ইনুর আবেদনে জুলাই বিপ্লবকে ‘সো কলড’ বলা হয়েছে, এটা রাষ্ট্রদ্রোহিতা: তাজুল ইসলাম
Published: 27th, November 2025 GMT
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের আদেশ পুনর্বিবেচনার আবেদনে জুলাই বিপ্লবকে ‘সো কল্ড’ বা তথাকথিত বলা হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, পুনর্বিবেচনার আবেদনে ইনু জুলাই বিপ্লবকে ‘সো কল্ড’ (তথাকথিত) বলার চেষ্টা করেছেন, যা রাষ্ট্রদ্রোহিতা।
জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ইনুর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) গঠনের আদেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন বাতিলের আরজি জানিয়ে চিফ প্রসিকিউটর এ কথা বলেন।
২ নভেম্বর এ মামলায় ইনুর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল–২। তারপর সেই আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের আদেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন ইনুর আইনজীবী। সেই পুনর্বিবেচনার আবেদন আজ বৃহস্পতিবার অনির্ধারিত তারিখে বাতিলের আরজি জানান চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। অবশ্য এ সময় ইনুর আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না।
ট্রাইব্যুনাল–২ এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো আদেশ দেননি। আজকে ট্রাইব্যুনালের সদস্য বিচারক মো.
পরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের আদেশ পুনর্বিবেচনার আবেদনে ইনু জুলাই বিপ্লবকে ‘সো কল্ড’ জুলাই বিপ্লব বলার চেষ্টা করেছেন, এটা রাষ্ট্রদ্রোহিতা। এটা (জুলাই বিপ্লব) বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় বিপ্লব। এই বিপ্লবের মাধ্যমে দীর্ঘদিনের চেপে বসা স্বৈরশাসনের অবসান হয়েছে। রাষ্ট্রে স্বভাবসুলভ গণতান্ত্রিক চরিত্র ফিরে এসেছে। রাষ্ট্র এখন সংস্কারের মাধ্যমে নতুন যাত্রার দিকে যাচ্ছে। এটাকে সো কল্ড বলাটা ধৃষ্টতা।
তাজুল ইসলাম আরও বলেন, আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের আদেশ পুনর্বিবেচনার আবেদনে ইনু আরও বলার চেষ্টা করেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করেছে, এটা করার নাকি এখতিয়ার নেই। এটা রাষ্ট্রদ্রোহিতা। কারণ, বর্তমান সরকার অভূতপূর্ব বিপ্লবের মাধ্যমে জনগণের অভিপ্রায়ের প্রতিনিধি হিসেবে ক্ষমতায় এসেছে। অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্রের সব ক্ষমতা ব্যবহার করতে পারে। এই সরকারের আইন প্রণয়নেরও ক্ষমতা আছে। এটা অবৈধ বলার দুঃসাহস দেখানোটা রাষ্ট্রদ্রোহিতা।
ইনুর আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের আদেশ পুনর্বিবেচনার আবেদনে দায়মুক্তি দেওয়ার প্রসঙ্গটিও এসেছে উল্লেখ করে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, সরকার নাকি জুলাই অভ্যুত্থানের সময় বিভিন্ন নিষ্ঠুরতার ঘটনাকে দায়মুক্তি দিয়েছে, যা ব্লাটান্ট লাই (স্পষ্ট মিথ্যা)। এ রকম কোনো দায়মুক্তি দেওয়া হয়নি।
চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামের অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে হাসানুল হক ইনুর আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, তিনি এ বিষয়ে আদালতে শুনানির সময় কথা বলবেন। গণমাধ্যমে কথা বলতে পারবেন না।
সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনসুরুল হক আরও বলেন, আজকে পুনর্বিবেচনার আবেদন তালিকায় এসেছিল, সেটা তাঁরা জানতেন না। এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির দিন রয়েছে আগামী রোববার।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: জ ল ই ব প লবক ত জ ল ইসল ম আইনজ ব কর ছ ন অপর ধ সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
জামায়াত বিজয়ী হলে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে : মাও. জব্বার
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের জামায়াত মনোনীত এমপি প্রার্থী মাওলানা আবদুল জব্বার বলেন, মানুষের সৃষ্টিকর্তা মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আল কুরআন নাযিল করেছেন,আল কুর আনের বিধান দিয়ে দেশ পরিচালিত হলেই কেবল মানুষ আইনের শাসন পেতে পারে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দেশের মানুষের আইনের শাসন উপহার দেওয়ার জন্যই কাজ করে যাচ্ছে। ইনশাআল্লাহ জামায়াত বিজয়ী হলে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) নারায়ণগঞ্জ আদালত পাড়ায় গণসংযোগকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, অতীতের অনেক শাসক দেখেছি যারা ক্ষমতায় যাওয়ার আগে মিস্টি মিস্টি কথা বলেছে তারপর ক্ষমতায় গিয়ে দুর্নীতি আর দু:শাসন জাতিকে উপহার দিয়েছে।
দুর্নীতি আর দু:শাসন দূর করতে হলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়ি পাল্লার বিজয় নিশ্চিত করতে হবে। ইনশাআল্লাহ আমরা কথা দিচ্ছি আমাদের কথা এবং কাজে মিল থাকবে।
উক্ত গণসংযোগে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ লইয়ার্স কাউন্সিল নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট মাঈন উদ্দিন মিয়া, আইনজীবী থানা সভাপতি এডভোকেট জাহাঙ্গীর দেওয়ান সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট নিজামউদ্দিন, অ্যাডভোকেট আবু তাহের, অ্যাডভোকেট গোলাম সারোয়ার, অ্যাডভোকেট গোলাম মর্তুজা, অ্যাডভোকেট আক্তার হোসেন, এডভোকেট সাইফুর রহমান, অ্যাডভোকেট ওয়ালিউল্যা রাসেল, এডভোকেট ওমর ফারুক প্রিন্স, অ্যাডভোকেট শেখ ফয়সাল লাভলু, এডভোকেট কাওসার মিয়া, অ্যাডভোকেট নূরে আলম, অ্যাডভোকেট তাওফিকুল ইসলাম সহ জামায়াতের আইনজীবী নেতৃবৃন্দ।