বিএনপির যুগ্ম-মহাসিচব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, “হামলায় নয়, জামায়াত নেতা কাউছার আহমদের মৃত্যু হয়েছে স্বাভাবিকভাবে। তবে, এই ঘটনাকে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডে রূপ দিয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাচ্ছে জামায়াতের নেতাকর্মীরা।”

সোমবার (৯ জুন) লক্ষ্মীপুর শহরের নিজ বাসভবন বসির ভিলায় সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। 

আরো পড়ুন: বিএনপির ১২ নেতাকর্মীর নামে মামলা, পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি

আরো পড়ুন:

লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তারেক রহমান

জামায়াত নেতা নিহত
বিএনপির ১২ নেতাকর্মীর নামে মামলা, পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি 

এ্যানি বলেন, “জামায়াতের নেতাকর্মীরা এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যদি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও অস্থিতিশীল অবস্থা তৈরি করে, তাহলে তা ভালো হবে না।”

জামায়াত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বিএনপির এই নেতা বলেন, “জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির সৌহার্দ্যপূর্ণ সর্ম্পক রয়েছে। দীর্ঘ ১৭ বছর স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের জন্য বিএনপি-জামায়াত এক হয়ে আন্দোলন ও লড়াই করছে।” সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি। 

এ্যানি বলেন, “জামায়াত নেতার জানাজায় অংশ নিতে গিয়ে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু ও যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যডভোকেট হাসিবুর রহমানের সঙ্গে জামায়াত নেতাকর্মীদের আচরণ কোনোভাবে কাম্য হতে পারে না। অতীতের মতো জামায়াত নেতাদের সঙ্গে বিএনপির সু-সম্পর্ক যেন থাকে, সেটা আমাদের কাম্য। স্বাভাবিক মৃত্যুকে পুঁজি করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটার চেষ্টা করবেন না। তাহলে সুন্দর পরিবেশ আর থাকবে না।”

এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন- বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্য আবুল খায়ের ভূঁইয়া, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু।  সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান, নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া, মাইন উদ্দিন চৌধুরী রিয়াজ, যুবদল নেতা রেজাউল করিম লিটন, সৈয়দ রশিদুল হাসান লিংকন, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা অ্যাডভোকেট মহসিন কবির স্বপন, হারুনুর রশিদ এবং কৃষক দল নেতা মাহাবুবুল আলম মামুন ও বদরুল আলম শ্যামল।

ঢাকা/জাহাঙ্গীর/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ন ত কর ম র ব এনপ র স

এছাড়াও পড়ুন:

অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক

অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।

বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক। 

আরো পড়ুন:

রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী

‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত

সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।

প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের  প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।

জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।

আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে  বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।

লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ