ওয়াসার পানি নিয়ে চট্টগ্রাম নগরীর গ্রাহকদের অভিযোগের শেষ নেই। অনেক স্থানে সরবরাহ প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। মান নিয়েও আছে প্রশ্ন। সমস্যার সবচেয়ে বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে দুর্নীতি ও চুরি। সিস্টেম লসের নামে হাওয়া হয়ে যাচ্ছে ৩০ শতাংশ পানি। নানা প্রকল্প নেওয়ার সময় অপচয় রোধে কর্মকর্তারা গালভরা যুক্তি তুলে ধরলেও মিলছে না সুফল। 

অপচয় বন্ধে পুরোনো পাইপ সরিয়ে স্থাপন করা হচ্ছে নতুন পাইপ, লাগানো হচ্ছে স্মার্ট মিটার। এভাবে একের পর এক হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হলেও সমস্যার আবর্তেই ঘুরপাক খেতে হয় গ্রাহককে। ওয়াসার কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ অসাধু মিটার রিডারদের চক্রের হাতে যেন বন্দি সবাই।                  

চট্টগ্রাম ওয়াসার উৎপাদনের সক্ষমতা ৫৬ কোটি লিটার। এর মধ্যে মদুনাঘাট পানি সরবরাহ প্রকল্প থেকে আসে ৯ কোটি লিটার, কর্ণফুলী পানি শোধনাগার প্রকল্প-১ এবং ২ থেকে আসে ১৪ কোটি লিটার করে। এ ছাড়া মোহরা পানি সরবরাহ প্রকল্প থেকে ৯ কোটি লিটার, গভীর নলকূপ থেকে ৪ কোটি লিটার পানি পাওয়া যায়। ভান্ডালজুড়ি পানি শোধনাগার প্রকল্পের সক্ষমতা হচ্ছে ৬ কোটি লিটার। তবে নানা কারণে প্রকল্পগুলো থেকে সক্ষমতা অনুযায়ী পানি পাওয়া যায় না। এর মধ্যে একটি বড় অংশ অপচয়ের নামে চুরি হয়ে যাচ্ছে। 

ওয়াসার হিসাব থেকে জানা যায়, দৈনিক গড়ে সাড়ে ৪৭ কোটি লিটার বা ৪ লাখ ৭৫ হাজার কিউবিক মিটার পানি উৎপাদন ও সরবরাহ করে ওয়াসা। এর মধ্যে ৪৭ হাজার ৫০০ কিউবিক মিটার পানি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে ৩৭ টাকা দরে বিক্রি করা হয়। এ থেকে দৈনিক আয় হওয়ার কথা ১৭ লাখ ৫৭ হাজার টাকা। বছরে এর পরিমাণ দাঁড়ায় ৬৪ কোটি ১৩ লাখ ৫ হাজার টাকা। অবশিষ্ট ৪ লাখ ২৭ হাজার ৫০০ কিউবিক মিটার পানি আবাসিক গ্রাহকের কাছে ১৮ টাকা দরে বিক্রি করে দৈনিক আয় হওয়ার কথা ৭৬ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। বছরে এর পরিমাণ দাঁড়ায় ২৮০ কোটি ৮৬ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। বাণিজ্যিক ও আবাসিক মিলে পানি বিক্রি থেকে বছরে আয় হওয়ার কথা ৩৪৫ কোটি টাকা। ১০ শতাংশ হারে সিস্টেম লস বাদ দিলেও বার্ষিক আয় হওয়ার কথা ৩১০ কোটি ৫০ লাখ টাকা। অথচ মাসে এই খাতে আয় আসছে ১৯ থেকে ২০ কোটি টাকা। গড়ে মাসে সাড়ে ১৯ কোটি টাকা হিসাব করলে বছরে এর পরিমাণ দাঁড়ায় ২৩৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ বছরে হিসাব পাওয়া যাচ্ছে না প্রায় ৭৭ কোটি টাকার।                    

বর্তমানে ওয়াসার প্রায় ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার পাইপলাইন নেটওয়ার্ক রয়েছে। এর মধ্যে কর্ণফুলী পানি সরবরাহ প্রকল্প-১-এর অধীনে ৪৫ কিলোমিটার এবং চট্টগ্রাম পানি সরবরাহ উন্নয়ন ও স্যানিটেশন প্রকল্পের অধীনে ১৫০ কিলোমিটার পাইপলাইন নেটওয়ার্ক প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল। এ ছাড়া কর্ণফুলী পানি সরবরাহ প্রকল্প-২-এর অধীনে শহরের মধ্যবর্তী স্থানে ৫৫ বর্গকিলোমিটার এলাকায় ৭০০ কিলোমিটার পাইপলাইন প্রতিস্থাপন করা হয়। এ হিসাবে ৮৯৫ কিলোমিটার পুরোনো পাইপলাইন সরিয়ে নতুন পাইপ স্থাপন করা হয়েছে। এসব পাইপলাইনের আওতায় ৫০ হাজারেরও বেশি গ্রাহক আছেন। এবার ‘চট্টগ্রাম পানি সরবরাহ উন্নয়ন প্রকল্প’ নামে আরেকটি প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ৩ হাজার ৯২১ কোটি টাকার এই প্রকল্পের মোট ব্যয়ের মধ্যে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন করবে ৩ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা, বাংলাদেশ সরকার ৫৭৮ কোটি এবং চট্টগ্রাম ওয়াসা করবে ৭৪ কোটি টাকা। এই প্রকল্পের অধীনে নগরে আরও ৩০০ কিলোমিটার নতুন পাইপলাইন প্রতিস্থাপন করা হবে। একই সঙ্গে লাগানো হবে ১ লাখ অটোমেটেড স্মার্ট মিটার। এর আওতায় আসবে ৪০ হাজার গ্রাহক। ওয়াসা বলছে, এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে অপচয় রোধ, নিরবচ্ছিন্ন ও সুষম চাপে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা যাবে। তাতে বাড়বে রাজস্ব আদায়।

ওয়াসার সমীক্ষা অনুযায়ী, বর্তমানে পানির দৈনিক চাহিদা ৫৬ কোটি লিটার। ২০৩২ সালে হবে ৭০ কোটি লিটার। ২০৪০ সালে চাহিদা হবে ১২২ কোটি লিটার। পানির বাড়তি চাহিদা বিবেচনায় বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সংস্থাটি।

সূত্র জানায়, উৎপাদিত পানির প্রায় ৩০ শতাংশ অপচয় হচ্ছ। অথচ বৈশ্বিক মানদণ্ডে এর স্বাভাবিক হার ৫ শতাংশের কম। রাজস্ব শাখার মিটার পরিদর্শকসহ কর্মকর্তাদের দুর্নীতির কারণে সংস্থাটি বড় অঙ্কের রাজস্ব হারায় বলে দীর্ঘদিনের অভিযোগ। ব্যবস্থাপনাগত ত্রুটি ও দুর্বলতার কারণে সংকট নিরসন করতে পারছে না সংস্থাটি।

চট্টগ্রাম ওয়াসার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো.

আরিফুল ইসলাম জানিয়েছেন, উৎপাদিত পানির অপচয় বন্ধ করার পাশাপাশি গ্রাহকদের মধ্যে সুষম পানি বণ্টনে চট্টগ্রাম পানি সরবরাহ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৩০০ কিলোমিটার পাইপলাইন প্রতিস্থাপন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। একই প্রকল্পের আওতায় ম্যানুয়েল মিটার সরিয়ে এক লাখ স্মাট মিটার ও অটোমেটেড স্মাট মিটার লাগানো হবে। আগামী বছর এই প্রকল্পের কাজ শুরু করা যাবে। এটা বাস্তবায়ন হলে পানির অপচয় কমে আসবে। ইতোমধ্যে যেসব পাইপলাইন প্রতিস্থাপন করা হয়েছে তার সুফল হিসেবে আগের চেয়ে প্রায় ১০ শতাংশ পানি অপচয় কমে এসেছে।’ 

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওয়াসার একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘অস্বীকার করার উপায় নেই যে, ওয়াসার উৎপাদিত পানির প্রায় এক-তৃতীয়াংশ নানাভাবে অপচয় ও নয়ছয় হয়। এটির একটি অংশ পাইপলাইন লিকেজের কারণে হয়, আবার চুরিও হয়। ম্যানুয়েল মিটারের কারণে পানি কমবেশি করা যায়। আবার বিপুলসংখ্যক অবৈধ সংযোগের মাধ্যমেও পানি চুরি হয়ে যাচ্ছে। অটোমেটেড স্মার্ট মিটার লাগানোর পাশাপাশি পুরোনো পাইপলাইন সরিয়ে নতুন পাইপলাইন স্থাপন এবং কঠোর কিছু প্রশাসনিক উদ্যোগ নেওয়া গেলে পানি অপচয় কিংবা চুরি বন্ধ হয়ে আসবে।’

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সরবর হ প রকল প এই প রকল প প রকল প র ন প রকল প র প রকল প কর মকর ত র আওত য় নত ন প উৎপ দ

এছাড়াও পড়ুন:

৭৭ মেট্রিক টন চাল তুলে নিয়েছেন ডিলার, উপকারভোগীরা জানেন ‘বরাদ্দ হয়নি’

মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় গত জুলাই মাসে ট্রেডিং করপোরেশন বাংলাদেশের (টিসিবি) উপকারভোগীদের জন্য ৭৭ দশমিক ৮ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছিল। প্রক্রিয়া অনুযায়ী উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে এ চাল খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির (ওএমএস) একজন ডিলার (পরিবেশক) তুলেও নেন। তবে ওই মাসে টিসিবির অন্য পণ্য পেলেও চাল পাননি বলে অভিযোগ করেছেন উপকারভোগীরা।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মহম্মদপুরের ৮ ইউনিয়নে টিসিবির উপকারভোগী কার্ডধারী আছেন ১৫ হাজার ৫৬৭ জন। এসব উপকারভোগী নিজেদের কার্ড দেখিয়ে প্রতি মাসে একবার ইউনিয়নের টিসিবির নিয়োগ করা ডিলারের কাছ থেকে বাজারের চেয়ে কম মূল্যে তেল, চিনি, ডাল ও চাল কিনতে পারেন। গত জুলাইয়ে ডিলারদের কাছ থেকে তেল, চিনি ও ডালের একটি প্যাকেজ কিনতে পেরেছেন তাঁরা। ওই মাসে চালের বরাদ্দ আসেনি বলে জানানো হয় কার্ডধারীদের।

মহম্মদপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় থেকে পাওয়া নথিতে দেখা গেছে, গত ৩০ জুলাই উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. মজনুর রহমান স্বাক্ষরিত দুইটি বিলি আদেশে (ডিও) উপজেলার হোসেনিয়া কান্তা ঋতু নামে একজন ওএমএস ডিলারের অনুকূলে ৭৭ দশমিক ৮৩৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। ওই দিনই মহম্মদপুর ও বিনোদপুর খাদ্যগুদাম থেকে এ চাল তুলেও নেওয়া হয়।

সেখানে ৩০ টাকা কেজিতে চাল পাওয়া যায়। বাজার থেকে ওই চাল কিনতে কেজিতে প্রায় ৫০ টাকা লাগে। জুলাই মাসে চাল না পাওয়ায় কিছুটা কষ্টই হইছে।শরিফা, টিসিবির কার্ডধারী, রাজাপুর ইউনিয়ন

টিসিবি ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন টিসিবি উপকারভোগীদের চাল ছাড়া অন্য পণ্য সরাসরি তাঁদের নিয়োগ করা ডিলারদের কাছে সরবরাহ করে। চালের বরাদ্দ দেওয়া হয় খাদ্য বিভাগ থেকে। এ অনুযায়ী উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় থেকে প্রথমে খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে নিয়োগ করা ওএমএস বা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলারদের অনুকূলে ২৬ টাকা কেজি দরে চাল বরাদ্দ দেয়। সেই চাল ওই ডিলারদের কাছ থেকে ২৮ টাকা কেজি দরে নেন টিসিবির ডিলাররা। এরপর তাঁরা ৩০ টাকা কেজি দরে ওই চাল উপকারভোগীদের কাছে বিক্রি করেন।

উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের পারুল নামে টিসিবির এক উপকারভোগী ১ সেপ্টেম্বর জানান, আগস্ট মাসে চাল, ডাল, তেল ও চিনির প্যাকেজ পেলেও জুলাই মাসে তাঁদের চাল ছাড়া অন্য তিন ধরনের পণ্যের প্যাকেজ দেওয়া হয়েছিল। জুলাই মাসে তাঁদের জানানো হয় চাল বরাদ্দ হয়নি।

বিষয়টি জানতে উপজেলার ৮ ইউনিয়নে টিসিবির নিয়োগ করা ৮ জন ডিলারের সঙ্গে কথা বলেছেন এই প্রতিবেদক। তাঁদের মধ্যে মহম্মদপুর সদর, নহাটা, পলাশবাড়ীয়া, বালিদিয়া, রাজাপুর ও বাবুখালী ইউনিয়নের ডিলার জানিয়েছেন, জুলাই মাসে তাঁদেরকে চাল দেওয়া হয়নি। নহাটা ও রাজাপুর ইউনিয়নের ডিলার মিলন ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মিলন ঘোষ ৪ সেপ্টেম্বর বলেন, ‘জুলাই মাসে আমাদের বলা হইছিল চাল বরাদ্দ নেই। এ কারণে চাল ছাড়া অন্য পণ্যগুলো বিক্রি করেছি। তবে অ্যাপে দেখাইছিল চাল। কিন্তু আমরা পাইনি।’

হোসনিয়া কান্তা উপজেলার বিনোদপুর এলাকার ওএমএস ডিলার। গত ২৫ জুলাই লটারির মাধ্যমে তিনিসহ তিনজন উপজেলায় ওএমএস ডিলার হিসেবে নিয়োগ পান

অবশ্য বিনোদপুর ও দীঘা ইউনিয়নের দুই ডিলার দাবি করেছেন তাঁরা অন্যান্য পণ্যের সঙ্গে চালও কার্ডধারীদের কাছে বিক্রি করেছেন। তবে দুই ইউনিয়নের অন্তত ১০ জন উপকারভোগীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে তাঁরা কেউই চাল পাননি। এর মধ্যে বিনোদপুর বাজারের একজন ফল ব্যাবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘জুলাই মাসে ডিলার জানাইছিল চাল ফুরায় গেছে।’

হোসনিয়া কান্তা উপজেলার বিনোদপুর এলাকার ওএমএস ডিলার। গত ২৫ জুলাই লটারির মাধ্যমে তিনিসহ তিনজন উপজেলায় ওএমএস ডিলার হিসেবে নিয়োগ পান বলে খাদ্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে। এ বিষয়ে জানতে হোসেনিয়া কান্তার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও পাওয়া যায়নি। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় থেকে সরবরাহ করা তাঁর মুঠোফোনে সোমবার যোগাযোগ করা হলে একজন ধরে জানান, ওই নম্বর হোসেনিয়া কান্তা ঋতু নামে কেউ ব্যবহার করেন না।

জানতে চাইলে টিসিবির ঝিনাইদহ ক্যাম্প অফিসের উপপরিচালক আকরাম হোসেন সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘টিসিবির চাল খাদ্য বিভাগ থেকে সরবরাহ করা হয়। আর বিতরণ কার্যক্রম তদারকির জন্য প্রতিটি উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে একটি কমিটি রয়েছে। যেখানে প্রতি ইউনিয়নে একজন ট্যাগ অফিসার আছেন, যিনি এগুলো তদারকি করেন।’

জেলার কয়েকজন চাল ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২৬ টাকা কেজি দরে কেনা এসব চাল বাজারে প্রায় ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। উপকারভোগীদের কাছে তা ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করার কথা। এ হিসাবে উপকারভোগীদের ফাঁকি দিয়ে এ চাল বাজারে বিক্রি করতে পারলে কেজিতে ২২ থেকে ২৪ টাকা লাভ হয়।

চাল না পাওয়ার বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেননি বলে জানিয়েছেন মহম্মদপুরের ইউএনও শাহীনুর আক্তার। সোমবার মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘চাল দেওয়া হয়নি এখন পর্যন্ত এমন অভিযোগ কেউ দেয়নি। খাদ্য অফিস থেকে আমি যত দূর জানতে পেরেছি তাতে সবকিছু দেওয়া হয়ে গেছে। বরাদ্দ থাকলে তা আটকে রাখার সুযোগ নেই। তারপরও কোনো অভিযোগ থাকলে খতিয়ে দেখব।’  

হঠাৎ এক মাসে চাল না পাওয়ায় বিপাকে পড়েন উপকারভোগীরা। রাজাপুর ইউনিয়নের শরিফা নামের টিসিবি কার্ডধারী এক নারী বলেন, ‘সেখানে ৩০ টাকা কেজিতে চাল পাওয়া যায়। বাজার থেকে ওই চাল কিনতে কেজিতে প্রায় ৫০ টাকা লাগে। জুলাই মাসে চাল না পাওয়ায় কিছুটা কষ্টই হইছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • প্রথম চালানে ৩৭ হাজার ৪৬০ কেজি ইলিশ গেল ভারতে
  • তুরস্কের সঙ্গে উত্তেজনা: সাইপ্রাসকে ‘এস–৩০০’–এর চেয়েও ভয়ংকর ‘বারাক এমএক্স’ দিল ইসরায়েল
  • গুদামে খাওয়ার অনুপযোগী চাল নিয়ে রাজশাহী খাদ্য বিভাগে তোলপাড়, ৮ তদন্ত কমিটি
  • ‘কেনতো পারমু না, হেইতে ইলশার সুরতটা দেইখ্যা যাই’
  • ৭৭ মেট্রিক টন চাল তুলে নিয়েছেন ডিলার, উপকারভোগীরা জানেন ‘বরাদ্দ হয়নি’
  • বাংলাদেশ ব্যাংক এক দিনে ২৬ ব্যাংক থেকে ৩৫ কোটি ডলার কিনল কেন
  • নিলামে ৩৫৩ মিলিয়ন ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক
  • যুক্তরাজ্য থেকে আসছে মাদক এমডিএমএ, গ্রেপ্তার ৫
  • চাপে পড়ে নয়, অনুরোধে ভারতে ইলিশ পাঠানোর অনুমোদন: ফরিদা আখতার
  • ভোটের সরঞ্জাম আসছে ইসিতে