বগুড়ায় আসামি ছাড়িয়ে নিতে জামায়াতের নেতা–কর্মীদের থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ
Published: 4th, May 2025 GMT
বগুড়ার নন্দীগ্রামে সাংবাদিকের ওপর হামলার অভিযোগে গ্রেপ্তার আসামি ছাড়িয়ে নিতে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছেন জামায়াতের নেতা-কর্মীরা। আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে তাঁরা থানা ঘেরাও করে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
এ সময় নন্দীগ্রাম উপজেলা জামায়াতের আমির আবদুর রহমান ও পৌর জামায়াতের সেক্রেটারি আবদুল আলিম উপস্থিত ছিলেন। থানার প্রধান ফটকের সামনে দলটির নেতা-কর্মীরা প্রায় ঘণ্টাব্যাপী অবস্থান করেন। পরে এজাহারভুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তারের পর থানা থেকে ছেড়ে দেওয়ার সুযোগ নেই, পুলিশের পক্ষ থেকে জানানোর পর তাঁরা থানা চত্বর থেকে চলে যান।
থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার রাতে নন্দীগ্রাম বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সাংবাদিক নজরুল ইসলামের ওপর হামলা হয়। বর্তমানে তিনি বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হামলার শিকার নজরুল ইসলাম দৈনিক ভোরের ডাক পত্রিকার বগুড়া জেলা প্রতিনিধি এবং নন্দীগ্রাম উপজেলা প্রেসক্লাবের সদস্যসচিব।
ওই হামলার ঘটনায় গতকাল শনিবার রাতে নন্দীগ্রাম থানায় সাতজনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়। পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে এজাহারনামীয় তিন আসামি উপজেলার বুড়ইল এলাকার মোহাম্মদ জাকারিয়া ইসলাম, আতিকুল ইসলাম ও কইগাড়ি গ্রামের আবদুর রহিমকে গ্রেপ্তার করে।
জাকারিয়া ইসলাম জামায়াতের যুব বিভাগের বুড়ইল ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়াডের সেক্রেটারি, আতিকুল ইসলাম জামায়াতের শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের বুড়ইল ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি এবং আবদুর রহিম শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের নেতা।
নন্দীগ্রাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু মুসা সরকার প্রথম আলোকে বলেন, সাংবাদিক নজরুল ইসলামের ওপর হামলা মামলার এজাহারনামীয় আসামি আবদুর রহিম বুড়ইল ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হলেও তাঁকে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের নেতা দাবি করে ছাড়িয়ে নিতে জামায়াত-শিবিরের নেতা–কর্মীরা আজ সকালে থানা চত্বরে এসে অবস্থান নেন। পরে উপজেলা জামায়াতের আমিরসহ শীর্ষ নেতাদের জানানো হয়, আইন মেনেই পুলিশ এজাহারনামীয় আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। আদালত থেকে জামিন নেওয়া ছাড়া থানা থেকে কোনো মামলার আসামিকে ছেড়ে দেওয়ার সুযোগ নেই। পরে নেতারা তাঁদের দলীয় কর্মীদের নিয়ে থানা ত্যাগ করেন।
এ বিষয়ে জানতে নন্দীগ্রাম উপজেলা জামায়াতের আমির আবদুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি ফোন ধরেননি। তবে নন্দীগ্রাম পৌর জামায়াতের সেক্রেটারি আবদুল আলিম বলেন, নজরুল ইসলাম নামধারী সাংবাদিক এবং ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে নজরুল ইসলাম জামায়াত-শিবিরের বহু নেতা–কর্মীকে হয়রানি–নির্যাতন করেছেন। তাঁর ওপর হামলাকারীদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা না থাকলেও জামায়াত-বিএনপির নেতা-কর্মীদের নামে মামলা করা হয়েছে। এমনকি উপজেলার দুজন সাংবাদিককেও আসামি করা হয়েছে। জামায়াতের তিনজনকে গ্রেপ্তার করায় নেতা-কর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে থানায় অবস্থান নিয়েছিলেন। পরে নেতা-কর্মীদের শান্ত করে থানা থেকে বাইরে নিয়ে আসা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: নজর ল ইসল ম নন দ গ র ম কর ম দ র কর ম র উপজ ল আবদ র
এছাড়াও পড়ুন:
রাকসু নির্বাচন: ভোটগ্রহণ শুরু
প্রায় ২০ দিনের প্রচার শেষে আজ বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেটের ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাত ১২টায় প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণা শেষ হয়। এখন ভোটের মাধ্যমে পছন্দের প্রতিনিধি বেছে নেওয়ার অপেক্ষায় দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
আরো পড়ুন:
চাকসুর ভিপি-জিএস শিবিরের, এজিএস ছাত্রদলের
চাকসু নির্বাচন: ভিপি, জিএস, এজিএস পদে ১৫ কেন্দ্রে এগিয়ে যারা
বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় ছাত্র প্রতিনিধিত্বের শূন্যতা নিয়ে রাবির কেটে গেছে ৩৫ বছর; অবশেষে সেই খরা কাটতে চলেছে। নির্বাচিত রাকসু পেতে যাচ্ছে দেশের উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে বড় এই বিশ্ববিদ্যালয়।
এদিকে, ভোট গ্রহণকে কেন্দ্র করে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছে রাকসুর নির্বাচন কমিশন। ভোট ও ফলাফল ঘিরে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে দুই হাজার পুলিশ সদস্য, ছয় প্লাটুন বিজিবি ও ১২ প্লাটুন র্যাব।
ক্যাম্পাসের গেটগুলোতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। ভোটের দিন বৃহস্পতিবার এবং আগে ও পরের দুই দিন ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে রাবি প্রশাসন।
এবার রাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ২৮ হাজার ৯০১ জন। এর মধ্যে ছাত্রী ১১ হাজার ৩০৫ জন এবং ছাত্র ভোটার ১৭ হাজার ৫৯৬ জন।
রাকসুর ২৩টি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২৪৭ জন, যার মধ্যে নারী ২৬ জন। সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধির পাঁচটি পদে ৫৮ জন এবং হল সংসদের ১৫টি পদে ১৭টি হলে ৫৯৭ প্রার্থী লড়াই করছেন।
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের এই সংখ্যা রাকসু নির্বাচনের ইতিহাসে সর্বাধিক। এর মধ্যে ভিপি পদে ১৮, জিএস পদে ১৩ এবং এজিএস পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৬ জন। বাকি ২০টি পদে ২০০ জন লড়াই করছেন।
৯টি ভবনে ১৭টি কেন্দ্রের ৯৯০টি বুথে প্রত্যেক ভোটারের রাকসু ও হল সংসদের মোট ৪৩টি পদে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার সুযোগ থাকছে।
ঢাকা/ফাহিম/এস