ধারাবাহিকতার ছিটেফোঁটাও নেই, ধবলধোলাই এড়ানো সম্ভব
Published: 1st, June 2025 GMT
এ মাসের মাঝামাঝি দেশ ছেড়ে যাওয়ার সময় কি এমন কিছু ভেবেছিল বাংলাদেশ দল! মনে হয় না। বরং নতুন অধিনায়কের নেতৃত্বে টি–টোয়েন্টিতে নতুন যাত্রা শুরুর একটা আশা ছিল। অথচ আজ লাহোরে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি–টোয়েন্টি সিরিজের শেষটিতে মাঠে নামার সময় বাংলাদেশকে চোখ রাঙাচ্ছে ধবলধোলাই করার শঙ্কা। পেছনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে সিরিজ হারের দুঃস্বপ্ন তো আছেই।
ধবলধোলাই এড়ানোর কাজটা অবশ্য মোটেই সহজ হওয়ার কথা নয়। কোনো বিভাগেই যে বাংলাদেশের ধারাবাহিকতার ছিটেফোঁটাও নেই। বিশেষ করে ব্যাটিংয়ে। ওপেনারদের কেউ না কেউ ঝোড়ো শুরু এনে দিলেও বাকি ব্যাটসম্যানরা সেটি কাজে লাগাতে পারছেন না।
বাংলাদেশকে ভোগাচ্ছে মিডল অর্ডার ব্যাটিং। সর্বশেষ তিন ইনিংসে ০, ১৭ ও ৫ রানে আউট হয়ে যাওয়া তাওহিদ হৃদয় হয়ে দাঁড়িয়েছেন বড় এক দুশ্চিন্তার নাম। বাকি ব্যাটসম্যানরাও যে খুব সুবিধা করতে পারছেন, তা নয়।
বাংলাদেশ হেরেই চলেছে। অধিনায়ক লিটনও ব্যর্থ।.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ধবলধোলাইয়ের শঙ্কা, সম্মান বাঁচানোর মিশনে বাংলাদেশ
একদিকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) নেতৃত্ব পরিবর্তনের উত্তেজনা, অন্যদিকে মাঠে টানা দুই টি-টোয়েন্টিতে হারের হতাশা। সব মিলিয়ে অস্থির সময় পার করছে দেশের ক্রিকেট। এমন এক সময়েই আজ রোববার পাকিস্তানের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি খেলতে নামছে বাংলাদেশ। লক্ষ্য একটাই, ধবলধোলাই এড়ানো।
নতুন বিসিবি সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল। তিনি দায়িত্ব নেয়ার কয়েক ঘণ্টার মাথায়ই সিরিজ খুইয়েছে বাংলাদেশ দল। স্বাভাবিকভাবেই এত অল্প সময়ে মাঠের পারফরম্যান্সে তার প্রভাব পড়ার সুযোগ ছিল না। কিন্তু দায়িত্ব গ্রহণের পর দুই দিন যেতে না যেতেই ভক্তদের প্রত্যাশার ভার তার কাঁধে।
পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে হারলেই তিন ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হবে বাংলাদেশ। আরব আমিরাতের মতো দলের কাছেও হারের পর পাকিস্তানের কাছে ধবলধোলাই হলে তা হবে লিটন দাসদের জন্য আরেকটি বড় ধাক্কা।
দলের দুরবস্থার মূল কারণ ব্যাটিং। প্রথম দুই ম্যাচে ভালো সূচনা করেও মাঝপথে ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। দুই ম্যাচেই পাকিস্তান আগে ব্যাট করে ২০১ রানের বড় পুঁজি গড়লেও জবাবে বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচে অলআউট হয় ১৬৪ রানে এবং দ্বিতীয়টিতে ১৪৪ রানে।
পাকিস্তানের ব্যাটারদের আক্রমণাত্মক মেজাজ বিপাকে ফেলেছে সফরকারীদের। তবে কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে বাংলাদেশের বোলাররা, বিশেষ করে ডেথ ওভারে। দুই ম্যাচেই শেষ দিকে পাকিস্তানকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছেন তারা। কিন্তু ব্যাটিংয়ে আগ্রাসনের অভাব স্পষ্ট। ব্যাটাররা বারবার ছন্দপতনের শিকার হয়েছেন, রান তাড়ায় চাপ নিতে পারেননি। এ অবস্থায় কেউ কেউ মনে করছেন, টার্গেট ডিফেন্ড করাই হতে পারে বাংলাদেশের জন্য বেশি উপযোগী কৌশল।
আইসিসির সর্বশেষ র্যাংকিং বলছে, টি-টোয়েন্টিতেও ১০ নম্বরে নেমে গেছে বাংলাদেশ। এখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। তাই সম্মান বাঁচাতে হলেও আজ জয়ের বিকল্প নেই লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের। আজকের ম্যাচের পারফরম্যান্সেই জানা যাবে, শেষ পর্যন্ত ধবলধোলাই এড়াতে পারে কি না বাংলাদেশ।