নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনে দল মনোনীত প্রার্থী পরিবর্তন না হলে নিজের কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহদপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম (টিপু)। শনিবার বিকেলে নাটোরের লালপুরে এক জনসভায় তিনি এ ঘোষণা দেন।

লালপুর শ্রী সুন্দরী পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এ সমাবেশের আয়োজন করে তাইফুল ইসলামের সমর্থকেরা। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন তাইফুল ইসলাম। ২০ মিনিটের বক্তব্যে তিনি উপস্থিত নেতা-কর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বিগত দিনে তিনি কী করেছেন, সেই বর্ণনা দেন।

শেষের দিকে তাইফুল ইসলাম বলেন, শেষ পর্যন্ত যদি দলীয় মনোনয়ন পরিবর্তন করা না হয়, তাহলে তিনি তাঁর সমর্থকদের নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এ সময় উপস্থিত নেতা-কর্মীরা হাত তুলে তাঁকে সমর্থন জানান।

৩ নভেম্বর রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ২৩৭টি আসনে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এতে নাটোর-১ আসনে সাবেক ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী প্রয়াত ফজলুর রহমান পটলের মেয়ে ফারজানা শারমিনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। একই আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন তাঁর ভাই ইয়াসির আরশাদ ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা তাইফুল ইসলাম। দলীয় মনোনয়ন ঘোষণার পর তাঁদের সমর্থকেরা বিভিন্ন সময় বিক্ষোভ করেছেন।

আজকের সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে লালপুর উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওয়াহেদুজ্জামান সরকার, গোপালপুর পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, আবদুলপুর সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি ও লালপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম, বাগাতিপাড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক পৌর মেয়র শরিফুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক শামীম সরকার প্রমুখ বক্তব্য দেন।

বক্তারা বলেন, স্থানীয় জনসমর্থন যাচাই না করে ফারজানা শারমিন পুতুলকে দলীয় প্রার্থী করা হয়েছে। বিগত দিনে এলাকায় তাঁর কোনো রাজনৈতিক তৎপরতা ছিল না। নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় হঠাৎ তিনি প্রার্থিতার জন্য মাঠে নামেন। অথচ তাইফুল ইসলাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে মাঠে-ময়দানে বিএনপির নানা দায়িত্ব পালন করেছেন। কেন্দ্রীয় কমিটিতে সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এখন এলাকাবাসীর জন্য তাঁর সংসদে যাওয়া জরুরি।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ফ ল ইসল ম ব এনপ র কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

বগুড়ায় উপজেলা যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

বগুড়ার শাজাহানপুরে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের দুইজন নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার পৃথক স্থান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

সুড়ঙ্গে লুকিয়েও শেষ রক্ষা হলো না যুবলীগ নেতার

ঝালকাঠিতে যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তাররা হলেন- চুপিনগর বড়বাড়িপাড়ার আব্দুল রশিদ প্রাংয়ের ছেলে ও শাজাহানপুর উপজেলা যুবলীগের সদস্য মো. শাহ আলম নান্নু (৩৮) এবং টেকুরগাড়ী গ্রামের মো. ইসরাফিল হোসেনের ছেলে ও শাজাহানপুর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব (৩০)।

শাজাহানপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম শফিক বলেন, “তাদের দুইজনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা আছে। ওই মামলায় শাজাহানপুরের দুবলাগাড়ী এলাকা থেকে নান্নুকে এবং শাজাহানপুরের আড়িয়া বাজার এলাকা থেকে আহসান হাবিবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।”

ঢাকা/এনাম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ