চট্টগ্রাম বন্দর আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে দেশের স্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ। তিনি বলেন, এ বন্দরের গতিশীলতা বাড়াতে পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি সড়ক অবকাঠামোর উন্নয়নসহ অন্যান্য দিকেও দৃষ্টি দিতে হবে। বন্দর নিয়ে যে পদক্ষেপই নেওয়া হোক না কেন, দেশের স্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হোক।

শনিবার এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। 

অলি আহমদ বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের সার্বিক অব্যবস্থাপনার বিষয়টি বহুল আলোচিত। আমদানিকারকরা তাদের আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আমদানি পণ্যের দামও বাড়িয়ে দেন। এতে ভোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হন। যেহেতু দেশের সিংহভাগ পণ্যের আমদানি-রপ্তানি হয় এ বন্দর দিয়ে, সেহেতু বন্দরের অব্যবস্থাপনা দূর করতে দেরি হলে দেশের উন্নয়নে এর প্রভাব পড়বে। 

তিনি বলেন, বাংলাদেশের অধিকাংশ বৈদেশিক বাণিজ্য নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল দিয়ে সম্পন্ন হয়। প্রাকৃতিক কারণে ২০০ মিটারের বেশি দৈর্ঘ্যের জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়তে পারে না। এ কারণে বিশ্বব্যাংকের এক সমীক্ষা অনুযায়ী বাংলাদেশ প্রতিদিন প্রায় ১০ লাখ ডলারের ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। চট্টগ্রাম বন্দরকে আন্তর্জাতিক মানের  করতে অন্তর্বর্তী সরকার বিশ্বের খ্যাতিমান বন্দর ব্যবস্থাপনা সংস্থাগুলোকে আমন্ত্রণ জানিয়ে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে।  কাজ বাস্তবায়ন হলে দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। 

অলি আহমদ বলেন, প্রতিদিন চট্টগ্রাম বন্দর থেকে চাঁদার নামে কোটি কোটি টাকা তুলে নেয় রাজনৈতিক নেতাদের একটি চক্র। স্বচ্ছ ও আন্তর্জাতিক মানের ব্যবস্থাপনা এলেই চক্র ভেঙে যাবে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

১০ মাস পর ওবায়দুল কাদের ও শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে সুহেল আহমদ (২১) নিহতের ঘটনায় আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সাসংদ শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। মামলায় ১৫০-২০০ জনকে অজ্ঞাত হিসেবে আসামি করা হয়েছে।

হত্যার ঘটনার দশ মাস পর বৃহস্পতিবার রাতে নিহতের সহকর্মী ও বন্ধু আব্দুল হামিদ চৌধুরী ওরফে ফরহাদ বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন। তবে শনিবার বিকেলে মামলার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, নিহত যুবক সুহেল আহমদ পেশায় একজন টাইলস মিস্ত্রি। আন্দোলন চলাকালীন তিনি এবং বাদী উভয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল মোড়ে প্রিয়ম নিবাসের দ্বিতীয় তলার ডাচ বাংলা ব্যাংকের অফিসে টাইলসের কাজ করছিলেন।

ছাত্র-জনতা ২০ জুলাই যখন ভবনটির সামনে জড়ো হয়ে আন্দোলন করছিলেন, তখন প্রধান আসামি ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশনায় এবং দ্বিতীয় আসামি শামীম ওসমানের উপস্থিতিতে অন্যান্য আসামিরা অস্ত্র নিয়ে জনতার ওপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে আসামিরা ভিকটিম এবং বাদীর কর্মরত ভবনে আগুন জ্বালিয়ে দেয়।

এতে বাদী প্রাণ রক্ষায় ভবন থেকে লাফ দিয়ে পালাতে পারলেও ভিকটিম ভেতরে আটকা পড়ে পুড়ে মারা যায়। এই ঘটনার দুই দিন পর ভবনের ভেতর থেকে ভুক্তভোগী সুহেল আহমেদের পোড়া লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে নিহত সুহেল আহমেদের লাশ তার বাবা তাখলিসুর রহমানের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনূর আলম বলেন, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে ড. ইউনূসের পদত্যাগের সুযোগ নেই’
  • ১০ মাস পর ওবায়দুল কাদের ও শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
  • ‘ক্রান্তিকালের ত্রাতা মোহাম্মদ ইউনূস, আপনি সংস্কারকাজ সম্পন্ন করুন’
  • ‘প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করবেন না’ লেখা সরিয়ে নতুন পোস্ট দিলেন ফয়েজ তৈয়্যব
  • চকরিয়ায় বাড়ির উঠানে ছুরিকাঘাতে মাছ ব্যবসায়ী নিহত
  • প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করবেন না: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব
  • প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করবেন না, দেশের জন্য তাঁকে দরকার: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব
  • সরকারি দপ্তরের শৃঙ্খলা আনার নতুন হাতিয়ার ডিজিটাল সিগনেচার: ফয়েজ
  • আমার বাবা অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ