আওয়ামী দোসরদের নিয়ে এনসিপি সাজানো হচ্ছে: আমিনুল হক
Published: 3rd, May 2025 GMT
ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের নিয়ে সাজানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক। আওয়ামী লীগের লোক নিয়ে এনসিপি মিছিল–মিটিং করছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।
আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর খিলক্ষেত তলনা রুহুল আমিন উচ্চবিদ্যালয় মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে জিয়া আন্তথানা ফুটবল টুর্নামেন্টের একটি খেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব অভিযোগ করেন আমিনুল হক।
আমিনুল হক অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের মামলা থেকে বাঁচানো এবং পুলিশের গ্রেপ্তার থেকে রক্ষা করার কথা বলে অর্থের বিনিময়ে এনসিপি নেতারা তাঁদের দলে নিচ্ছেন।
মিয়ানমারের সঙ্গে ‘মানবিক করিডর’ ইস্যুতে রাজনৈতিক দল ও জনগণকে অন্তর্বর্তী সরকার পাশ কাটিয়ে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন আমিনুল হক। তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের ভেতরে ক্ষমতার মোহ ঢুকে গেছে। সংসদ ও জনগণকে পাশ কাটিয়ে করিডর দেওয়ার চেষ্টা করলে এ দেশের জনগণ মেনে নেবে না।’
জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে আমিনুল হক বলেন, ‘আমরা দীর্ঘ ১৭ বছর আন্দোলন–সংগ্রাম করেছি একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের জন্য। কিন্তু দুঃখের বিষয় আমরা যাদের সরকারে বসিয়েছি, তারা এখন নির্বাচন চাইলে জ্বালা মনে করে।’ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন না দিলে এ দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নামবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্ষুদ্র ঋণবিষয়ক সম্পাদক এম এ কাইয়ুম, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি সদস্যসচিব মোস্তফা জামান, যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
গোল ঠেকান, শিরোপা জেতান—তবু দোন্নারুম্মা, এদেরসনদের কদর কম কেন
আপনি গোলরক্ষক। তাহলে আপনার মতো দুর্ভাগা আর কে আছে!
কেন এমন বলা, সেটি বোঝার জন্য এবারের দলবদল মৌসুমে একটু চোখ বোলালেই হবে। এবারের গ্রীষ্মকালীন দলবদল আবারও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে—বিশ্বসেরা গোলরক্ষক হলেও দলবদলের বাজারে খুব একটা কদর মেলে না। মাঠের অন্য পজিশনের খেলোয়াড়দের তুলনায় তাঁদের গুরুত্ব নেই বললেই চলে।
সবচেয়ে বড় উদাহরণ পিএসজির জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা। পাশাপাশি ম্যানচেস্টার সিটির এদেরসন ও এসি মিলানের মাইক মাইনিয়ঁর কথাও বলা যায়। এ তিনজনই নিঃসন্দেহে বিশ্বের সেরা ১০ গোলরক্ষকের মধ্যে পড়েন। অনেকের চোখে আবার সেরা পাঁচেই জায়গা তাঁদের। কিন্তু তাঁরা যদি ফরোয়ার্ড, মিডফিল্ডার বা ডিফেন্ডার হতেন, তাহলে তাঁদের এজেন্টদের ফোন বেজেই চলত। আর তাঁদের ক্লাব চুক্তি নবায়নের জন্য পাগল হয়ে উঠত।
কিন্তু গোলকিপার হওয়ায় তাঁদের বাস্তবতা ভিন্ন। পিএসজি ইতিমধ্যেই লিলের তরুণ গোলরক্ষক লুকাস শেভালিয়েকে নিতে যাচ্ছে (যদিও এখনো আনুষ্ঠানিক চুক্তি হয়নি)। ম্যানচেস্টার সিটিও বার্নলির জেমস ট্রাফোর্ডকে এনেছে গোলরক্ষকদের জন্য ব্রিটিশ ট্রান্সফার ফি রেকর্ড গড়ে। দোন্নারুম্মার জন্য ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের, এদেরসনের জন্য গালাতাসারাইয়ের, আর মাইনিয়ঁর জন্য চেলসির আগ্রহের কথা শোনা গেলেও কোনো কিছুই এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
পিএসজির হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছেন জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা