যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিএনপি-সমর্থিত প্যানেল বিশাল জয় পেয়েছে। 

এই নির্বাচনে সভাপতি পদে বিজয়ী হয়েছেন যশোর জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু। তার প্রাপ্ত ভোট ৩৩৭। 

সাধারণ সম্পাদক পদে ২৭১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন বর্তমান সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম এ গফুর।

শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে বেসরকারিভাবে এই ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মোহসীন আলী।

ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, সভাপতি পদে জামায়াতে ইসলামী-সমর্থিত অ্যাডভোকেট আব্দুল লতিফ পেয়েছেন ১৭১টি ভোট। 

সাধারণ সম্পাদক পদে এম এ গফুরের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন আবু মোর্ত্তজা ছোট, যিনি ১৫৪টি ভোট পেয়েছেন। এই পদে আরেক প্রার্থী কাজী রেফাত রেজওয়ান সেতু পেয়েছেন ৮২টি ভোট।

সহ-সভাপতি পদে ৩৫৭ ভোটে অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফা এবং ২৪৯ ভোট পেয়ে বাসু দেব বিশ্বাস নির্বাচিত হয়েছেন। 

যুগ্ম সম্পাদক পদে ৩৪৯ ভোট পেয়ে জয় পেয়েছেন অ্যাডভোকেট নূর আলম পান্নু। 

সহকারী সম্পাদক পদে ৩৩৭ ভোট পেয়ে অ্যাডভোকেট সেলিম রেজা, ২৯৪ ভোট পেয়ে অ্যাডভোকেট রিনা আখতার মিলি জয়ী হয়েছেন। 

গ্রন্থাগার সম্পাদক পদে ২৫০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান সোহেল।

যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে কার্যকরী সদস্য পদে জয়ীরা হলেন: অ্যাডভোকেট রেহেনা পারভীন (প্রাপ্ত ভোট ৩৫৫), মুন্সি মোঃ মঞ্জুরুল মাহমুদ লিটু (প্রাপ্ত ভোট ৩১৮), মওলুদা পারভীন (প্রাপ্ত ভোট৩১৮), আজাহারুল ইসলাম (প্রাপ্ত ভোট ২৬০), শফিকুল ইসলাম (প্রাপ্ত ভোট ২৫৯)।

নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মোহসীন আলী বলেন, “শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বিকােল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হয়েছে। মোট ৫৩৬ জন ভোটারের মধ্যে ৫২০ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। সন্ধ্যায় ভোট গণনা শুরু হয়। গণনা শেষে রাত ১০টায় ফলাফল ঘোষণা করা হলো।

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর যশ র জ ল হয় ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রাম্পের প্রেস সেক্রেটারি লেভিটের ভাইয়ের সাবেক স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে আইস

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিটের পরিবারের সঙ্গে সম্পর্কিত এক নারীকে চলতি মাসের শুরুতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি মার্কিন ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্টের (আইসিই যা আইস নামে পরিচিত) হেফাজতে রয়েছেন।

ব্রাজিলের নাগরিক ব্রুনা ক্যারোলিন ফেরেইরা হচ্ছেন ক্যারোলিন লেভিটের ভাই মাইকেল লেভিটের সাবেক স্ত্রী। তাঁদের একটি সন্তান রয়েছে। বর্তমানে ফেরেইরা ও মাইকেল লেভিট আলাদা রাজ্যে বসবাস করেন। ওই নারীকে ১২ নভেম্বর ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের রাজধানী বোস্টনের কাছ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে তাঁর আইনজীবী টড পোমারলিউ জানিয়েছেন।

বিষয়টি সম্পর্কে অবগত একটি সূত্র সিএনএনকে জানিয়েছে, ফেরেইরার ১১ বছর বয়সী ছেলে জন্ম থেকেই তার বাবা মাইকেল লেভিটের (ক্যারোলিন লেভিটের ভাই) সঙ্গে নিউ হ্যাম্পশায়ারে থাকে। সূত্র আরও জানায়, ফেরেইরা ও হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারির মধ্যে বহু বছর ধরে কোনো যোগাযোগ নেই।

হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের এক মুখপাত্র সিএনএনকে বলেন, ফেরেইরার ১৯৯৯ সালের জুনে দেশ ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভ্রমণ ভিসা মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পর তিনি অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে থেকে যান। মুখপাত্র বলেন, ফেরেইরা ‘মারধরের এক ঘটনায় আগে একবার গ্রেপ্তার হয়েছেন’। তিনি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়নের প্রক্রিয়ার মধ্যে আছেন।

তবে ফেরেইরার আইনজীবী পোমারলিউ বলেন, তিনি একসময় ডিফার্ড অ্যাকশন ফর চাইল্ডহুড অ্যারাইভালসের (ডিএসিএ) সুবিধাভোগী ছিলেন। এই কর্মসূচির আওতায় শৈশবে যুক্তরাষ্ট্রে আসা ব্যক্তিদের সাময়িকভাবে নির্বাসন থেকে সুরক্ষা দেয়।

পোমারলিউ বলেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর প্রথম মেয়াদে এই কর্মসূচি বন্ধ করার চেষ্টা করেন। ওই সময় ফেরেইরা তাঁর ডিএসিএ স্ট্যাটাস নবায়ন করতে পারেননি। বর্তমানে তিনি মার্কিন নাগরিকত্বের জন্য ‘আইনগত অভিবাসনপ্রক্রিয়া’র মধ্যে রয়েছেন।

পোমারলিউ সিএনএনকে বলেন, নিউ হ্যাম্পশায়ার থেকে তাঁর ছেলেকে আনতে যাওয়ার সময় ফেরেইরাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ফেরেইরা ও মাইকেল লেভিটের একসময় বাগদান হয়েছিল। তাঁদের ১১ বছর বয়সী সন্তান তাঁদের দুজনের কাছেই থাকে।

সিএনএনের সহযোগী সংবাদমাধ্যম ডব্লিউএমইউআরকে মাইকেল লেভিট বলেন, ফেরেইরা তাঁদের ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন। কিন্তু গ্রেপ্তারের পর থেকে ছেলেটি তাঁর সঙ্গে কথা বলতে পারেনি। তিনি পরিস্থিতিটিকে কঠিন বলে বর্ণনা করে বলেন, তিনি কেবল তাঁর ছেলের জন্য সেরা বিকল্পটাই চান।

ফেরেইরার আইনজীবী জানান, গোফান্ডমি (GoFundMe) পেজের মাধ্যমে ফেরেইরার বোন গ্রাজিয়েলা ডস স্যান্তোস রদ্রিগেস আইনি ফি ও অন্যান্য খরচের তহবিল সংগ্রহ করছেন। আজ বুধবার সকাল পর্যন্ত ১৫ হাজার ডলারের বেশি অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছে।

ফেরেইরার বোন গোফান্ডমি ক্যাম্পেইনে লিখেছেন, ‘ব্রুনা ফেরেইরা ১৯৯৮ সালের ডিসেম্বরে যখন শিশু ছিল, তখন আমাদের মা–বাবা আমাদের যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে এসেছিলেন। তার পর থেকে তিনি এখানে স্থিতিশীল, সৎ জীবন গড়তে তার সাধ্যের সবকিছু করেছেন।’

স্যান্তোস রদ্রিগেস আরও উল্লেখ করেন, ফেরেইরা ডিএসিএর মাধ্যমে তাঁর আইনি স্ট্যাটাস বজায় রেখেছিলেন।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর প্রথম মেয়াদে ডিএসিএ বন্ধ করার চেষ্টা করেছিলেন। তবে সুপ্রিম কোর্ট রায় দেন, তাঁর প্রশাসন এটি করতে সঠিক পদক্ষেপ নেয়নি। তবে বর্তমান প্রশাসনে ব্যাপকভাবে অভিবাসনবিরোধী অভিযান শুরুর পর ডিএসিএ সুবিধাভোগী অনেকেও গ্রেপ্তার হয়েছে।

হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের সহকারী সচিব ট্রিসিয়া ম্যাকলাফলিন সম্প্রতি বার্তা সংস্থা এপিকে বলেন, ওবামা-যুগের কর্মসূচির আওতায় সুবিধাভোগীরা ‘স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্বাসন থেকে সুরক্ষিত নন’। তিনি যোগ করেন, ডিএসিএ এ দেশে কোনো ধরনের আইনি মর্যাদা দেয় না।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ত্বকী হত্যা মামলার অভিযোগপত্র দ্রুত দাখিলে তদন্ত কর্মকর্তাকে তাগিদ আদালতের
  • ‘অনলাইন সহিংসতা প্রতিরোধে শক্তিশালী সুরক্ষা ব্যবস্থা গড়তে হবে’
  • ইনুর আবেদনে জুলাই বিপ্লবকে ‘সো কলড’ বলা হয়েছে, এটা রাষ্ট্রদ্রোহিতা: তাজুল ইসলাম
  • শেখ হাসিনা এবং সজীব ও পুতুলের সর্বোচ্চ শাস্তি না হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষের অসন্তোষ
  • নায়িকা পপিকে আইনি নোটিশ
  • বেসরকারি প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের রায় স্থগিত চেয়ে লিভ টু আপিল
  • শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ
  • ট্রাম্পের প্রেস সেক্রেটারি লেভিটের ভাইয়ের সাবেক স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে আইস
  • এক বছরেও ১৭ আসামির হদিস পাচ্ছে না পুলিশ