১৫ বছর পর নিজ গ্রামে বিএনপি নেতা ফজলুর রহমান
Published: 8th, June 2025 GMT
পনের বছর পর নিজের জন্মস্থান ও সেখানকার মানুষের সান্নিধ্যে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে নিজের জন্মস্থান কিশোরগঞ্জের ইটনায় গিয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান। তবে আপন হারানোর শোকে ম্লান হয়েছে তার সবটাই।
শনিবার ঈদুল আযহা উদযাপনে ইটনা উপজেলাধীন নিজ গ্রাম জয়সিদ্ধির উদ্দেশে রওনা দেন আইনজীবী ফজলুর রহমান। পথিমধ্যে খবর পান সহোদর সাইদুর রহমান আর নেই। বাড়ির আঙিনায় পৌঁছেই তাকে দেখতে হয় ভাইয়ের মরদেহ। রাতেই তার জানাজা-দাফন সম্পন্ন করা হয়।
পরদিন রোববার সকালে ঈদের জামাত শেষ হতেই খবর আসে, শৈশব হতে জীবনের দীর্ঘতম সময় যে বন্ধুর সান্নিধ্যে স্মৃতিময়, তারই নামে নাম সেই বন্ধু বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান চলে গেছেন পরপারে। এ সময় একেবারে নীরব হয়ে যান ফজলুর রহমান।
দুপুর নাগাদ করমশ্রী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জানাজা ও দাফন সম্পন্ন করা হয় বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমানের।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইনজীবী ফজলুর রহমান বলেন, এমন শোক অপ্রত্যাশিত। এত বছর পর আপন মানুষগুলোর কাছে ছুটে এলাম। আর তারা তাকে ফেলে চলে গেল চিরদিনের মতো। ঈদের আমেজ আর নেই।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক শ রগঞ জ ব এনপ ন ত ফজল র রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
বাগেরহাটে ৪ আসন বহালের দাবিতে হাইকোর্টে রিট
বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহাল রাখতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং একটি আসন কমিয়ে তিনটি আসন করার নির্বাচন কমিশনের গেজেট কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী ১০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
মানিকগঞ্জে কৃষিজমির মাটি কাটার বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
ডাকসু নির্বাচন স্থগিত চেয়ে করা ছাত্রলীগ নেতার রিট বাতিল
বাগেরহাট প্রেস ক্লাব ও অন্যান্যদের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার শেখ মুহাম্মদ জাকির হোসেন রিট পিটিশন দাখিল করেন। এছাড়া চিতলমারী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বাগেরহাট ১ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী মুজিবর রহমান শামীমের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ আক্তার রসুল একই বিষয়ে পৃথক রিট পিটিশন করেন।
সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও বাগেরহাট জেলা বিএনপির নেতা ব্যারিস্টার শেখ মুহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, “আমরা রিট পিটিশন করেছি। আদালত আমাদের কথা শুনেছেন এবং ১০ দিনের রুল জারি করেছেন। আশা করি, আদালতে ন্যায়বিচার পাব এবং বাগেরহাটের চারটি আসন বহাল থাকবে।”
গত ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশন বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি আসন কমিয়ে তিনটি করার প্রস্তাব দেয়। এরপর থেকে বাগেরহাটের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠন আন্দোলন শুরু করে। চারটি আসন বহালের দাবিতে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতেও অংশ নেয় তারা।
তবে ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন শুধু সীমানা পরিবর্তন করে তিনটি আসন রেখে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে।
চূড়ান্ত গেজেট অনুযায়ী বাগেরহাট-১ (সদর-চিতলমারী-মোল্লাহাট), বাগেরহাট-২ (ফকিরহাট-রামপাল-মোংলা) ও বাগেরহাট-৩ (কচুয়া-মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) নির্ধারণ করা হয়। অথচ দীর্ঘদিন ধরে বাগেরহাট-১ (চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফকিরহাট), বাগেরহাট-২ (সদর-কচুয়া), বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) এবং বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
ঢাকা/শহিদুল/বকুল