টেকনাফের পাহাড়ি সড়ক থেকে ৫ জনকে অপহরণ
Published: 3rd, June 2025 GMT
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং-শামলাপুর সংযোগ সড়ক থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক ও চার রোহিঙ্গাকে অপহরণ করেছে ডাকাত দল।
মঙ্গলবার (৩ জুন) সকালে উপজেলার হোয়াইক্যং বাজার থেকে বাহারছড়ায় যাওয়ার পথে তাদের অপহরণ করা হয়।
বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক শোভন কুমার সাহা বলেন, “ঘটনাস্থল থেকে একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা উদ্ধার করা হয়েছে। একজন চালক ও চারজন রোহিঙ্গাকে অপহরণের বিষয়টি আমরা জেনেছি। অপহৃতদের উদ্ধারে অভিযান চালানো হচ্ছে।”
আরো পড়ুন:
খুলনায় ছুরিকাঘাতে ওয়াসার শ্রমিক নিহত
‘চোখের জলে ভেসে গেল আমাদের ঈদ আনন্দ’
অপহৃত সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালকের নাম শামসু আলম (৩৫)। তিনি টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের দৈংগ্যাকাটা এলাকার মৃত নুর আহমেদের ছেলে। অপহৃত রোহিঙ্গাদের নাম-পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
দৈংগ্যাকাটা এলাকার ব্যবসায়ী শামসুদ্দিন বলেন, “ওই এলাকায় বসবাসকারী লোকজনকে বলতে শুনেছি, হোয়াইক্যং-শামলাপুর সড়কে সশস্ত্র ডাকাতদল সিএনজি চালিত অটোরিকশার গতিরোধ করে। তারা চালক ও যাত্রীদের অপহরণ করে পাহাড়ের ভেতরে নিয়ে যায়। অপহৃত রোহিঙ্গারা মাছ কিনতে বাহারছড়া যাচ্ছিলেন।”
চলতি বছরের ২২ মে একই সড়কে পাঁচজনকে অপহরণ করেছিল ডাকাতচক্র। পরে তারা ফিরে আসেন।
ঢাকা/তারেকুর/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অভ য গ অপহরণ স এনজ অপহ ত
এছাড়াও পড়ুন:
পটিয়ায় ব্যবসায়ীকে অপহরণ, দুই ঘণ্টা পর উদ্ধার
চট্টগ্রামের পটিয়া পৌর সদরের মুন্সেফ বাজার এলাকার একটি দোকান থেকে নুরুল আবছার (২৭) নামের এক ব্যবসায়ীকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যায় একদল মুখোশধারী ব্যক্তি। আজ বুধবার সকাল সাতটায় তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে পুলিশের তৎপরতায় সকাল সাড়ে ৯টায় তিনি ছাড়া পান।
উদ্ধারের পর পটিয়া থানা প্রাঙ্গণে অপহরণের শিকার নুরুল আবছার প্রথম আলোকে বলেন, তিনি ব্যাংকে চাকরি করতেন। সম্প্রতি তাঁর চাকরি চলে যায়। এরপর পটিয়া পৌর সদরের মুন্সেফ বাজার এলাকার সাহিত্য বিশারদ সড়কে মুরগির দোকান দেন। প্রতিদিনের মতো আজ সকালে দোকান খোলেন তিনি। এ সময় তিন থেকে চারজন মুখোশধারী লোক ধারালো অস্ত্রের মুখে তাঁকে ধরে অটোরিকশায় উঠিয়ে নিয়ে যায়। তারা তাঁর পকেটে থাকা ৪০ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। পরে আরও ৪ লাখ টাকা দাবি করে, পরে ১৭ লাখ এনে দিতে বলেন। তাঁকে চন্দ্র কালারপোল নামের নির্জন এলাকায় নিয়ে অপহরণকারীরা তাঁকে মারধরের পাশাপাশি ছুরিকাঘাতও করেন।
পটিয়া থানার পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) প্রদীপ চন্দ্র দে প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত তাঁকে উদ্ধারের তৎপরতায় নামে। পরে চন্দ্র কালারপোল এলাকায় পুলিশ গেলে উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরণকারীরা পালিয়ে যায়।
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান জানান, ব্যবসায়ীকে অপহরণ করার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরে তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।