কুষ্টিয়া সীমান্ত দিয়ে আরো ৯ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
Published: 31st, May 2025 GMT
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর সীমান্ত দিয়ে আরো ৯ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। শুক্রবার (৩০ মে) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাদের ঠেলে পাঠায় বিএসএফ।
শনিবার সকালে স্থানীয়রা তাদের সীমান্ত এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে দেখে বিজিবিকে খবর দেয়। পরে বিজিবি তাদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে দৌলতপুর থানায় হস্তান্তর করে।
বিজিবি-৪৭ ব্যাটালিয়ন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, আটককৃতদের মধ্যে চার পুরুষ, দুই নারী, দুই কিশোরী ও এক ছেলে শিশু রয়েছে। তাদের বাড়ি কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে। প্রায় চার বছর আগে তারা অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে দিল্লীর একটি ইটভাটায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। সম্প্রতি ভারতে অবৈধ অভিবাসীদের ধরপাকড় শুরু হলে তারা দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন।
আরো পড়ুন:
ফেনী সীমান্ত দিয়ে আরো ১৩ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
বিএসএফের গুলিতে আহত বাংলাদেশির ১৩ দিন পর মৃত্যু
এ বিষয়ে বিজিবি-৪৭ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহাবুব মুর্শেদ রহমান বলেন, ‘‘কোনো বিদেশি নাগরিককে দেশে ফেরত পাঠাতে হলে তা যৌথ বৈঠকের মাধ্যমে আইনগত প্রক্রিয়া মেনে করতে হয়। কিন্তু, বিএসএফ তা না করে ঠেলে দিয়েছে; যা আন্তর্জাতিক নিয়ম লঙ্ঘনের শামিল।’’
গত কিছু দিন ধরেই দেশের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে লোকজনকে ঠেলে দিচ্ছে বিএসএফ। এ নিয়ে প্রতিবাদও জানিয়েছে বাংলাদেশ।
ঢাকা/কাঞ্চন/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এসএফ ব এসএফ
এছাড়াও পড়ুন:
১২ হাজার তরুণ–তরণীকে বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণ দেবে পিকেএসএফ
পেশাগত দক্ষতা বাড়াতে দেশের ১২ হাজার তরুণ-তরুণীকে বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণ দেবে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)। কারিগরি ও পেশাগত শিক্ষানির্ভর তিন বছর মেয়াদি এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে স্কিলস ফর ইন্ডাস্ট্রিজ কম্পিটিটিভনেস অ্যান্ড ইনোভেশন প্রোগ্রামের (এসআইসিআইপি) আওতায়। এ প্রকল্পে সহায়তা করছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
আজ সোমবার রাজধানীর পিকেএসএফ ভবনে এসআইসিআইপি ও পিকেএসএফের প্রকল্পের উদ্বোধন ও প্রশিক্ষণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়।
প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণার্থী তরুণেরা ১২টি খাতের প্রশিক্ষণ পাবেন। প্রশিক্ষণ চলাকালে থাকা-খাওয়ার সব খরচ প্রকল্প থেকে বহন করা হবে। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৩০ শতাংশ আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত। বাকি ৭০ শতাংশের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন নিম্ন আয়ের ও প্রান্তিক অঞ্চলের তরুণেরা। প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার পর অংশগ্রহণকারীদের আত্মকর্মসংস্থান বা মজুরিভিত্তিক চাকরির ক্ষেত্রেও সহায়তা করা হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থসচিব খায়েরুজ্জামান মজুমদার বলেন, দেশে দক্ষ জনশক্তির চাহিদা রয়েছে, বিশেষ করে বিদেশে। এই প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে পিকেএসএফ ও এর সহযোগী সংস্থাগুলো সেই চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখতে পারবে।
পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল কাদের বলেন, ‘প্রতিবছর ২০ লাখের বেশি তরুণ শ্রমবাজারে প্রবেশ করছেন। এটি একই সঙ্গে আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা। প্রকল্পের আওতায় জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের স্বীকৃত কোর্স অনুযায়ী প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, যাতে প্রশিক্ষণ শেষে তাঁরা সহজেই কর্মসংস্থানে যুক্ত হতে পারেন।’
অনুষ্ঠানে পিকেএসএফের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জসীম উদ্দিন বলেন, বর্তমানে ১২ হাজার ছাড়াও আরও ৮ হাজার ৫০০ তরুণকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রস্তাব সরকারের কাছে দেওয়া হয়েছে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও তৃতীয় লিঙ্গের তরুণদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। পাশাপাশি ২ হাজার এতিম ও দুস্থ তরুণকেও প্রশিক্ষণের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।
এ সময় অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ওয়ালিদ হোসেন ও পিকেএসএফের চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খান বক্তব্য দেন।