কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং-শামলাপুর সংযোগ সড়ক থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক ও চার রোহিঙ্গাকে অপহরণ করেছে ডাকাত দল।

মঙ্গলবার (৩ জুন) সকালে উপজেলার হোয়াইক্যং বাজার থেকে বাহারছড়ায় যাওয়ার পথে তাদের অপহরণ করা হয়।

বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক শোভন কুমার সাহা বলেন, “ঘটনাস্থল থেকে একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা উদ্ধার করা হয়েছে। একজন চালক ও চারজন রোহিঙ্গাকে অপহরণের বিষয়টি আমরা জেনেছি। অপহৃতদের উদ্ধারে অভিযান চালানো হচ্ছে।”

আরো পড়ুন:

খুলনায় ছুরিকাঘাতে ওয়াসার শ্রমিক নিহত

‘চোখের জলে ভেসে গেল আমাদের ঈদ আনন্দ’ 

অপহৃত সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালকের নাম শামসু আলম (৩৫)। তিনি টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের দৈংগ্যাকাটা এলাকার মৃত নুর আহমেদের ছেলে। অপহৃত রোহিঙ্গাদের নাম-পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

দৈংগ্যাকাটা এলাকার ব্যবসায়ী শামসুদ্দিন বলেন, ‍“ওই এলাকায় বসবাসকারী লোকজনকে বলতে শুনেছি, হোয়াইক্যং-শামলাপুর সড়কে সশস্ত্র ডাকাতদল সিএনজি চালিত অটোরিকশার গতিরোধ করে। তারা চালক ও যাত্রীদের অপহরণ করে পাহাড়ের ভেতরে নিয়ে যায়। অপহৃত রোহিঙ্গারা মাছ কিনতে বাহারছড়া যাচ্ছিলেন।”

চলতি বছরের ২২ মে একই সড়কে পাঁচজনকে অপহরণ করেছিল ডাকাতচক্র। পরে তারা ফিরে আসেন।

ঢাকা/তারেকুর/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অভ য গ অপহরণ স এনজ অপহ ত

এছাড়াও পড়ুন:

নারায়ণগঞ্জে ব্যবসায়ীকে অপহরণ, পটুয়াখালী থেকে হাত–পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার

হাত–পায়ের সঙ্গে চোখ–মুখও রশি আর কাপড়ে বাঁধা। গায়ের শার্ট ভিজেছিল রক্তে। এমন অবস্থায় প্রাইভেট কারের ভেতর থেকে এক ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার দুপুরে পটুয়াখালী সদর উপজেলার পায়রাকুঞ্জ ফেরিঘাট এলাকা থেকে তাঁকে উদ্ধার করা হয়।

ওই ব্যক্তির নাম সোহাগ (৪২)। তিনি নারায়ণগঞ্জ সদরের নিউ চাষাঢ়ার জামতলা এলাকার বাসিন্দা। নিজেকে একটি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন তিনি।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গতকাল সকালে ফেরিঘাট এলাকায় সেতুর প্রকল্পসংলগ্ন স্থানে দুটি গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে তাঁদের সন্দেহ হয়। প্রথমে ভেবেছিলেন গাড়িগুলো সেতুর কাজের সঙ্গে জড়িত। কিন্তু একপর্যায়ে একটি প্রাইভেট কারের ভেতর থেকে হাতের ইশারায় তাঁদের ডাকেন এক ব্যক্তি। এ সময় গাড়ির ভেতর থেকে অনবরত হর্ন বাজানো হচ্ছিল। কাছে গিয়ে দেখা যায়, ওই ব্যক্তি হাত–পা, চোখ ও মুখ বাঁধা অবস্থায় কাতরাচ্ছেন এবং তাঁর শরীর রক্তে ভেজা। তখন তাঁরা পুলিশে খবর দেন। এরপর তাঁকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়।

পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসারত অবস্থায় সোহাগ জানান, গত রোববার রাতে অফিস থেকে বাসায় ফেরার পথে নারায়ণগঞ্জের সরকারি তোলারাম কলেজের সামনে থেকে কয়েকজন দুর্বৃত্ত তাঁর গাড়িতে উঠে পড়ে। এরপর তাঁর হাত–পা ও চোখ–মুখ বেঁধে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকার অলিগলি ঘোরায়। এ সময় তাঁকে মারধর করা হয়। গতকাল ভোরে তারা তাঁকে পটুয়াখালী–মির্জাগঞ্জ রুটে পায়রাকুঞ্জ ফেরিঘাটে ফেলে যায়।

পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) সাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘সোহাগের পরিবারের কাছে খবর পাঠালে তাঁর স্ত্রী হেলিকপ্টারে পটুয়াখালীতে আসেন। এরপর একটি জিডি করে তিনি স্বামীকে নিয়ে গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। এরপর আমাদের কাছে আর কোনো তথ্য নেই। ভুক্তভোগী আমাদের কাছে অপহরণের বিষয়ে মুখ খোলেননি। তাঁর দ্রুত চিকিৎসা প্রয়োজন ছিল। এ জন্য আমাদের পক্ষ থেকে তেমন কোনো জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি।’

এদিকে নারায়ণগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির আহম্মেদ জানান, সোহাগ তাঁর থানা এলাকায় ব্যবসা করেন। কিন্তু ফতুল্লা থানার সরকারি তোলারাম কলেজের সামনে থেকে তিনি অপহরণ হন। তাই আইনগত সহায়তার বিষয়টি ফতুল্লা থানা–পুলিশ দেখবে। তদন্তের স্বার্থে আপাতত বিস্তারিত প্রকাশ করতে রাজি হননি তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ: সন্তানকে লুকিয়ে রেখে চাচাদের নাম মামলা
  • ২৪ ঘণ্টা পার হলেও টেকনাফে অপহরণের শিকার ৫ জনের সন্ধান মেলেনি
  • নারায়ণগঞ্জে ব্যবসায়ীকে অপহরণ, পটুয়াখালী থেকে হাত–পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার
  • ঢাকা থেকে নরসিংদীতে নিয়ে ওই নারীকে ‘ধর্ষণ করেন’ ভাড়ার মোটরসাইকেলচালক