টাঙ্গাইলের মধুপুরে বিনিময় পরিবহনের একটি বাসচাপায় এক মোটরসাইকেলচালক নিহত হয়েছেন। শনিবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার গোলাবাড়ি নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

এর প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ জনতা টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। পরে বিনিময় পরিবহনের আরেকটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেন তারা। এতে, সাময়িক সময়ের জন্য ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তাৎক্ষণিক নিহত ব্যক্তির নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।

মধুপুর থানার ওসি এমরানুল কবির বলেন, ‘‘ধনবাড়ী থেকে ঢাকাগামী বিনিময় পরিবহনের একটি বাসচাপায় এক মোটরসাইকেল নিহত হয়েছেন। এর প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ জনতা বিক্ষোভ করেন। পরে বিনিময় পরিবহনের আরেকটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেন তারা। এতে বাসটি সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। খবর পেয়ে মধুপুর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে, এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।’’

ঢাকা/কাওছার/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

জলবায়ু সঙ্কট মোকাবিলায় পদক্ষেপের দাবিতে ব্রাজিলে বিশাল মিছিল

জলবায়ু ও প্রকৃতি সঙ্কটের বিষয়ে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিতে হাজার হাজার মানুষ মিছিল করেছে ব্রাজিলের বেলাম শহরের রাস্তায়। শনিবার এই শহরের সড়কগুলোতে আদিবাসীদের শ্লোগান, ধ্রুপদী ব্রাজিলিয়ান গান এবং পরিবেশগত ন্যায়বিচারের আহ্বান প্রতিধ্বনিত হয়েছিল।

বিশ্বজুড়ে পরিবেশবাদী কর্মীরা জলবায়ু বিষয়ক সম্মেলক কপ-৩০ এর আমাজনীয় আয়োজক শহরে জড়ো হয়েছেন। পরিবেশবাদী কর্মীরা আলোচকদের উচ্চাকাঙ্ক্ষা বাড়ানোর আহ্বান জানান।

চার বছর আগে গ্লাসগোতে কপ-২৬ এর পর বার্ষিক জলবায়ু আলোচনার বাইরে বিক্ষোভ ছিল প্রথম বড় প্রতিবাদ। এরপরেই ব্রাজিলেই বড় আকারে বিক্ষোভ হচ্ছে। কারণ শেষ তিনটি সমাবেশ এমন জায়গায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল যেখানে বিক্ষোভের প্রতি খুব কম সহনশীলতা ছিল - মিশর, দুবাই এবং আজারবাইজান।

শনিবার বেলামে ‘গ্রেট পিপলস মার্চ’ শুরু হয়। ভোরবেলায় আদিবাসী বিক্ষোভকারীদের একটি বিশাল দল মিছিল শুরু হওয়ার অপেক্ষায় স্লোগান দিচ্ছিল।

রাকেল ওয়াপিচানা রোরাইমা থেকে নয় ঘন্টা ভ্রমণ করে এই মিছিলে যোগদান করেছিলেন। তিনি একটি প্ল্যাকার্ড বহন করেছিলেন যেখানে লেখা ছিল: ‘আসুন সংগ্রাম করি।’

তিনি বলেছেন, “আমি এখানে আমার জনগণ, আমার ভূমি, আমাদের নদী এবং আমাদের পূর্বপুরুষদের জন্য এসেছি। খনি, কৃষি ব্যবসা এবং ভূমি আক্রমণের মাধ্যমে আমরা ক্রমাগত হুমকির সম্মুখীন। আমাদের বেঁচে থাকার জন্য আমাদের লড়াই করতে হবে।”

মিছিলের সবচেয়ে আলোচিত অংশ ছিল ‘জীবাশ্ম জ্বালানির জন্য অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া’। কালো পোশাক পরিহিত এক ডজন ‘শোকার্ত’ দুটি বৃহৎ ভূতের পুতুল এবং তিনটি বিশাল কফিনের নীচে সমাবেশ করেছিলেন। ওই কফিনগুলোর উপর ‘কয়লা’, ‘তেল’ এবং ‘গ্যাস’ শব্দ লেখা ছিল। 

ব্রাজিলে জলবায়ু আলোচনার এখনো এক সপ্তাহ বাকি আছে এবং ফলাফল কী হবে তা স্পষ্ট নয়। ব্রাজিলের আয়োজকরা জানিয়েছেন, তারা কোনো ‘প্রচ্ছদ সিদ্ধান্ত’ জারি করার পরিকল্পনা করছেন, অর্থাৎ আলোচনার শেষে চুক্তি ঘোষণার কথা ভাবছেন না। এর পরিবর্তে, তারা বাস্তবায়নের উপর জোর দেবেন। 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ