সরাইলে ৬ ঘণ্টা ধরে দুই দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত অর্ধশতাধিক
Published: 15th, November 2025 GMT
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে সোয়া ১ শতাংশ সরকারি জায়গার দখল নিয়ে পূর্ববিরোধের জেরে দুই দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে পুলিশের দুই কর্মকর্তা ও চার সদস্যসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। সংঘর্ষ চলাকালে উভয় পক্ষের ২০-২৫টি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়।
আজ শনিবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ছয় ঘণ্টা উপজেলার শাহজাদাপুর ইউনিয়নের দেওড়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে যৌথ বাহিনী চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে আছেন সংঘর্ষে সরাইল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ফরিদুর রেজা ও চারজন পুলিশ সদস্য। তাঁদের সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহত উভয় পক্ষের লোকজন স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দেওড়া গ্রামের সোয়া শতাংশ সরকারি জায়গা দীর্ঘদিন ধরে দানা মিয়া (৪৫) দখলে রেখেছিলেন। তিন-চার বছর আগে ওই জায়গা দখলে নেন শিপন মিয়া (৫৫)। এ নিয়ে গ্রামে একাধিকার সালিস বৈঠক হলেও সমাধান হয়নি। পরে গ্রামের লোকজন দানা মিয়া–শিপন মিয়ার পক্ষে বিভক্ত হয়ে পড়েন।
হামলায় দেওড়া গ্রামের বাসিন্দা ও শাহজাদাপুর ইউনিয়ন শাখা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিন্টু মিয়ার বাড়িতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তিনি প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, তিনি কোনো পক্ষের ছিলেন না। শিপন মিয়া তাঁকে তাঁর পক্ষে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। কিন্তু তিনি কোনো পক্ষেই যাননি। এ জন্য শিপন মিয়া ও তাঁর লোকজন সকালে তাঁর বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করেছেন। তিনি এর বিচার চান।
সরকারি ওই জায়গা নিয়ে তিন-চার বছর ধরে উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে এর আগেও বেশ কয়েকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় শিপন মিয়ার লোকজন দানা মিয়ার বাড়িতে হামলা চালিয়ে বসতবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এর জের ধরে আজ সকাল ছয়টার দিকে উভয় পক্ষের লোকজন দা-বল্লম, ইটপাটকেল ও লাঠিসোঁটা নিয়ে আবারও সংঘর্ষে জড়ায়।
খবর পেয়ে সকাল ১০টার দিকে সরাইল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে দুই কর্মকর্তা ও চার সদস্য গুরুতর আহত হন। পরে দুপুরের দিকে ঘটনাস্থলে ছুটে যান যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। তাঁরা ঘটনাস্থল থেকে আবদুল করিম, মো.
এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে যৌথ বাহিনীর লোকজন চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ বাদী হয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। দেওড়া গ্রামে পুলিশ মোতায়েন আছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র ল কজন স ঘর ষ সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
বগুড়ায় উপজেলা যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
বগুড়ার শাজাহানপুরে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের দুইজন নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার পৃথক স্থান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
সুড়ঙ্গে লুকিয়েও শেষ রক্ষা হলো না যুবলীগ নেতার
ঝালকাঠিতে যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তাররা হলেন- চুপিনগর বড়বাড়িপাড়ার আব্দুল রশিদ প্রাংয়ের ছেলে ও শাজাহানপুর উপজেলা যুবলীগের সদস্য মো. শাহ আলম নান্নু (৩৮) এবং টেকুরগাড়ী গ্রামের মো. ইসরাফিল হোসেনের ছেলে ও শাজাহানপুর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব (৩০)।
শাজাহানপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম শফিক বলেন, “তাদের দুইজনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা আছে। ওই মামলায় শাজাহানপুরের দুবলাগাড়ী এলাকা থেকে নান্নুকে এবং শাজাহানপুরের আড়িয়া বাজার এলাকা থেকে আহসান হাবিবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।”
ঢাকা/এনাম/মেহেদী