প্রাপ্তবয়স্কদের প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হওয়ায় অনেকে পর্নো তারকা বলেছে:
Published: 30th, April 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন মডেল-অভিনেত্রী পিয়া বিপাশা। লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শোবিজে পথচলা শুরু হলেও, সিনেমায় নিজের জায়গা করে নিতে পারেননি। ডজনখানেক সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হলেও, নানা কারণে অধিকাংশ আলোর মুখ দেখেনি। পরবর্তীতে সবকিছু ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান।
বর্তমানে দেশটির নিউ ইয়র্কে একমাত্র মেয়েকে নিয়ে বসবাস করছেন পিয়া। সেখানে এক মার্কিন নাগরিকের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন, পরে বিয়েও করেন। যদিও এখনো আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়নি, তবে চলতি বছরের শেষের দিকে তা সম্পন্ন করার ইচ্ছা রয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
পিয়া বলেন, “বাংলাদেশে কাজ করতে ভালো লাগত না। লবিং ছাড়া ভালো কাজ হতো না। একটা ভালো সিনেমার কথা ছিল, কিন্তু সেটাও হয়নি। আমি কাজ করতে চেয়েছিলাম শুধুই অর্থ উপার্জনের জন্য। যখন দেখলাম সেটা সম্ভব নয়, তখনই সিদ্ধান্ত নিই অন্য কিছু করার।”
আরো পড়ুন:
হাসপাতালে অজিত কুমার
সিদ্দিককে লাঞ্ছিত, শিল্পীদের বিরুদ্ধে মামলা: যা বললেন অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি
বাংলাদেশে তার দাম্পত্য জীবনের ইতি ঘটার পর একমাত্র কন্যাসন্তানকে নিয়ে পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানেই জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করেন। পিয়া বলেন, “আমার মেয়ে ছিল, তাই টিকে থাকার জন্য কাজ করতে হতো। কিন্তু যেভাবে কাজ হয়, আমি তা পারতাম না। তাই সিদ্ধান্ত নিই দেশের বাইরে চলে যাওয়ার।”
পাঁচ বছর আগে দেশ ছাড়ার পর বাংলাদেশের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেন পিয়া। তিন বছর ইনস্টাগ্রামও বন্ধ রেখেছিলেন। গত এক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করছেন এবং নিয়মিত আয় করছেন বলেও জানান পিয়া।
প্রাপ্তবয়স্কদের একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হওয়া নিয়ে সমালোচনার মুখেও পড়েন পিয়া। এ অভিনেত্রী জানান, “পাঁচ মাসে সেখান থেকে ২ লাখ ১৭ হাজার ডলার আয় করেছি। কিন্তু অনেকেই না জেনে সমালোচনা করেছেন, কেউ কেউ পর্নো তারকা বলেও আখ্যা দিয়েছেন। এতে আমি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলাম, তাই সেখান থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছি।”
বর্তমানে স্থিতিশীল জীবন কাটাচ্ছেন পিয়া বিপাশা। তার ভাষায়, “এখন এমন অবস্থা, টাকা ইনকাম না করলেও চলে। যা আয় করি, তাও খরচ করার সময় পাই না। আমার স্বামী অনেক হিসেবি, সবসময় নতুন নতুন ব্যবসায় বিনিয়োগ করতে চায়।”
নিয়মিত জিম, স্বাস্থ্যসম্মত খাবার, এবং পোষা প্রাণীদের সঙ্গে সময় কাটিয়েই চলে তার দিন। পিয়া বলেন, “ভোর সাড়ে পাঁচটায় ঘুম থেকে উঠি। জিমে যাই, নিয়ম মেনে খাই। নিজের খেয়াল রাখি। আমার এখন আর কোনো স্বপ্ন নেই। যা চেয়েছি, গত পাঁচ বছরে সবই পেয়েছি— টাকাপয়সা, সুন্দর জীবন, প্রতিষ্ঠা, ভালো স্বামী।”
পিয়া বর্তমানে ইনফ্লুয়েন্সার ও মডেল হিসেবে কাজ করছেন। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের জন্য ছবি ও ভিডিও তৈরি করেন, যেগুলোর একাংশ তোলা হয় তার নিজের বাসায় তৈরি স্টুডিওতে। স্বামী ও মেয়ে মাঝে মাঝে ক্যামেরা ধরে তাকে সহযোগিতা করেন। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেতিবাচক মন্তব্য এড়াতে তিনি মন্তব্যের ঘর বন্ধ রেখেছেন।
খোলামেলা পোশাকে পিয়াকে দেখতে চান তার স্বামী। এ তথ্য উল্লেখ করে পিয়া বলেন, “কী জামা পরি, কেমন পোজ দিই— এসব নিয়েও মানুষ আজেবাজে মন্তব্য করেন। তবে আমার স্বামী এসব দেখে খুব খুশি হয়। সে চায় আমি খোলামেলা জামা পরি, এটা তার ভালো লাগে।”
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র করছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের বয়স শনাক্ত করবে গুগল
ব্যবহারকারীদের বয়স শনাক্তে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর (এআই) প্রযুক্তি চালু করতে যাচ্ছে গুগল। নতুন এ ব্যবস্থায় ব্যবহারকারীদের সার্চ ইতিহাস ও ইউটিউবে ভিডিও দেখার ধরন বিশ্লেষণ করে বয়স শনাক্ত করবে প্রতিষ্ঠানটি। প্রাথমিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারীদের বয়স শনাক্ত করা হবে বলে জানিয়েছে গুগল।
গুগল জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে এ প্রযুক্তি অল্পসংখ্যক ব্যবহারকারীর ওপর প্রয়োগ করা হবে। তবে পর্যায়ক্রমে এর পরিসর বাড়ানো হবে। বয়স ১৮ বছরের কম বলে শনাক্ত হলে সংশ্লিষ্ট ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্টে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য নির্ধারিত নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা কার্যকর হবে। ফলে ইউটিউবে ঘুমের সময় মনে করিয়ে দেওয়ার সুবিধা স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হয়ে যাবে। এ ছাড়া আধেয় বা কনটেন্ট সুপারিশ সীমিত করার পাশাপাশি ব্যবহারকারীদের অনলাইন কার্যকলাপের ভিত্তিতে বিজ্ঞাপন দেখানো হবে না।
গুগলের তথ্যমতে, ব্যবহারকারীদের বয়স ১৮ বছরের কম বলে শনাক্ত হলে তারা গুগল প্লে স্টোরে থাকা প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য নির্ধারিত কোনো অ্যাপে প্রবেশ করতে পারবে না। তবে কেউ যদি ভুলক্রমে অপ্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে শনাক্ত হন, তিনি সরকার অনুমোদিত পরিচয়পত্রের ছবি বা সেলফি জমা দিয়ে বয়স যাচাইয়ের আবেদন করতে পারবেন।
বিশ্বজুড়ে শিশুদের ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর চাপ বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রে এ নিয়ে নতুন করে আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে যুক্তরাজ্যে ব্লুস্কাই, রেডিট, ডিসকর্ড ও স্পটিফাইয়ের মতো জনপ্রিয় অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ব্যবহারকারীদের বয়স যাচাই বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের বয়স শনাক্তের উদ্যোগ নিয়েছে গুগল।
সূত্র: দ্য ভার্জ