বান্দরবানে বৃহস্পতিবার রাত থেকে থেমে থেমে অতি ভারি বর্ষণ শুরু হয়েছে। ভারী বর্ষণে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পাহাড়ের পাদদেশ। পাহাড় ধসের আশঙ্কায় পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের সতর্ক করতে শহরে প্রশাসন ও পৌরসভার পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। এরপরও বাড়িঘর ছেড়ে আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে অনীহা দেখাচ্ছেন ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ের বসবাসরত এলাকার বাসিন্দারা।

এদিকে ভারি বৃষ্টির কারণে শুক্রবার দুপুর থেকে বান্দরবান জেলা সদরের সঙ্গে রুমা উপজেলার সরাসরি সড়র যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। রুমা সড়কের ওয়াই জংশন এলাকার একটু দূরে পাহাড় ধসে রাস্তার ওপর পড়ে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়।

স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, বান্দরবানে সদরসহ সাত উপজেলায় ২২০টি অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত আছে। বান্দরবান সদর উপজেলায় ৪৬টি, রুমা উপজেলায় ২৮টি, রোয়াংছড়ি উপজেলায় ১৯টি, থানচি উপজেলায় ১৫টি, লামা উপজেলায় ৫৫টি, আলীকদম উপজেলায় ১৫টি এবং নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ৪২টি। দুর্যোগ মোকাবেলায় পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী মজুদ রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

শুক্রবার ভোর থেকে থেমে থেমে অতি ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে কিছু কিছু এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে বসবাসরত লোকজনের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। গত এক দশকে বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসের ঘটনায় প্রায় হারিয়েছে অন্তত ১০৫ জনের অধিক।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত বান্দরবানে সর্বমোট বৃষ্টিপাতের রেকর্ড করা হয়েছে ২২২ মিলিমিটার। অতি ভারি বর্ষণে কারণে বান্দরবানসহ চারটি পাহাড়ি এলাকায় কোথাও কোথাও ভূমিধস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বান্দরবানে শহরে আর্মিপাড়া, বালাঘাটা আমবাগান পাড়া, লেমুঝিড়িসহ যেসব নিম্নাঞ্চলে বাড়িঘর রয়েছে; সেসব এলাকায় বেশ কিছু বসতঘরে পানি ঢুকে পড়েছে। টানা বর্ষণ থাকার ফলে বান্দরবা‌নের সাঙ্গু ও মাতামুহুরি নদীর পা‌নি বিপদসীমা অতিক্রম করতে শুরু করেছে। সাঙ্গু নদী ঘেঁষে উঠা বসতঘরগুলো কিনারায় পৌঁছেছে পানি। সেসব ঘরে থাকার জিনিসপত্র নিয়ে আগাম আশ্রয় কেন্দ্র যাওয়া প্রস্তুতি নিচ্ছে অনেকেই। 

বনরুপা, বীর বাহাদুর নগর ও আর্মিপাড়া বাসিন্দা মনজেল আলম, খুরশিদা আক্তার ও মর্জিনা বলেন, সামান্য কিছু টাকা দিয়ে জায়গা কিনে পাহাড়ে ওপর ঘর করেছি। সমতলে কেনার সামর্থ্য আমাদের সাধ্য বাইরে। তাই বৃষ্টি হলে পাহাড় ধসের আতঙ্ক নিয়ে রাত জেগে থাকি। এছাড়া আমরা যাবোইবা কোথায়। আর ম্যাকসি খাল ছোট্ট হওয়াই অল্প বৃষ্টি হলে ঘরে ভিতর পানি ঢুকে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়।

বান্দরবান জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি জানান, পাহা‌ড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসতি আগের তুলনা বেড়ে গেছে। সেই অনুসারেই বন্যায় প্লাবিত এলাকা ও ভূমি ধসের ঘটনা যেখানে ঘটেছিল সেগুলোকে ফোকাস করে এক‌টি তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ভ ম ধস প হ ড়ধস ব ন দরব ন প হ ড় ধস উপজ ল য়

এছাড়াও পড়ুন:

যারা চোরা পথে ক্ষমতায় যেতে চায় তারা নির্বাচন চায় না: মঈন খান

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, যারা সুষ্ঠু নির্বাচন চাইলে সমালোচনা করেন তারা রাজনীতির চোরা পথ দিয়ে ক্ষমতায় যেতে চান। যারা নির্বাচনকে ভয় পায় কারণ তারা জনগণকে ভয় পায়। তারা জানে যে, তারা জনগণের সত্যিকারের প্রতিনিধি হতে পারবেন না। 

শনিবার বিকেলে নরসিংদীর পলাশের ঘোড়াশাল পৌর অডিটোরিয়ামে উপজেলা ও পৌর বিএনপির আয়োজনে দলটির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় মঈন খান আরও বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে বলেই নির্বাচন চায়, গণতন্ত্র উত্তরণের যে পথ তা হচ্ছে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন। তাই সুষ্ঠু নির্বাচন চাওয়া কোনো অপরাধ হতে পারে না। ৫ আগস্টের পরে বিএনপি যে গণতন্ত্রের উত্তরণের কথা বলছে, একটি পক্ষ তার বিরোধিতা করছে। 

তিনি আরও বলেন, বিএনপি জনগণকে বিশ্বাস করে, বিএনপি আইনের শাসন বিশ্বাস করে, স্বাধীন বিচার ব্যবস্থায় বিশ্বাস করে। তাই বারবারই সুষ্ঠু নির্বাচন চাচ্ছে।

পলাশ উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুস সাত্তারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে আরও বক্তব্য রাখেন- উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. বাহাউদ্দীন ভুঁইয়া মিল্টন, পৌর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. আলম মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন চিশতিয়া, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক নেছার আহমেদ, উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আল আমিন ভূইয়া, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. নাজমুল হোসেন সোহেল,সদস্যসচিব মোস্তাফিজুর রহমান পাপন, পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক আমানউল্লা আমান, আরিফ হোসেন প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ