যুবলীগ নেতাকে পালাতে সহায়তা, যুবদল নেতার বিরুদ্ধে মামলা
Published: 17th, May 2025 GMT
যুবলীগ নেতাকে পালাতে সহযোগিতার অভিযোগে এক যুবদল নেতার বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। শনিবার (১৭ মে) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর থানায় মামলাটি করা হয়। অভিযুক্তের নাম মিজানুর রহমান। তিনি উপজেলার বুধন্তী ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ মে রাতে বুধন্তী ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহাগ মিয়াকে আটকে স্থানীয় বাসস্ট্যান্ডে ইউনুস মিয়ার দোকানে অভিযান চালায় পুলিশ। ইসলামপুর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুমন চন্দ্র দাসের নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়। এসময় যুবদল নেতা মিজানুর রহমান কৌশলে সোহাগ মিয়াকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেন।
ঘটনাস্থলে থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, ওই দোকানের ভেতরে পুলিশ সদস্যদের যেতে দিচ্ছেন না মিজানুর রহমান। এসময় ভেতর থেকে সোহাগ মিয়া দৌড়ে পালিয়ে যান।
আরো পড়ুন:
সাম্য হত্যায় জড়িতদের বিশেষ ট্রাইব্যুনালে দ্রুত বিচারের সিদ্ধান্ত
পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর বিষপান
এ বিষয়ে বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.
অভিযোগের বিষয়ে জানতে মিজানুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি।
ঢাকা/পলাশ/রাজীব
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম জ ন র রহম ন য বদল
এছাড়াও পড়ুন:
পটিয়ায় ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের উপর পুলিশের লাঠিচার্জ, আহত ১০
জুলাই দিবস উপলক্ষে মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচি শেষে এক ছাত্রলীগ কর্মীকে আটকের দাবিতে থানার সামনে বিক্ষোভ করতে গিয়ে পুলিশের লাঠিচার্জের শিকার হয়েছে স্থানীয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাত পৌনে ১০টার দিকে পটিয়া থানা চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
দক্ষিণ চট্টগ্রাম অঞ্চলের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক গোলাম মওলা মাশরাফ জানান, রাতে মোমবাতি প্রজ্বলনের পর থানার মোড়ে গেলে সেখানে রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগ নেতা দীপংকর দে’কে দেখতে পান। এই সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনের নেতাকর্মীরা স্লোগান দিয়ে ছাত্রলীগ নেতা দীপংকরকে আটক করতে পুলিশের প্রতি দাবি জানান।
এসময় পুলিশ স্লোগানরত নেতাকর্মীদের উপর অতর্কিত লাঠিচার্জ শুরু করে। এতে ১০ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে আন্দোলনের সংগঠক আশরাফুল ইসলাম তৌকির (২১) ও সাইফুল ইসলামকে (১৭) পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশের লাঠিচার্জে আহত ছাত্র আশরাফুল ইসলাম তৌকির বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করছিলাম। দীপংকর দে কে দেখতে পেয়ে পুলিশকে দেখাচ্ছিলাম মাত্র। হঠাৎ করেই পুলিশ অতর্কিত হামলা চালায়।”
পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মো. নওশাদ জানান, আহতদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জাহেদ মো. নাজমুন নূর বলেন, “আন্দোলনকারীরা একজনকে থানায় নিয়ে আসেন, তারা বিক্ষিপ্তভাবে থানার ভিতরে প্রবেশের চেষ্টা করেন। এসময় পুলিশ বাধা দিলে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়।”
তবে লাঠিচার্জের ব্যাপারে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
ঢাকা/রেজাউল/এস