বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফিরতে কোনো অসুবিধা নেই বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, তারেক রহমান বাংলাদেশের নাগরিক। তাই যেকোনো সময় তিনি আসতে পারেন। তিনি যে সময় মনে করবেন, তখনই দেশে ফিরতে পারবেন।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে গাজীপুরের সালনা হাইওয়ে থানা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ভারতে যদি বাংলাদেশের লোক থাকে, অবশ্যই বাংলাদেশ তাদের গ্রহণ করবে, তবে সেটা যথাযথ প্রক্রিয়ায় (প্রপার চ্যানেলে) আসতে হবে। কিন্তু ভারত এটা অনুসরণ না করে জঙ্গল ও রাস্তা দিয়ে ঠেলে (পুশইন) পাঠাচ্ছে। বেআইনিভাবে অমানবিক ঠেলে পাঠানো হবে না। এ ব্যাপারে তাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে জানানো হয়েছে।

এ সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম খান, হাইওয়ে পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) শফিকুল ইসলাম, গাজীপুরের পুলিশ সুপার চৌধুরী মো.

যাবের সাদেকসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

পরে উপদেষ্টা বিশিয়া কুড়িবাড়িতে বিজিবি ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। দুপুরে তাঁর বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) শ্রীপুর আঞ্চলিক কেন্দ্র পরিদর্শনের কথা আছে।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনায় ৮ ঘণ্টার ব্যবধানে ২ জনকে কুপিয়ে হত্যা

খুলনায় মাত্র আট ঘণ্টার ব্যবধানে দুজনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

শুক্রবার (১ আগস্ট) রাতে খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা এলাকায় মনোয়ার হোসেন টগর নামে এক যুবক এবং শনিবার (২ আগস্ট) ভোরে দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুরে আল-আমিন সিকদার নামে এক ভ্যানচালক খুন হন। 

দিঘলিয়ায় ভ্যানচালককে কুপিয়ে হত্যা
পুলিশ জানায়, শনিবার ভোর আনুমানিক সাড়ে ৫টার দিকে দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর নন্দনপ্রতাপ গ্রামে আল-আমিন সিকদার (৩৩) নামে এক ভ্যানচালককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত আল-আমিন ওই গ্রামের কাওসার শিকদারের ছেলে।

দিঘলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এইচ এম শাহীন বলেন, “আল-আমিনের স্ত্রীর সাবেক স্বামী মো. আসাদুল ঝিনাইদহ থেকে এসে অতর্কিতে তার ওপর হামলা চালায়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার পর আসাদুল পালিয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তার সাবেক স্ত্রীকে বিয়ে করার কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে।”

ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।

নগরীতে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
অপরদিকে, শুক্রবার রাত সোয়া ৯টার দিকে খুলনা নগরীর সোনাডাঙ্গা থানাধীন সবুজবাগ এলাকায় নিজ বাড়িতে ছুরিকাঘাতে খুন হন মনোয়ার হোসেন টগর (২৫) নামে এক যুবক। তিনি ওই এলাকার বাসিন্দা জামাল হাওলাদারের ছেলে। 

স্থানীয়রা জানান, রাত সোয়া ৯টার দিকে কয়েকজন যুবক টগরের বাড়িতে প্রবেশ করে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা তাকে ছুরিকাঘাত করে। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

সোনাডাঙ্গা মডেল থানার এসআই আবদুল হাই বলেন, “প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, হত্যাকারীরা টগরের পূর্ব পরিচিত।  তাদের সবাইকে শনাক্ত করা হয়েছে এবং গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।” 

ঢাকা/নুরুজ্জামান/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ