সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার আটগ্রাম সীমান্তের পর এবার সনাতনপুঞ্জি সীমান্ত দিয়ে ২১ জনকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ। শনিবার সকালে তাদের পুশইন করা হয়। পরে তাদেরকে আটক করে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড-বিজিবি। ১৯-বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. জুবায়ের আনোয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 

তিনি বলেন, সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের দায়ে ২১ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ২১ জনের মধ্যে ১২ জন পুরুষ, ৪ জন নারী ও ৫ জন শিশু রয়েছে।
 
আটক ব্যক্তিরা হলেন- কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ি থানার চন্দ্রকোনা গ্রামের বাতেনের ছেলেন নুর মোহাম্মদ (৪০), তার স্ত্রী রেজিয়া বিবি (৩০), তাদের সন্তান রিয়াজুল (২১), রবিউল (১১), নুর বানু (৮), নুর মনি (৩), নুরী (০১), পুত্রবধু আলমিনা (২১), একই থানার ধর্মপুর গ্রামের আব্দুলের ছেলে শাহ জামাল (৫০), তার স্ত্রী হাছনা বানু (৪৩), তাদের ছেলে হামিদুল ইসলাম (৩২), হাফিজুল (১৯), হাসানুর (১৪), পুত্রবধু মিতা (২৫), হামিদুলের শিশু মেয়ে হালিমা (৪), ছেলে মারুফ (২), নাটোর জেলার লালপুর গ্রামের কাংগাল শেখের ছেলে আইয়ুব আলী (৪০), একই গ্রামের রবেশ শেখের ছেলে বিষু শেষ, রাজশাহী জেলার সদর থানার কাজিহাটা গ্রামের বজলুর রহমানের ছেলে আলী রেহমান (২৮), নিজাম উদ্দিন (২২), একই জেলার চক রাজাপুর গ্রামের মইন উদ্দিন সরকারের ছেলে পলাশ সরকার।

জানা গেছে, পুশইন হওয়া ২১ জন দীর্ঘদিন ভারতের বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করছিলেন। সম্প্রতি তাদেরকে ভারতের আইনশৃঙ্খলা-রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বাংলাদেশি দাবি করে সীমান্তবর্তী এলাকায় বিএসএফ এর কাছে স্থানান্তর করে। শনিবার সকালে তাদের বাংলাদেশে পুশইন করে বিএসএফ।

এর আগে গত ১৪ মে কানাইঘাট উপজেলার আটগ্রাম সীমান্ত দিয়ে ১৬ জনকে পুশইন করে বিএসএফ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এসএফ প শইন ব এসএফ ২১ জন

এছাড়াও পড়ুন:

জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক

জঙ্গি সন্দেহে কলকাতা পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে এক বাংলাদেশি নাগরিক। মুফতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ নামে ওই বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয় পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার গয়েশপুর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা থেকে। এরপর তাকে ফাঁড়িতে নিয়ে এসে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে। 

ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ভারত থেকে নিজের দেশে ফিরে যাননি মাসুদ। তিনি অবৈধভাবে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কাটাগঞ্জ এলাকায় বসবাস করতেন। সম্প্রতি তার বেশ কিছু কর্মকান্ডে সন্দেহ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর পরই মাসুদকে ইসলামী উগ্রপন্থী বলে দাবি করে পুলিশে অভিযোগ করা হয়। যেহেতু তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাই পুলিশ তাকে একজন অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতীয় আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে। 

বিষয়টি সামনে আসার পরই যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়িয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে কলকাতা পুলিশের পক্ষে কিছুই জানানো হয়নি। 

অন্যদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় ভারত বাংলাদেশের দিনাজপুর সীমান্ত ও ভোমরা ঘোজাডাঙা সীমান্তে এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন আরো ১১ জন বাংলাদেশি নাগরিক। 

পুলিশ ও বিএসএফের যৌথ অভিযানে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এক বাংলাদেশি নাগরিককে। আটককৃতে ওই ব্যক্তির নাম পঞ্চানন পাল। তিনি বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গা থানার বাসিন্দা। ভারতে তিনি পরিচয় বদল করে রূপায়ণ পাল নামে বসবাস করছিলেন বলে অভিযোগ। তার কাছ থেকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ছাড়াও ভারতের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও এমনকি ভারতীয় পাসপোর্ট পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে। 

একইদিনে ভারত থেকে অবৈধ পথে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময়ে ঘোজাডাঙ্গা ভোমরা সীমান্তের কাছে সরুপনগর এলাকার তারালি সীমান্ত থেকে বিএসএফের ১৪৩নম্বর ব্যাটালিয়নের হাতে আটক হয়েছেন আরো বাংলাদেশি নাগরিক। 

সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে আটকের পর তাদের স্বরূপনগর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে তিন শিশু, তিনজন পুরুষ ও চারজন নারী। এর সবাই বাংলাদেশের সাতক্ষীরা এবং খুলনার বাগেরহাটের বাসিন্দা।

সুচরিতা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিলেট সীমান্তে বাংলাদেশে ঢুকে খুঁটি উপড়ে ফেলে বিএসএফ, স্থানীয়দের প্রতিবাদ
  • পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনে কর্মকর্তা নিয়োগ, বেতন ৫১,০০০ টাকা
  • জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক