হামলা করে আহত করেছ, আরো যা ইচ্ছা কর, অটোপাস দেব না: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য
Published: 22nd, May 2025 GMT
অটোপাসের দাবিতে হামলার শিকার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম আমানুল্লাহ জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীরা যা ইচ্ছে করতে পারে কিন্তু কোনোভাবেই তাদের দাবি মেনে নেওয়া হবে না।
বুধবার (২১ মে) রাতে ফেসবুক পোস্টে হামলার সময় তোলা একটা ছবি শেয়ার করে তিনি এ তথ্য জানান।
অধ্যাপক এ এস এম আমানুল্লাহ বলেন, “তোমরা হামলা করেছ, আমাকে আহত করেছ, আরো যা ইচ্ছে করতে পার, কর। অটোপাস আমরা দেব না।“
শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস হতে না দেওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত বরে তিনি বলেন, “চোখের সামনে একটা জাতির শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস হতে আমরা দেব না। দেশের উচ্চশিক্ষার ৭০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণকারী একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান কোনো অবস্থাতেই অটোপাস দিতে পারে না।”
তার ওই লেখার নিচে অনেকে হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন এবং তার দৃঢ় অবস্থানের প্রতি একত্মতা জানিয়েছে।
আমিন আল রশিদ নামে একজন লিখেছেন, “এটাই মেরুদণ্ডটাই জরুরি স্যার। আপনাকে ধন্যবাদ।”
হোসেন জাকির নামে একজন লিখেছেন, “দিন দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গরু ছাগলের খামারে পরিণত হতে যাচ্ছে! শুরুতেই নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে ভবিষ্যৎ অন্ধকার !”
এর আগে গতকাল দুপুরে অটোপাসের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের হামলার শিকার হন তিনি।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গাজীপুরের ক্যাম্পাসে উপাচার্যের ওপর হামলার তথ্য দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো.
দেশের কলেজগুলোতে স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষ্য ধরে ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এখন ২ হাজার ২৫৭টি কলেজ ও ইনস্টিটিউট রয়েছে। বর্তমানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৪ লাখ ২৫ হাজার ৮৩২ জন।
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
করোনায় একজনের মৃত্যু, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ২৯৪
দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে আজ শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এ বছর করোনায় ২৪ জনের মৃত্যু হল। আজ শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ২৯৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রোগী ভর্তি হয়েছেন বরগুনা জেলায়। বরগুনা সদর হাসপাতালে ৬৬ জন রোগী এক দিনে ভর্তি হয়েছেন।
ডেঙ্গুতে এ বছর হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১১ হাজার ৯৫৪ জনে, আর মারা গেছেন ৪৫ জন। সরকারি তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ডেঙ্গু রোগীর ৪৪ শতাংশই বরিশাল বিভাগে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, গত একদিনে সারা দেশে ২৩৯ জন সন্দেহজনক ব্যক্তির করোনা পরীক্ষা হয়। এর মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৬ জনের। পাশাপাশি ওই সময় ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন পুরুষ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তার বয়স ছিল ৬০ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে। করোনায় এ বছর মারা যাওয়া ২৪ জনের মধ্যে নারী ১৩ জন, বাকি ১১ জন পুরুষ।
এ বছর করোনায় বেশি মৃত্যু হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগে। এই বিভাগে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঢাকা বিভাগে মারা গেছে ৯ জন। এ ছাড়া খুলনা বিভাগে ৩ জন ও সিলেট বিভাগে ২ জন মারা গেছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, জুলাইয়ের ৫ দিনে এক হাজার ৬৫৮ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং মারা গেছেন তিন জন। সারা দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ১ হাজার ২৩৬ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৩৫৭ জন, বাকি ৮৭৯ জন অন্যান্য বিভাগে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ বছরের জানুয়ারিতে ১ হাজার ১৬১ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩৭৪ জন, মার্চে ৩৩৬ জন, এপ্রিলে ৭০১ জন এবং মে মাসে ১ হাজার ৭৭৩ জন ও জুনে ৫ হাজার ৯৫১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। এর মধ্যে জানুয়ারিতে ১০ জন, ফেব্রুয়ারিতে তিন জন, এপ্রিলে সাত জন, মে মাসে তিন জন ও জুন মাসে ১৯ জনের মৃত্যু হয়।