আইএসইউ ক্যাম্পাসে উৎসবমুখর পরিবেশে ক্রিকেটারদের সংবর্ধনা
Published: 20th, May 2025 GMT
ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটির (আইএসইউ) মহাখালী ক্যাম্পাসে সোমবার ইউল্যাব ফেয়ার প্লে কাপ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ২০২৫-এ রানার্সআপ হওয়া আইএসইউ ক্রিকেট টিমের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ক্রিকেটারদের অর্থ ও অনুপ্রেরণা স্মারক দিয়ে সম্মানিত করা হয়।
আইএসইউ উপাচার্য প্রফেসর ড.
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইঞ্জিনিয়ার মো. আতিকুর রহমান আইএসইউ ক্রিকেট টিমকে অভিনন্দন জানিয়ে খেলাধুলার পাশাপাশি পড়াশোনার গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বর্তমান বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিক্ষার্থীদের অলরাউন্ডার হতে হবে এবং ভবিষ্যতের জন্য নিজেদের যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে।
উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল আউয়াল খান শিক্ষার্থীদের এই সাফল্যে আনন্দ প্রকাশ করে বলেন, আইএসইউর শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা ও সামাজিক কার্যক্রমে যেমন ভালো, তেমনি খেলাধুলাতেও নিজেদের দক্ষতা প্রমাণ করেছে। তিনি পড়াশোনা, খেলাধুলা এবং সামাজিক—এই তিনটি ক্ষেত্রেই সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। ক্রিকেট টিমের খেলোয়াড় ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে তিনি ধন্যবাদ জানান।
উল্লেখ্য, দেশের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নিয়ে আয়োজিত ইউল্যাব ফেয়ার প্লে কাপের ১৫তম আসরে প্রথমবারের মতো অংশগ্রহণ করেই ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটি রানার্সআপ হওয়ার গৌরব অর্জন করে। টুর্নামেন্টের গ্রুপপর্বে আইএসইউ ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (আইইউবি), ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউআইইউ), ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ) এবং ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজিকে (আইইউবিএটি) পরাজিত করে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়। সেমিফাইনালে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজিকে (বিইউবিটি) হারিয়ে তারা ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে, যেখানে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল ইউল্যাব। এই টুর্নামেন্টে আইএসইউ ক্রিকেটার মোহাম্মদ রমজান তার অসাধারণ নৈপুণ্য দেখিয়ে তিনবার ম্যান অব দ্য ম্যাচ এবং টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আইএসইউর ট্রেজারার প্রফেসর এইচ টি এম কাদের নেওয়াজ, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মনজুর মোর্শেদ মাহমুদ এবং প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. আবুল কাশেম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন আইএসইউ ক্রিকেট টিমের উপদেষ্টা প্রফেসর মোহাম্মদ আলী। এ ছাড়া দলের ম্যানেজার মুহাম্মদ আবু নাজিম এবং অধিনায়ক মাজহারুল ইসলাম বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রোগ্রামের চেয়ারপারসন, শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষার্থী ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আইএসইউ ক র ক ট ইউন ভ র স ট অন ষ ঠ ন
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের জন্য যা যা করা দরকার, সব করেছেন আহমদ ছফা
আহমদ ছফাকে বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই সহ্য করতে পারতেন না। কিন্তু তাঁর বেশির ভাগ কথা এখন সত্যে পরিণত হয়েছে। দেশের সঙ্গে তিনি প্রাণকে যুক্ত করেছিলেন। দেশকে ভালোবেসে যা যা করা দরকার, তার সবকিছু করেছেন।
শুক্রবার বিকেলে আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতায় সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান এসব কথা বলেন। এশীয় শিল্পী ও সংস্কৃতি সভা জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতা-২০২৫’ আয়োজন করে। ‘আহমদ ছফার রাষ্ট্র বাসনা এবং জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পরিচয়’ শীর্ষক স্মৃতি বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এশীয় শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সভার সভাপতি জহিরুল ইসলাম। আহমদ ছফা (১৯৪৩–২০০১) ছিলেন লেখক, প্রগতিশীল সাহিত্যকর্মী ও রাজনৈতিক চিন্তক।
অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘আহমদ ছফা ছিলেন মূলত সাহিত্যিক। তবে তিনি সাহিত্যের গণ্ডি পেরিয়ে চিন্তাকে রাষ্ট্রভাবনা বিষয়ে প্রসারিত করেছিলেন। তিনি ছিলেন অনেক দূরদৃষ্টিসম্পন্ন। তিনি এমন বিষয় নিয়ে চিন্তা করেছিলেন, তা অনেক সময় আমরা বুঝতে পারি না।’ ছফা বলেছিলেন, ‘বিপ্লবের একটি নতুন ভাষা থাকতে হবে। মানুষের রাষ্ট্রের বাসনা বুঝতে হবে। দেশটা আমার নিজের বলে মনে করলে তার সমস্যার সমাধানও আমার নিজের মতো করেই ভাবতে হবে।’
স্মৃতি বক্তৃতায় ফারুক ওয়াসিফ বলেন, আহমদ ছফা রাষ্ট্র নিয়ে গভীরভাবে ভেবেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে ধরনের দেশ সেই বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করার মতো কোনো তাত্ত্বিক রাজনৈতিক রূপরেখা নেই। কোনো রাজনৈতিক দলও নেই।
ফারুক ওয়াসিফ বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পূর্বপরিকল্পনা ছিল না। একাত্তর ছিল অপরিকল্পিত। একইভাবে জুলাই অভ্যুত্থানও হয়েছে অপ্রস্তুতভাবে। এখন জুলাইয়ের নেতারা প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হয়েছেন। বড় দলের যে সামর্থ্য আছে, সেই শক্তি–সামর্থ্য তাদের নেই। তারা মিত্রহীন হয়ে পড়েছে।’
আহমদ ছফার বন্ধু ব্যবসায়ী আবদুল হক বলেন, জনগণ রাষ্ট্রের পরিবর্তন চেয়েছিল। বাংলাদেশের নবীন প্রজন্ম সেই পরিবর্তন ঘটিয়েছে। সারা বিশ্ব দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ প্রতিবাদ করতে জানে। এখন একটি নতুন রাজনীতি দরকার।