বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় খাদ্য পরিবহন ঠিকাদার এসোসিয়েশন (রেজি-বি-১৯১০) এর বর্তমান কমিটিকে অবৈধ উল্লেখ করে এই কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে ১২ কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ তুলেছেন নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটি। 

এ সংক্রান্তে রবিবার (১১ মে) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের সাইলো খাদ্য গুদাম এলাকায় এক মতবিনিময় সভায় এ অভিযোগ করেন নব গঠিত কমিটির আহ্বায়ক আঃ হাই রাজু। 

এরআগে সভায় বিগত ১০ (দশ) বছরে সমিতির আদায়কৃত অর্থ বর্তমান কমিটির নিকট হতে পুনঃরুদ্ধারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন এবং আগামী দিনে ঠিকাদারদের ব্যবসায়ীক স্বার্থ সংরক্ষনের লক্ষে ৩৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। 

কমিটিতে মোঃ আঃ হাই রাজুকে আহবায়ক, এম এম মোঃ আজিজুর স্বপন, এস এম আতাউর রহমান মল্লিক, মোঃ শাহ আলম, চৌধুরী মোহাম্মদ মমিনুল্লাহ’কে যুগ্ম আহবায়ক এবং মোঃ জাহাঙ্গীর আলমকে সদস্য সচিব করা হয়।

সভায় আহ্বায়ক কমিটি দাবি করে, বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটি গত ২০১৫-২০১৬ ও ২০১৬-২০১৭ সালের জন্য নির্বাচিত হয়। তারা ৮ আট বছর যাবৎ নির্বাচন না দিয়ে অবৈধভাবে সমিতি পরিচালনা করছে। সমিতির সংবিধান অনুযায়ী সদস্যদের মাসিক চাঁদা দুইশত টাকা হারে নির্ধারিত রয়েছে।

বিগত দশ বছরে ৬৪০ জন ঠিকাদার হতে মোট ১ কোটি ৫৩ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা মাসিক চাঁদা আদায় করেছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে সদস্যদের উন্নয়নমূলক কাজের অযুহাতে দীর্ঘ দশ বছরে প্রায় ১২ কোটি টাকা সাধারণ সদস্যদের কাছ থেকে জোরপূর্বক ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে আদায় করেছে। 

আর অবৈধ টাকা আদায়ের নেতৃত্ব দেয় সমিতির অবৈধ সাধারণ সম্পাদক কাজী সাহিদুর রহমান, সহ-সভাপতি ফজলুল আজিজ খাঁন, সহ-সাধারণ সম্পাদক আলীনুর, কোষাধ্যক্ষ মোঃ হারুন অর রশিদ ও প্রচার সম্পাদক মোঃ কেরামত আলী সহ আরো অনেকে। 

তাদের অপকর্ম থেকে সমিতিকে পুনঃরুদ্ধার করার লক্ষে আবদুল হাই রাজুর আহ্বানে সাধারণ ঠিকাদারদের (সদস্য) নিয়ে মতবিনিময় সভার মাধ্যমে এ আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

চলে গেলেন পাকিস্তানের বিখ্যাত মোহাম্মদ ভাইদের বড়জন

চলে গেলেন ক্রিকেটের মোহাম্মদ ভাইদের সবচেয়ে বড়জন।  হানিফ মোহাম্মদ ও মুশতাক মোহাম্মদদের ভাই  সাবেক ক্রিকেটার ওয়াজির মোহাম্মদ আজ ৯৫ বছর বয়সে ইংল্যান্ডের বার্মিংহামে মারা গেছেন। তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পিসিবির এক্স হ্যান্ডলে বলা হয়, ‘পাকিস্তানের সাবেক টেস্ট ব্যাটসম্যান ওয়াজির মোহাম্মদের মৃত্যুতে পিসিবি গভীরভাবে শোকাহত। মোহাম্মদ ভাইদের মধ্যে চারজন টেস্ট ক্রিকেটে পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৯৫২ থেকে ১৯৫৯ সালের মধ্যে তিনি দেশের হয়ে ২০টি টেস্ট খেলেন। তার পরিবার ও বন্ধুদের সমবেদনা জানাচ্ছে পিসিবি।’

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পাকিস্তানের শুরুর দিনগুলোয় টেস্টে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন সাবেক ব্যাংকার ওয়াজির। তাঁরা মোট পাঁচ ভাই। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে খেলা রাইস মোহাম্মদই শুধু টেস্ট খেলেননি। মোহাম্মদ ভাইদের মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত পাকিস্তানের হয়ে ৫৫ টেস্ট খেলা কিংবদন্তি হানিফ মোহাম্মদ মারা গেছেন ২০১৬ সালে। মুশতাক মোহাম্মদ পাকিস্তানের হয়ে ৫৭ টেস্ট খেলেছেন। আরেক ভাই সাদিক মোহাম্মদ ৪১ টেস্ট খেলেন পাকিস্তানের হয়ে।

সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ২০১৬ সালে ইসরার আলীর মৃত্যুর পর ওয়াজিরই ছিলেন পাকিস্তানের জীবিত থাকা সবচেয়ে বেশি বয়সী টেস্ট ক্রিকেটার। ১৯৫২ সালে প্রথম টেস্ট সিরিজ খেলতে ভারত সফরে যাওয়া পাকিস্তান দলের অংশ ছিলেন ওয়াজির।

লোয়ার-মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে ২৭.৬২ গড় ওয়াজির প্রতিভার প্রতি সুবিচার করে না। তবে পঞ্চাশের দশকে টেস্টে পাকিস্তানের শুরুর দিনগুলোতে বেশ কিছু সাফল্যে তাঁর বড় অবদান আছে। ১৯৫৪ সালে ওভাল টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাকিস্তানের ২৪ রানের জয়ে বড় ভূমিকা ছিল ওয়াজিরের। পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬০ মিনিট ক্রিজে থেকে তাঁর ৪২ রানের ইনিংসটি পাকিস্তানকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেয়। প্রথম দল হিসেবে ইংল্যান্ডে প্রথম সফরেই টেস্ট জয়ের নজির সেই সফরে গড়েছিল পাকিস্তান। দুই বছর পর করাচিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাকিস্তানের ৯ উইকেটের জয়ে প্রথম ইনিংসে ৬৭ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন ওয়াজির।

আরও পড়ুন৩৪ বলের ফিফটিতে স্বর্ণার রেকর্ড, বাংলাদেশ ২৩২১ ঘণ্টা আগে

১৯৫৭-৫৮ মৌসুমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর পাকিস্তান ক্রিকেটে বেশ কিছু কারণে স্মরণীয়। সেই সফরে গ্যারি সোবার্স যেমন ৩৬৫ রানের রেকর্ড গড়েন, তেমনি হানিফও খেলেন ৩৩৭ রানের মহাকাব্যিক এক ইনিংস। সেই সফরে ওয়াজির ৫ টেস্টে দুই সেঞ্চুরিসহ ৪৪০ রান করেন। পোর্ট অব স্পেনে পাকিস্তানের ইনিংস ও ১ রানের জয়ে দলের প্রথম ইনিংসে ১৮৯ রান করেন ওয়াজির।

১০৫টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ৪০.৪০ ব্যাটিং গড়ের ওয়াজিরকে পাকিস্তান ক্রিকেটে আদর করে ‘উইজডেন’ নামে ডাকা হতো। কারণ ক্রিকেটের অনেক খুঁটিনাটি পরিসংখ্যান তাঁর ঠোঁটের ওপরে থাকত। ভাই মুশতাকের মতো ওয়াজিরও ইংল্যান্ডের বার্মিংহামে বসবাস করতেন।

ওয়াজির মোহাম্মদ, হানিফ মোহাম্মদ, মুশতাক মোহাম্মদ ও সাদিক মোহাম্মদ মিলে টেস্ট খেলেছেন মোট ১৭৩টি। হানিফ মোহাম্মদের ছেলে শোয়েব মোহাম্মদের ৪৫ টেস্টও যোগ করলে মোহাম্মদ পরিবারে মোট টেস্টের সংখ্যা দাঁড়ায় ২১৮।  ১৯৬৯ সালে করাচিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে একসঙ্গে তিন ভাই হানিফ, সাদিক ও মুশতাক পাকিস্তান দলে খেলেন। যা টেস্ট ইতিহাসে তিন ভাইয়ের একসঙ্গে টেস্ট খেলার তৃতীয় ঘটনা।

আরও পড়ুন১৬ রানে শেষ ৫ উইকেট নেই পাকিস্তানের, স্বস্তিতে নেই দক্ষিণ আফ্রিকাও১ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো: প্রকল্পের মেয়াদ থাকলেও নেই কাজ, ৩৪ মাস বন্ধ বেতন–ভাতা
  • চলে গেলেন পাকিস্তানের বিখ্যাত মোহাম্মদ ভাইদের বড়জন