পঞ্চগড়ের বড়বাড়ি সীমান্তে নারী ও শিশুসহ ২১ জনকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের আওতাধীন উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের বড়বাড়ি সীমান্তের মেইন পিলার ৭৫৭ এর ১০ নম্বর সাব পিলার এলাকা দিয়ে তাদের বাংলাদেশে পুশইন করা হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, আটকদের মধ্যে ছয় জন নারী, দুইজন পুরুষ ও ১৩ জন শিশু। তারা সবাই বাংলাদেশি নাগরিক। ভারতীয় পুলিশ তাদেরকে গুজরাটের বিভিন্ন এলাকা থেকে আটক করে বিমানযোগে কলকাতা নিয়ে আসে। ২১ মে রাতে তাদের ভারতের ৯৩ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের টিয়াপাড়া ক্যাম্পে হস্তান্তর করে। রাতেই টিয়াপাড়া বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা তাদেরকে বড়বাড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পুশইন করে। খবর পেয়ে ওই সীমান্তের জয়ধরভাঙা বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের আটক করে।
আটকদের সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তরসহ তাদের বিরুদ্ধে বিজিবির পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.
এর আগে গত ১৬ মে গভীর রাতে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার কাজলদিঘী কালিয়াগঞ্জ ইউনিয়নের ভারতীয় নাউতারী, প্রধান পাড়া সীমান্ত দিয়ে নারী শিশুসহ ১১ জনকে পুশইন করে ভারতীয় বিএসএফ।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
খাগড়াছড়ি সীমান্তে ৫ জনকে পুশইন করল বিএসএফ
খাগড়াছড়ির রামগড় সীমান্ত দিয়ে শিশুসহ পাঁচজনকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আজ বৃহস্পতিবার তাদের পুশইন করা হয়।
জানা গেছে, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সাব্রুম সীমান্ত থেকে রামগড় সীমান্তের ফেনী নদী দিয়ে পাঁচজনকে পুশইন করেছে বিএসএফ। তারা একই পরিবারের এবং ভারতের হরিয়ানার বাসিন্দা।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তিরা জানান, তারা ভারতের হরিয়ানার বাসিন্দা এবং সেখানে একটি ইট-ভাটায় কাজ করতেন।
রামগড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (দায়িত্বপ্রাপ্ত) ইসমত জাহান তুহিন বলেন, পাঁচজনকে সাময়িকভাবে রামগড় সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে রাখা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বিজিবি, উপজেলা প্রশাসন ও রামগড় থানা সমন্বিতভাবে কাজ করছে এবং তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।