স্বাভাবিক মৃত্যুকে পুঁজি করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটার চেষ্টা করবেন না
Published: 10th, June 2025 GMT
বিএনপির যুগ্ম-মহাসিচব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, “হামলায় নয়, জামায়াত নেতা কাউছার আহমদের মৃত্যু হয়েছে স্বাভাবিকভাবে। তবে, এই ঘটনাকে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডে রূপ দিয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাচ্ছে জামায়াতের নেতাকর্মীরা।”
সোমবার (৯ জুন) লক্ষ্মীপুর শহরের নিজ বাসভবন বসির ভিলায় সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
আরো পড়ুন: বিএনপির ১২ নেতাকর্মীর নামে মামলা, পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি
আরো পড়ুন:
লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তারেক রহমান
জামায়াত নেতা নিহত
বিএনপির ১২ নেতাকর্মীর নামে মামলা, পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি
এ্যানি বলেন, “জামায়াতের নেতাকর্মীরা এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যদি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও অস্থিতিশীল অবস্থা তৈরি করে, তাহলে তা ভালো হবে না।”
জামায়াত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বিএনপির এই নেতা বলেন, “জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির সৌহার্দ্যপূর্ণ সর্ম্পক রয়েছে। দীর্ঘ ১৭ বছর স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের জন্য বিএনপি-জামায়াত এক হয়ে আন্দোলন ও লড়াই করছে।” সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
এ্যানি বলেন, “জামায়াত নেতার জানাজায় অংশ নিতে গিয়ে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু ও যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যডভোকেট হাসিবুর রহমানের সঙ্গে জামায়াত নেতাকর্মীদের আচরণ কোনোভাবে কাম্য হতে পারে না। অতীতের মতো জামায়াত নেতাদের সঙ্গে বিএনপির সু-সম্পর্ক যেন থাকে, সেটা আমাদের কাম্য। স্বাভাবিক মৃত্যুকে পুঁজি করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটার চেষ্টা করবেন না। তাহলে সুন্দর পরিবেশ আর থাকবে না।”
এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন- বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্য আবুল খায়ের ভূঁইয়া, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান, নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া, মাইন উদ্দিন চৌধুরী রিয়াজ, যুবদল নেতা রেজাউল করিম লিটন, সৈয়দ রশিদুল হাসান লিংকন, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা অ্যাডভোকেট মহসিন কবির স্বপন, হারুনুর রশিদ এবং কৃষক দল নেতা মাহাবুবুল আলম মামুন ও বদরুল আলম শ্যামল।
ঢাকা/জাহাঙ্গীর/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ন ত কর ম র ব এনপ র স
এছাড়াও পড়ুন:
চাঁদপুরে জীবন্ত নবজাতক দাফনের চেষ্টা, হাসপাতাল বন্ধ
চাঁদপুর পৌর কবরস্থানে নবজাতক দাফনের সময় নড়ে ওঠা এবং পরবর্তীতে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার পর মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেপ্তার হয় শহরের তালতলা দি ইউনাইটেড হাসপাতালের ওয়ার্ড বয় ফারুক হোসেন গাজী (৪৫)। এই ঘটনায় আগামী দুই দিনের মধ্যে রোগীদের অন্যত্র স্থানান্তর করে হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় দি ইউনাইটেড হাসপাতালে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বাপ্পি দত্ত রনি।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন হাসপাতালটিতে নানা অবৈধ কার্যক্রম চলে আসছে। ওই নবজাতকের জন্মও হয় এই হাসপতালে। জীবন্ত নবজাতক দাফনের চেষ্টা করার ভিডিও ভাইরাল হলে বিষয়টি নজরে আসে প্রশাসনের এবং পুলিশ সুপারের নির্দেশে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) নবজাতককে কবরস্থানে নিয়ে আসা ওয়ার্ড বয় ফারুক গাজীকে গ্রেপ্তার করে।
এই ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় মামলা করেন পৌর কবর স্থানের কেয়ারটেকার মো. শাহজাহান মিয়াজী।
এদিকে দি ইউনাইটেড হাসপাতালে এ ঘটনায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বাপ্পি দত্ত রনি বলেন, “হাসপাতালে এসে ব্যবস্থাপনায় জড়িত কাউকে পাওয়া যায়নি। তাদের সাথে ফোনে যোগাযোগ করেও কোন সাড়া মিলেনি। চিকিৎসক নেই, হাসপাতালের প্যাথলজি ও ওটির সঠিক পরিবেশ নেই। একই সাথে পোস্ট অপারেটিভ রোগীর জন্য কোন সুব্যবস্থা নেই এবং হাসপাতালের কাগজপত্রও নবায়ন নেই।”
তিনি আরো বলেন, “প্রাথমিকভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা এবং ওটি, প্যাথলজি ও সংশ্লিষ্ট কক্ষ সীলগালা করা হয়েছে। একই সাথে রোগীদেরকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অন্য স্থানে সেবার ব্যবস্থা করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমাদের অভিযানে পরিচালিত কার্যক্রম সিভিল সার্জন বরাবর প্রদান করা হবে। সিভিল সার্জন হাসপাতালের নিবন্ধন বাতিলসহ পরবর্তী ব্যবস্থা নিতে পারবেন।”
এ ভ্রাম্যমাণ আদালতে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রফিকুল হাসান ফয়সাল, জেলা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মু. মিজানুর রহমান। অভিযানে চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশ সহযোগিতা করেন।
অপরদিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত শেষে হাসপাতালের ড্রাগ সনদসহ যাবতীয় কার্যক্রম পরীক্ষা করে দেখেন জেলা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মু. মিজানুর রহমান।
ঢাকা/অমরেশ/এস