আশ্রয়ণ প্রকল্পের জমি থেকে অবৈধ দোকান উচ্ছেদের দাবি
Published: 23rd, May 2025 GMT
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে আশ্রয়ণের জায়গায় প্রভাবশালীদের ১৭টি অবৈধ দোকানসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন প্রকল্পের বাসিন্দা ও শিক্ষার্থীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার বারুহাঁস ইউনিয়নের বড় পোওতা প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
এতে প্রকল্পে বসবাসরত শতাধিক মানুষ অংশ নেন। তারা দ্রুত ওই প্রকল্পের জায়গা থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।
বড় পোওতা আশ্রয়ণ প্রকল্পের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব হোসেন জানান, ২০১১ সাল থেকে ৪০টি পরিবার আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছে। ওই সময় বড় পোওতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও গ্রামের শিশু-কিশোরদের খেলার জন্য মাঠের জায়গা নির্ধারণ করা হয়। সেখানে কয়েকজন প্রভাবশালী অবৈধভাবে ১৭টি দোকান তৈরি করে ছোটখাটো বাজার গড়ে তুলেছেন। সেখানকার চা স্টলে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত উচ্চ শব্দে সিডি, টিভি চালানো হয়। অনলাইন জুয়া, টাকা দিয়ে ক্যারম, লুডু খেলা চলে দিনভর। এসব কারণে আশ্রয়ণের বাসিন্দা ও পোওতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় ব্যাঘাত ঘটছে।
প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার সাহা জানান, স্কুলের পাশে বাজার থাকলে সমস্যা হয়। সারাক্ষণ শোরগোল লেগেই থাকে। এতে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় ব্যাঘাত হচ্ছে।
অভিযুক্তদের একজন পোওতা বাজারের দোকানদার আব্বাস আলী। তিনি বলেন, গ্রামে ব্যবসা করার মতো ভালো জায়গা নেই। পরিবারের সদস্যদের রুজির জন্য এখানে ব্যবসা করছি।
এ বিষয়ে বারুহাঁস ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো.
তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুরুল ইসলাম সমকালকে বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ক্ষমা চাওয়ার পরই খেলতে রাজি হয়েছিল পাকিস্তান
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে টসের আগ পর্যন্ত দারুণ নাটকীয়তায় ঘেরা ছিল পাকিস্তানের ড্রেসিং রুম। ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্টকে দায়িত্ব থেকে সরানোর দাবি তোলে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তবে আইসিসি সে দাবি আমলে নেয়নি। শেষ পর্যন্ত নিজের ভুল স্বীকার করে পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলী আগা ও দলের ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান পাইক্রফ্ট। এরপরই মাঠে নামতে রাজি হয় পাকিস্তান দল।
ঘটনার সূত্রপাত ১৪ সেপ্টেম্বরের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ থেকে। টসের সময় দুই অধিনায়কের করমর্দন হয়নি। আরও বড় বিতর্ক তৈরি হয় ম্যাচ শেষে। জয়ী ভারতের ক্রিকেটাররা করমর্দন এড়িয়ে দ্রুত ড্রেসিং রুমে ফিরে যান। সালমান আলী আগার নেতৃত্বে পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করলেও সূর্যকুমার যাদব, শিভাম দুবেসহ পুরো ভারতীয় দল সেই শিষ্টাচার মানেনি।
আরো পড়ুন:
আজ মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান, যে ম্যাচে ঝুলছে বাংলাদেশের ভাগ্য
আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান
এমন ঘটনার প্রতিবাদে পাকিস্তান অধিনায়ক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান বর্জন করেন। পরে আইসিসির কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানায় পিসিবি। তাদের দাবি ছিল, ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ইচ্ছাকৃতভাবেই দুই অধিনায়কের হাত মেলানো আটকান, যা আইসিসির আচরণবিধি ও ক্রিকেটের স্পিরিটের পরিপন্থী।
যদিও আইসিসির ব্যাখ্যা ছিল ভিন্ন। তারা জানায়, এসিসির কর্মকর্তাদের নির্দেশেই কাজ করেছেন পাইক্রফ্ট। কিন্তু পাকিস্তান নড়েচড়ে বসে। এমনকি জানিয়ে দেয়, পাইক্রফ্ট দায়িত্বে থাকলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে মাঠে নামবে না তারা। এই হুমকির কারণে ম্যাচের শুরুর সময় এক ঘণ্টা পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয় আয়োজকরা।
লাহোরে রমিজ রাজা, নাজাম শেঠিসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। পরে সমঝোতার পথ খোঁজা হয়। অবশেষে পাইক্রফ্ট স্বীকার করেন, ভুল বোঝাবুঝির কারণেই পরিস্থিতি এতদূর গড়ায়, এবং তিনি পাকিস্তান অধিনায়ক ও ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান। তাতেই সন্তুষ্ট হয়ে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান দল।
বুধবার রাতে ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের সেই শেষ ম্যাচে আরব আমিরাতকে ৪১ রানের ব্যবধানে হারিয়ে সুপার ফোরে ভারতের সঙ্গী হয় সালমান-শাহীনরা। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭.৪ ওভারে ১০৫ রানেই গুটিয়ে যায় আরব আমিরাত।
ঢাকা/আমিনুল