বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান বলেছেন, আমরা প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। কিন্তু পাশাপাশি এটাও মনে রাখতে হবে অন্যায়কে আমরা প্রশ্রয় দেব না, সহ্য করব না, কোনো ধরনের দুর্নীতিকে আমরা সহ্য করব না।

নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পৌর ঈদগাহ মাঠে শনিবার সকালে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

মঈন খান বলেন, আমাদের প্রতিবেশী, ভাই-বন্ধু, তারা যদি কষ্টে থাকেন; তাহলে ঈদের আনন্দ উদযাপন সম্পূর্ণ হবে না। ইসলামের শিক্ষা হলো, আমরা একে অপরের আনন্দকে ভাগ করে নেব, অংশীদার হবো এবং একে অপরের কষ্টকেও ঠিক একইভাবে ভাগ করে নেব। ইসলামের এই যে শিক্ষা; ভ্রাতৃত্ববোধ-সাম্যের শিক্ষা, তা আমাদের মেনে চলতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘অর্থ, বিত্ত, বৈভব, প্রিয়জন- মানুষের জীবনে সবকিছু নয়, এই শিক্ষা ইসলাম আমাদের দিয়েছে। আমরা ঘোড়াশাল-পলাশে আগেও দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছি, আমরা প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। আমরা একে অপরের ভাই হিসেবে এখানে শান্তিতে বসবাস করি। কিন্তু পাশাপাশি এটাও মনে রাখতে হবে অন্যায়কে আমরা প্রশ্রয় দেব না, সহ্য করব না; কোনো ধরনের দুর্নীতিকে আমরা সহ্য করবো না।’

মঈন খান আরও বলেন, ‘এখানে আইনের যে শাসন, সেটা প্রতিষ্ঠিত হতে হবে, শান্তির জীবনযাপন ও শান্তির সমাজ ব্যবস্থা আমরা সঠিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করবো। তাই আসুন, ইসলাম আমাদের যে শিক্ষা দিয়েছে, সেই শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে আমরা সত্যিকার মানুষ হিসেবে একে অপরের সঙ্গে সুন্দরভাবে বসবাস করব।’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন পলাশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.

আবু বকর সিদ্দিকী, উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুস সাত্তার, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক সাইফুল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দীন ভূঁইয়া, ঘোড়াশাল পৌর বিএনপির সভাপতি আলম মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন চিশতিয়া, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জয়নাল আবেদীন, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক নাজমুল হোসেন সোহেলসহ অন্যান্য নেতাকর্মী।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ মঈন খ ন আম দ র ব স কর অপর র উপজ ল ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

৪৪তম বিসিএসের ৪০০ রিপিট ক্যাডার বাদ দিচ্ছে সরকার, নতুন সিদ্ধান্ত আসছে

৪৪তম বিসিএসে পুনরাবৃত্তি হওয়া ৪০০ ক্যাডারকে বাদ দেওয়া হচ্ছে। তারা ৪৩তম বিসিএসে বা আগের বিসিএসে যে ক্যাডারে আছেন ৪৪তম বিসিএসেও একই ক্যাডার পেয়েছিলেন। এই ৪০০ ক্যাডারকে নিয়ে সিদ্ধান্ত দ্রুতই হবে বলে জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা।

প্রথম আলোকে ওই কর্মকর্তা আজ বৃহস্পতিবার বলেন, ৪০০ ক্যাডারকে নিয়ে পিএসসির কিছু সুপারিশ আমরা পেয়েছি। এগুলো বাদ দিতে সরকার কাজ করছে। বাদ দিলে কি করা হবে তা নিয়েও কাজ করছে সরকার। এখন পিএসসিকে এ বিষয় নিয়ে একটি মতামত দিতে বলা হয়েছে। পেলেই তা পর্যালোচনা করে এ বিষয়ে প্রজ্জাপন দেওয়া হবে। এটি যাতে স্থায়ীভাবে বন্ধ হয় সেজন্য আমরা কাজ করছি।

আরও পড়ুন৪৯তম বিসিএস: অনলাইন আবেদন ও ফি জমাদানে পিএসসির নতুন নির্দেশনা৩০ জুলাই ২০২৫

৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল ৩০ জুন প্রকাশিত হয়। এতে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৬৯০ জনকে নিয়োগের জন্য সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) সাময়িকভাবে মনোনীত করেছে।

প্রকাশিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ১ হাজার ৬৯০ জনের মধ্যে প্রায় ৪০০ জন প্রার্থী একাধিকবার বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে একই ক্যাডারে পুনরায় সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন (রিপিট ক্যাডার)। এই ৪০০ জনের তালিকা পেয়েছে পিএসসি। এই রিপিট ক্যাডার বন্ধে বিধি সংশোধন করা হচ্ছে। এ–সংক্রান্ত চিঠি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠায় পিএসসি।

পিএসসি জনপ্রশাসনের চিঠিতে বলছে, এই রিপিট ক্যাডারের ফলে নতুন ও অপেক্ষমাণ মেধাবীরা সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এটি প্রশাসনিক কাঠামো ও জনসম্পদের সদ্ব্যবহারে বাধা সৃষ্টি করছে। এখন এটি অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।

একাধিকবার বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে একই ক্যাডারে পুনরায় সুপারিশপ্রাপ্ত হওয়া বন্ধ করার জন্য বিদ্যমান বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা ২০১৪–এর বিধি-১৭ এর শেষে নিম্নোক্ত শর্ত যুক্ত করার প্রস্তাব করেছে পিএসসি।

আরও পড়ুনসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের ৩৪০০০ শূন্য পদ পূরণে উদ্যোগ২৯ জুলাই ২০২৫শর্তে কী আছে—

পিএসসির চিঠিতে শর্ত হিসেবে বলা আছে, ‘তবে শর্ত থাকে যে এই বিধির আওতাধীন সরকারের নিকট সুপারিশ প্রেরণ করিবার প্রাক্কালে, কিংবা কোনো বিসিএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রস্তুতকালে, সংশ্লিষ্ট প্রার্থী কর্তৃক প্রদত্ত লিখিত তথ্যের ভিত্তিতে কিংবা কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত কোনো পদ্ধতির মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে যদি কমিশনের নিকট প্রতীয়মান হয় যে এই বিধির আওতাধীন মনোনয়নযোগ্য কিংবা মনোনীত কোনো প্রার্থী একই ক্যাডার পদ, সমপদ কিংবা প্রার্থীর আগ্রহ নেই এমন কোনো সার্ভিস বা ক্যাডার পদে পুনরায় মনোনীত হইবার কারণে মনোনীত সার্ভিসে বা ক্যাডার পদে যোগদান করিতে অনিচ্ছুক, এইরূপ ক্ষেত্রে কমিশন অনাগ্রহ প্রকাশকারী প্রার্থীকে এই বিধির আওতাধীন সরকারের নিকট সুপারিশ করা হইতে বিরত থাকিতে পারিবে; আরও শর্ত থাকে যে প্রথম শর্তাংশে বর্ণিত বিধান অনুযায়ী কোনো প্রার্থীকে সুপারিশ করা হইতে বিরত থাকিবার কারণে উদ্ধৃত শূন্য পদে নিয়োগের লক্ষ্যে সুপারিশ প্রেরণ করিবার জন্য উত্তীর্ণ প্রার্থিগণের মধ্য হইতে মেধাক্রম অনুযায়ী প্রার্থী নির্বাচনপূর্বক কমিশন সম্পূরক ফলাফল প্রকাশ এবং সার্ভিসে বা ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য সরকারের নিকট সুপারিশ প্রেরণ করিতে পারিবে;আরও অধিকতর শর্ত থাকে যে দ্বিতীয় শর্তাংশে উল্লিখিত সম্পূরক ফলাফল দ্বারা বা উহার পরিণতিতে প্রথম ঘোষিত ফলাফলে সার্ভিস বা ক্যাডার পদের জন্য মনোনীত কোনো প্রার্থীর প্রতিকূলে কোনো পরিবর্তন ঘটানো কিংবা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যাইবে না।’

আরও পড়ুনবস্ত্র অধিদপ্তরে বড় নিয়োগ, চাকরির সুযোগ ১৯০ জনের২৯ জুলাই ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ