুলো ভেঙে ফেলছে স্থানীয় প্রসাশন। 

মঙ্গলবার সকালে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে আমেদাবাদ মিউনিসিপাল করপোরেশন (এএমসি) এর উদ্যোগে এই অবৈধ স্থাপনাগুলো ভেঙে ফেলার কাজ শুরু হয়। এসময় মোতায়েন ছিল প্রায় দুই হাজার পুলিশ সদস্য। 

আমেদাবাদের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) শারদ সিংহল বলেন, “চাণ্ডোলা লেক পার্শ্ববর্তী সিয়াশতনগর বাংলা ভাস এলাকায় সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি নাগরিক বসবাস করে।”

এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “এর আগে ২০০৯ সালে এই উচ্ছেদ অভিযান চলেছিল। পরে আবার অবৈধভাবে স্থাপনাগুলো নির্মাণ করা হয়। সাম্প্রতিক জরিপে আমেদাবাদ মিউনিসিপাল করপোরেশন জানতে পারে যে, সরকারি জমিতে এই অবৈধ স্থাপনাগুলো নির্মাণ করা হয়েছে। সেই মোতাবেক আজকে এই ডেমোলিশনের কাজ চলছে। এই অভিযানকে কেন্দ্র করে যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি না ঘটে বা কারো যাতে প্রাণ না চলে যায়- সেদিকে লক্ষ্য রেখে পুলিশি বন্দোবস্ত রাখা হয়েছে। এই লক্ষ্যে ৫০ টি জেসিবি কাজ করছে। পাশাপাশি প্রায় দুই হাজার পুলিশ কর্মী মোতায়েন রাখা হয়েছে।”

ভারতীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) রাত থেকে শনিবার (২৬ এপ্রিল) ভোর পর্যন্ত অভিযানে ১ হাজার ২৪ জন বাংলাদেশিকে আহমেদাবাদ ও সুরাট থেকে আটক করা হয়। শুধু আহমেদাবাদ থেকেই ৮৯০ বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে। সুরাট থেকে ১৩৪ বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে। 

ভালসাদ পুলিশ সুপার করণরাজ বাঘেলা বলেন, “এই বিদেশী নাগরিকরা বাংলাদেশ থেকে নেপালে চলে যান। এরপর নেপাল থেকে অবৈধভাবে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করে সেখান থেকে গুজরাটে আসেন। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে এবং পরে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে।”

শাহেদ/সুচরিতা

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রব শ

এছাড়াও পড়ুন:

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম মো. আরিফুল। শুক্রবার বেলা এগারোটার দিকে তিনি ভবন থেকে পড়ে যান বলে জানা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রের কর্তব্যরত চিকিৎসক নিংতম বলেন, বেলা এগারোটার দিকে কয়েকজন ওই শ্রমিককে নিয়ে আসেন। অবস্থা গুরুতর দেখে তখনই তাঁকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

নির্মাণাধীন ভবনটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মোমিনুল করিম শুক্রবার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ভবনটির নির্মাণকাজ বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। তবে কিছু শ্রমিক ওই ভবনে থাকেন। দুপুরের দিকে তিনি জানতে পারেন একজন শ্রমিক ভবন থেকে পড়ে গেছেন। তাঁকে এনাম মেডিকেলে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিলো। সন্ধ্যাবেলায় তাঁকে জানানো হয় ওই শ্রমিক মারা গেছেন।

তবে এনাম মেডিকেলের ডিউটি ম্যানেজার সুলতান প্রথম আলোকে বলেন, জাহাঙ্গীরনগর থেকে একজন রোগীকে আনা হয়েছিল। উনি ছাদ থেকে পড়ে গেছেন বলে জানানো হয়। মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই তিনি মারা যান।

শুক্রবার রাত পৌনে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক একেএম রাশিদুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি আধা ঘণ্টা আগে খবর পেয়েছি। সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। এমন একটি ঘটনা আমাদের আগে জানানো হয়নি কেন, তা জিজ্ঞাসা করেছি। বিষয়টি প্রো-ভিসি (এডমিন) দেখছেন।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ