গাজীপুরের বোর্ডবাজার এলাকায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন-ক্যাম্পাস শিক্ষার্থীরা আবারও অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন। আশ্বাসের পরও দাবি পূরণ না হওয়ায় গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের সামনে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিতে শুরু করেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, তৃতীয় ব্যাচের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ও শিক্ষা কার্যক্রম সুনির্দিষ্টভাবে চলমান রাখার দাবিতে গত শনিবার তারা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। পরে রোববার দাবি আদায় করতে অনশন কর্মসূচি পালন করেন। পরে উপাচার্যের আশ্বাসে বিকেলে শিক্ষার্থীরা অনশন ভেঙে বাড়ি ফিরে যান। কিন্তু দাবি পূরণ না হওয়ায় মঙ্গলবার তারা অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অন-ক্যাম্পাস অনার্স প্রোগ্রাম ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে চালু হলেও এখন পর্যন্ত তৃতীয় ব্যাচের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়নি। শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন এই দাবিতে আন্দোলন করে এলেও আশ্বাসের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র বলছে, অন-ক্যাম্পাস অনার্স প্রোগ্রামে ৩00 শিক্ষার্থী আছে। প্রশাসন এটিকে আইনের মধ্যে থেকে কীভাবে বাস্তবায়ন করা যায়, সেজন্য গত সপ্তাহে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সঙ্গে বৈঠক করেছে। ইউজিসি আইনি ব্যাখ্যার জন্য বিষয়টি পাঠিয়েছে। ব্যাখ্যা পেলে কার্যক্রম শুরু হবে।
এ বিষয়ে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এস এম আমানুল্লাহর ফোনে কল করলে তিনি রিসিভ করেননি। খুদে বার্তা দিলেও সাড়া মেলেনি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অন ক য ম প স অবস থ ন

এছাড়াও পড়ুন:

জামায়াত–এনসিপি হঠাৎ উপদেষ্টাদের ওপর ‘ক্ষুব্ধ’ কেন

সপ্তাহখানেক আগে প্রথম আলো অনলাইনে প্রকাশিত একটি লেখার শিরোনাম ছিল ‘ উপদেষ্টারা কীভাবে আখের গুছিয়েছেন’, ‘কেন সেফ এক্সিটের কথা ভাবছেন’। লেখাটি শুরু হয়েছিল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের একটি সাক্ষাৎকারের সূত্র ধরে। লেখাটি শেষ হয়েছিল, ‘আখের গোছানো’ এবং ‘সেফ এক্সিট’ নিতে চাওয়া উপদেষ্টাদের নাম প্রকাশের আহ্বান জানিয়ে।

নাহিদ ইসলামের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় এ পর্যন্ত অন্তত পাঁচজন উপদেষ্টা প্রকাশ্যে তাদের প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে আছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন। তাঁদের মধ্যে রিজওয়ানা হাসান ‘সেফ এক্সিট’ নিতে চাওয়া উপদেষ্টাদের নাম প্রকাশের জন্য নাহিদ ইসলামের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন।

আরও পড়ুনউপদেষ্টারা কীভাবে ‘আখের গুছিয়েছে’, কেন ‘সেফ এক্সিটের কথা ভাবতেছে’০৮ অক্টোবর ২০২৫

‘সেফ এক্সিট কারা চাইছেন, শিগগিরই তালিকা প্রকাশ করবে এনসিপি’—এই রকম শিরোনামের একটি খবর নজরে এসেছে (যুগান্তর অনলাইন, ১৪ অক্টোবর ২০২৫)। এরপর এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্থা শারমিনও এ বিষয়ে কথা বলেছেন।

তিনি বলেন, ‘আমাদের দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম উপদেষ্টাদের সেফ এক্সিট নিয়ে যা বলেছেন, তা নিছক কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য নয়। তিনি (নাহিদ) নিজেও উপদেষ্টা পরিষদে ছিলেন। সরকারের ভেতর থেকে তিনি অনেকের ভূমিকা পর্যবেক্ষণের সুযোগ পেয়েছেন। তবে কোন কোন উপদেষ্টা সেফ এক্সিট চান, তাঁদের নামের তালিকা হয়তো তার কাছে আছে।’ (সরকারকে সতর্কবার্তা: কে কোন দলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরে পড়তে চান, জাতিকে জানাবে এনসিপি, যুগান্তর অনলাইন ১৪ অক্টোবর ২০২৫)

নাহিদ ইসলাম তাঁর সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, অনেক উপদেষ্টা নিজেদের আখের গুছিয়েছেন এবং সেফ এক্সিটের কথা ভাবছেন। (উপদেষ্টাদের অনেকেই সেফ এক্সিটের কথা ভাবতেছে, নাহিদ ইসলামের এ বক্তব্য নিয়ে আলোচনা, প্রথম আলো অনলাইন, ৫ অক্টোবর ২০২৫)

লক্ষণীয় হলো, সপ্তাহখানেক পরে সামান্তা শারমিন বললেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের প্রত্যেক উপদেষ্টা নিজের আখের গোছানোর কাজ করে রেখেছেন।….’ (প্রত্যেক উপদেষ্টা আখের গোছানোর কাজ করে রেখেছেন: সামান্তা শারমিন, সমকাল অনলাইন, ১২ অক্টোবর ২০২৫)

অল্প কয়েক দিনের মধ্য ‘অনেক’ থেকে সরে এসে ‘প্রত্যেক’ উপদেষ্টার বিরুদ্ধে আখের গোছানোর অভিযোগ করা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। এটা কি এনসিপির সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের দূরত্ব আরও বেড়ে যাওয়ার কোন ইঙ্গিত দিচ্ছে?

২.

এদিকে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের কোন কোন উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ‘মহা ষড়যন্ত্রের’ অভিযোগ আনা হয়েছে। জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেছেন, ‘...সিভিল ও পুলিশ প্রশাসনকে নিরপেক্ষভাবে ভূমিকা রাখতে হয়; কিন্তু আমরা দেখছি, সেই নিরপেক্ষ প্রশাসন, সিভিল ও পুলিশ প্রশাসনকে আবার দলীয়করণের জন্য এক মহা ষড়যন্ত্র হচ্ছে।’ (কোন কোন উপদেষ্টা ষড়যন্ত্রে, তাঁদের নাম ও কণ্ঠ রেকর্ড আছে: জামায়াত নেতা তাহের, প্রথম আলো অনলাইন, ১৪ অক্টোবর ২০২৫)

পুলিশ–প্রশাসনে নিজ দলীয় আদর্শের লোক বসানো যদি ‘ষড়যন্ত্র’ হয়, তাহলে সে ধরনের অভিযোগ জামায়াতের বিরুদ্ধেও উঠেছে। ‘অন্তর্বর্তী সরকারের প্রশাসনে খুঁজে খুঁজে ‘‘শিবির ক্যাডার ও জামায়াতে ইসলামী মতাদর্শের লোকজনকে’’ বসানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।’ (প্রশাসনে খুঁজে খুঁজে ‘জামায়াত-শিবিরের’ লোক বসানো হচ্ছে: রিজভী, বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫)

এর আগে অবশ্য তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বিএনপি এবং জামায়াত দুই বলের বিরুদ্ধেই প্রশাসনে লোক নিয়োগের অভিযোগ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী কাড়াকাড়ি করে প্রশাসনিক জায়গাগুলোতে তাদের লোক নিয়োগ করিয়েছে।’ (কাড়াকাড়ি করে প্রশাসনে লোক নিয়োগ করিয়েছে বিএনপি-জামায়াত: তথ্য উপদেষ্টা, প্রথম আলো অনলাইন, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫)

অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে বিএনপি ও জামায়াত–সমর্থিত ব্যক্তিরা রয়েছেন, এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই। লক্ষণীয় হলো ছাত্রদের প্রতিনিধি হিসেবে যে দুজন উপদেষ্টা এখনো সরকারে আছেন, তাঁদের আবার এনসিপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ রয়েছে। এর ফলে সরকারে এ তিনটি দলেরই লোক রয়েছে—এটা বলাই যেতে পারে। বিভিন্ন সময়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে  এ তিনটি দলকে ‘দৃষ্টিকটুভাবে’ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এমনকি জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী  হিসেবে শুধু এই দলগুলো থেকেই প্রতিনিধি নেওয়া হয়েছিল। এর ফলে সরকারে সঙ্গে তাদের ঘনিষ্ঠতার বিষয়টা দৃশ্যমান হয়েছে।

তাহলে জামায়াত এবং এনসিপি এখন কেন অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে ‘আখের গোছানো’, ‘সেফ এক্সিট নেওয়া’ কিংবা ‘ষড়যন্ত্র’ করার মতো গুরুতর সব অভিযোগ উত্থাপন করছে? এসব অভিযোগের মাধ্যমে  সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণ করার চেষ্টা হচ্ছে কি না, এমন প্রশ্নও উঠেছে। কেউ কেউ পাল্টা ষড়যন্ত্র বা চক্রান্ত করার কথাও বলছেন।

‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ করার গভীর চক্রান্ত শুরু হয়েছে বলে দাবি করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। তাঁর ভাষ্য, উপদেষ্টাদের সেফ এক্সিটের আলোচনা সামনে এনে সরকারের প্রতি মানুষের অনাস্থা তৈরির চেষ্টা চলছে।’ (অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ করার চক্রান্ত শুরু হয়েছে : রাশেদ খান, কালের কণ্ঠ অনলাইন, ১৪ অক্টোবর ২০২৫)

শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসনের পতনের পর দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে, অনেকেই এমন প্রত্যাশা করেছিলেন; কিন্তু সেটি যে হয়নি, পুরোনো নানা প্রবণতা ও দৃষ্টান্ত থেকে তা স্পষ্ট। এরই অংশ হিসেবে পুলিশ–প্রশাসনে নিজেদের লোক বসানো থেকে শুরু করে উপদেষ্টাদের ‘ব্ল্যাকমেল’ করার চেষ্টা দেখা যাচ্ছে। পরিহাসের বিষয় হলো, এসব অনেক কিছুই হচ্ছে ‘নতুন বন্দোবস্তের’ নামে।৩.

রাজনীতিতে ‘কন্সপিরেসি থিওরি’ বা ‘ষড়যন্ত্র তত্ত্ব’ খুবই জনপ্রিয় এবং বহুল ব্যবহৃত একটি বিষয়। রাজনীতিবিদেরা কারণে-অকারণে, প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে ষড়যন্ত্র বা চক্রান্তের কথা বলে থাকেন। এগুলো কতটা সত্যি আর কতটা প্রতিপক্ষ বা প্রতিদ্বন্দ্বীকে ঘায়েল করা, বেকায়দায় বা চাপে ফেলা কিংবা নিজেদের সুবিধা আদায়ের জন্য ব্যবহৃত হয়, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এ কারণেই ‘ষড়যন্ত্র তত্ত্ব’ থেকে একটু বাস্তব পরিস্থিতির দিকে ফিরে তাকানো দরকার।

এক-দেড় দশকের দীর্ঘ স্বৈরাচারী শাসনের পর বাংলাদেশে এখন একটি গণতান্ত্রিক উত্তরণের অপেক্ষায় রয়েছে। আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় নির্বাচন এই গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রধান উপলক্ষ হবে বলে অনেকেই প্রত্যাশা করছেন। কোনো কোনো রাজনৈতিক দল অবশ্য এ নির্বাচনে জয়ী হওয়া নিয়ে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী নয়। সরকারে নিজেদের লোক থাকার কারণে এখন তারা যেভাবে সুবিধা পাচ্ছে বা ক্ষমতার চর্চা করতে পারছে, নির্বাচনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সেটি যে সম্ভব হবে না, এটাও তারা বুঝতে পেরেছে।

এ কারণেই নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া কিংবা সেটি সম্ভব না হলে নির্বাচনের সময় বিশেষ কোনো সুবিধা পাওয়ার উদ্দেশ্য থেকে তারা সরকারের ওপর নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করছে। বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ বিষয়টি স্পষ্ট করেই বলেছেন। (জামায়াত পিআর ও গণভোটের কথা বলে নির্বাচন পেছাতে চায়: রিজভী, ৭১টিভি অনলাইন, ১৪ অক্টোবর ২০২৫)

এ ক্ষেত্রে যে বিষয়টি বিশেষভাবে লক্ষণীয়, তা হলো—অন্তর্বর্তী সরকারে থাকা যেসব উপদেষ্টা নির্বাচনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন, কোনো কোনো দলের পক্ষ থেকে তাঁদের অনৈতিক ও বেআইনি পন্থায় চাপ দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। জামায়াত নেতা তাহের উপদেষ্টাদের বিরুদ্ধে শুধু ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেই ক্ষান্ত হননি, তিনি বলেছেন, ‘...কোন কোন উপদেষ্টা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, আমাদের কাছে নাম আছে। তাঁদের কণ্ঠ রেকর্ড আছে। মিটিংয়ে তাঁরা কী বক্তব্য দেন, এর খবর আছে।…’ ( প্রথম আলো অনলাইন, ১৪ অক্টোবর ২০২৫)

অনুমতি ছাড়া যেকোনো ব্যক্তির কণ্ঠ বা ভয়েস রেকর্ড করা একই সঙ্গে অনৈতিক ও বেআইনি কাজ। বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে শুধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বা গোয়েন্দা সংস্থার এ ধরনের অনুমতি রয়েছে। একইভাবে কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া উপদেষ্টাদের বৈঠকের বিষয়টিও ‘কনফিডেনশিয়াল’ বা গোপনীয়। এখন প্রশ্ন উঠছে, উপদেষ্টাদের কণ্ঠ বা ভয়েস কোন কৌশলে রেকর্ড করা হলো? কারা এই কল রেকর্ড করল? মিটিংয়ে দেওয়া উপদেষ্টাদের বক্তব্যের খবর কীভাবে জামায়াত নেতার কাছে গেল?

গোপনে কল রেকর্ড করার এ বিষয়টি বিগত স্বৈরাচারী আমলের একটি প্রবনতা ছিল। সেই সময় গোয়েন্দা সংস্থাকে দিয়ে কল রেকর্ড করে কাউকে কাউকে ব্ল্যাকমেল করা হয়েছে, এমন অভিযোগও পাওয়া গেছে। আগের আমলের সেই প্রবণতা বহাল রাখা এবং একজন রাজনৈতিক নেতার বক্তব্যে সেই ধরনের ইঙ্গিত থাকার বিষয়টি খুবই আশঙ্কাজনক।

শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসনের পতনের পর দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে, অনেকেই এমন প্রত্যাশা করেছিলেন; কিন্তু সেটি যে হয়নি, পুরোনো নানা প্রবণতা ও দৃষ্টান্ত থেকে তা স্পষ্ট। এরই অংশ হিসেবে পুলিশ–প্রশাসনে নিজেদের লোক বসানো থেকে শুরু করে উপদেষ্টাদের ‘ব্ল্যাকমেল’ করার চেষ্টা দেখা যাচ্ছে। পরিহাসের বিষয় হলো, এসব অনেক কিছুই হচ্ছে ‘নতুন বন্দোবস্তের’ নামে।

মনজুরুল ইসলাম  প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ সহসম্পাদক

*মতামত লেখকের নিজস্ব

সম্পর্কিত নিবন্ধ