গুমের শিকার ও চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবারের পাশে রয়েছে বিএনপি: আমিনুল হক
Published: 8th, June 2025 GMT
গুমের শিকার ও চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবারের কাছে ঈদ উপহার পৌঁছে দিয়েছেন বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমিনুল হক। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে তিনি উপহার পৌঁছে দেন।
ঈদুল আজহার পরদিন রোববার রাজধানীর পল্লবীতে চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের নিহত ছাত্রদল নেতা রমজান মিয়া জীবনের বাসায় যান আমিনুল হক। এ ছাড়া ২০২২ সালের ৭ ডিসেম্বর বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পতিত স্বৈরাচার এর বিরুদ্ধে আন্দোলনে নিহত স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মকবুল হোসেনের পল্লবীর বাসায়ও যান তিনি। এ সময় দুই পরিবারের সঙ্গে কুশল বিনিময় করে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে তাঁদের আর্থিক সহায়তা দেন।
শেষে সম্প্রতি সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত শ্রমিক দল পল্লবী থানার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের শ্রমিক দলের সহসভাপতি বিল্লাল গাজীর বাসায় গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন আমিনুল হক। এ সময় বিল্লালের মায়ের কান্নায় এক আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়। বিএনপি নেতা আমিনুল হক নিহত বিল্লালের ছেলের লেখাপড়ার দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
এ সময় আমিনুল হক বলেন, পতিত স্বৈরাচারের হাতে গুম–খুনের শিকার এবং চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে নিহত হওয়া প্রতিটি শহীদ পরিবারের পাশে রয়েছে বিএনপি। বিএনপি জনগণের ভোটে রাষ্ট্রক্ষমতায় এলে সব হত্যাকাণ্ডের বিচার করা হবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
এপ্রিলে নির্বাচনের সময় নির্ধারণ দুরভিসন্ধিমূলক: এমরান সালেহ প্রিন্স
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, বিএনপিসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দল প্রধান উপদেষ্টার সামনেই আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দাবি করেছে। কিন্তু প্রধান উপদেষ্টা আগামী এপ্রিলের প্রথমার্ধ্বে নির্বাচনের যে সময়সীমা উল্লেখ করেছেন, তা জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রত্যাশার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। জনগণ তথা রাজনৈতিক দলের মতামতকে অবজ্ঞা ও উপেক্ষা করে এপ্রিলে নির্বাচনের সময় নির্ধারণ দূরভিসন্ধিমূলক ও স্বৈরাচারী মনোবৃত্তির পরিচয় বহন করে। কেন প্রধান উপদেষ্টা বা অন্তর্বর্তী সরকার এপ্রিলে নির্বাচন দিতে চায় তা উল্লেখ করেন নাই। তিনি বলেন, ঐকমত্যের ভিত্তিতে এক মাসের মধ্যে সংস্কার করে অবলীলায় ডিসেম্বরের আগেই নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব। রোববার দুপুরে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপিও যেনতেন নির্বাচন চায় না। বিএনপি অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সমর্থন যাচাই করতে চায়। জনগণের আস্থা ও রায় নিয়ে জনগণের সেবা করতে চায়। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, তিন মাসের মধ্যেই অতীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার যেখানে গ্রহণযোগ্য নিরপেক্ষ নির্বাচন অয়োজন করেছে, সেখানে তিনটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় পার করেও ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার কেন নিরপেক্ষ নির্বাচন অয়োজন করতে পারছে না?
এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, সরকারের ভেতর ও বাইরে কয়েকটি স্বার্থান্বেষী মহল ড. ইউনূসকে ব্যবহার করে নির্বাচন অনিশ্চিত করতে যড়যন্ত্র করছে। তিনিও তাদের প্ররোচণায় সম্প্রতি কয়েকটি বিতর্কিত পদক্ষেপ নিয়ে নিজেও বিতর্কিত হচ্ছেন, যা বিএনপিসহ রাজনৈতিক দল ও জনগণর কাছে বিস্ময়কর। বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলো তাঁর ওপর আস্থা রেখে তাঁর নেতৃত্বেই ইতিহাস সৃষ্টিকারী নিরপেক্ষ নির্বাচন চেয়েছে। কিন্তু তিনি বা তাঁর অন্তর্বর্তী সরকার কেন রাজনৈতিক দলকে অবজ্ঞা ও উপেক্ষা করছে তা জাতি জানতে চায়।
ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক এনায়েত উল্লাহ কালাম, হালুয়াঘাট উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মোয়াজ্জেম হোসেন, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আসলাম মিয়া বাবুল, সদস্য সচিব আবু হাসনাত বদরুল কবীর, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক হানিফ মোহাম্মদ শাকের উল্লাহ, সদস্য সচিব আবদুল আজিজ খান, বিআরডিবির সাবেক চেয়ারম্যন শাহ আফাজ উদ্দিন, ট্র্যাইবল ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি বিপুল হাজং, হালুয়াঘাট শাখার চেয়ারম্যন সুব্রত রেমা, প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।