জনগুরুত্বপূর্ণ ও সাংবিধানিক মামলার কার্যক্রম সরাসরি সম্প্রচারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ কেন নয়
Published: 20th, May 2025 GMT
সুপ্রিম কোর্টে জনগুরুত্বপূর্ণ ও সাংবিধানিক মামলার কার্যক্রম লাইভ (সরাসরি) সম্প্রচারের ব্যবস্থা প্রবর্তনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া প্রশ্নে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ তাজরুল হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এ রুল দেন।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের জনগুরুত্বপূর্ণ ও সাংবিধানিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ মামলার কার্যক্রম লাইভ স্ট্রিমিং ব্যবস্থা প্রবর্তনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং আইনসচিবসহ বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন।
পরে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, রিট আবেদনে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের উচ্চ আদালতের জনগুরুত্বপূর্ণ এবং সাংবিধানিক গুরুত্বপূর্ণ মামলাগুলো যেন সরাসরি সম্প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়—তা চাওয়া হয়। ২১টি দেশে এই ব্যবস্থা চালু আছে। শুনানি নিয়ে আদালত রুল দিয়েছেন। পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ২৬ জুন দিন রেখেছেন আদালত।
চলতি বছরের শুরুতে পাঁচ আইনজীবী ও আইনের ছয় শিক্ষার্থী ওই রিট করেন। তাঁরা হলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সাদ্দাম হোসেন, মিজানুন হক, আব্দুল্লাহ সাদিক, আমিনুল ইসলাম শাকিল, জজকোর্টের আইনজীবী জায়েদ বিন আমজাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের ছাত্র শাহনেওয়াজ সাকিব, মাহমুদুল হাসান, হাবিবুর রহমান আল হাসান, রাফিউর রাব্বি, শামিম শাহিদি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের ছাত্র সাব্বির হাসান।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম হ ম মদ ব যবস থ আইনজ ব
এছাড়াও পড়ুন:
ছাত্র আন্দোলনে বিরোধিতায় নুসরাতের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে: রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী
ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্রদের বিরোধিতা এবং মদদ দেওয়াসহ বিভিন্ন ঘটনায় নুসরাত ফারিয়ার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক।
সোমবার নুসরাত ফারিয়াকে আদালতে হাজিরের পর শুনানি শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়। শুনানি শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, নুসরাত ফ্যাসিস্ট হাসিনার পক্ষে ছিলেন। তিনি একজন ফ্যাসিস্টের সমর্থক। অনেকের মতো তিনিও নাটক সিনেমার মাধ্যমে, অভিনয়ের মাধ্যমে ফ্যাসিস্টের পক্ষ নিয়েছেন। ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্রদের বিরোধিতা এবং মদদ দেন অন্যদের মতো। বিভিন্ন ঘটনায় তার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে।
এর আগে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকেন্দ্রিক ভাটারা থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় নুসরাত ফারিয়াকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। সকাল সাড়ে দশটার দিকে রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফারজানা হক।
এদিন সকালে তাকে ঢাকার সিএমএম আদালতের হাজতখানায় আনা হয়। বেলা দশটার পর তাকে আদালতে উপস্থিত করা হয়। এসময় তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। অন্যদিকে নুসরাত ফারিয়ার জামিন চেয়ে আবেদন করে তার আইনজীবীরা।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আগামী ২২ মে ফের শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।