মধুবন সিনেপ্লেক্স এখন কমিউনিটি সেন্টার
Published: 4th, November 2025 GMT
বগুড়ার সংস্কৃতিমনস্ক মানুষের কাছে ‘মধুবন’ ছিল শুধু একটি সিনেমা হল নয়, এক টুকরো নস্টালজিয়া। চার বছর আগে ঐতিহ্যবাহী এই সিনেমা হলটি আধুনিক সাজে রূপ নিয়েছিল ‘মধুবন সিনেপ্লেক্স’ হিসেবে। টিকিট কাউন্টার থেকে পপকর্ন কর্নারে, সবকিছুতেই ছিল আধুনিকতার ছোঁয়া।
তবে সেই উজ্জ্বল আলো এখন নিভে গেছে। চলতি বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে গেছে মধুবন সিনেপ্লেক্স। আর বন্ধ দরজার ভেতর এখন সিনেমার বদলে বাজে বিয়ের গানের সুর। কারণ মধুবন এখন কমিউনিটি সেন্টার।
আরো পড়ুন:
জুবিনের মৃত্যু নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বিস্ফোরক মন্তব্য
আমরা গর্বিত আমাদের এন্ড্রু কিশোর আছেন: কনকচাঁপা
সিনেপ্লেক্সটির মালিক রোকনুজ্জামান ইউনূসের ছেলে এস এম ইউনূস বলেন, “সিনেমা চালাতে পারছি না। এখানে তো স্টার সিনেপ্লেক্সের মতো সুযোগ–সুবিধা নেই। প্রতি মাসে বিপুল খরচ, কিন্তু দর্শক কম। বন্ধের আগের তিন মাসে প্রায় ৯ লাখ টাকা খরচ হয়েছে, যা তুলতে পারিনি।”
প্রেক্ষাগৃহটি এখনো পুরোপুরি কমিউনিটি সেন্টার বানানোর ইচ্ছে নেই। এ তথ্য জানিয়ে এস এম ইউনূস বলেন, “হলের আউটডোর অংশ মাঝে মাঝে বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য দিচ্ছি। এটাকে পুরোপুরি কমিউনিটি সেন্টার বানানোর ইচ্ছে নেই। আগামী নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করব। নতুন সরকার এলে যদি সহযোগিতা করে, তাহলে ‘মধুবন’ আবার সিনেমা হল হিসেবেই ফিরবে।”
৩৩৬ আসনের এই সিনেপ্লেক্সে ‘পরাণ’, ‘হাওয়া’, ‘প্রিয়তমা’, ‘তুফান’, ‘বরবাদ’-এর মতো জনপ্রিয় সিনেমাগুলো বিপুল দর্শক টেনেছিল। বিশেষ করে ‘বরবাদ’ সিনেমা মুক্তির সময় পরিবার নিয়ে রাতভর শো দেখতে দূরদূরান্ত থেকে দর্শক আসতেন—একাধিক দিন ‘মিড নাইট শো’ চলেছিল মধুবনে।
এখন সেই প্রেক্ষাগৃহে সিনেমার আলো নিভে গিয়ে জ্বলছে সাজঘরের ঝলমলে লাইট। দর্শকের উচ্ছ্বাসের জায়গা দখল করেছে বিয়ের ব্যস্ততা।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
বিএনপির প্রার্থীকে অভিনন্দন জানালেন জামায়াতের প্রার্থী
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে নীলফামারী-২ (সদর) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এ এইচ এম সাইফুল্লাহ রুবেলকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অভিনন্দন জানিয়েছেন একই আসনের বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের প্রার্থী আল ফারুক আব্দুল লতিফ।
নিজের ফেসবুক পোস্টে আল ফারুক আব্দুল লতিফ লিখেছেন, “বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এ এইচ এম সাইফুল্লাহ রুবেলকে আমি ব্যক্তিগতভাবে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। আশা করছি, আমরা এক প্রাণবন্ত নির্বাচনি মাঠের লড়াইয়ে নামব এবং আমাদের সংসদীয় আসনকে দেশের বুকে উদার, সহনশীল ও গণতান্ত্রিক হিসেবে তুলে ধরতে পারব, ইনশাআল্লাহ।”
আরো পড়ুন:
টাঙ্গাইলে বিএনপির আনন্দ মিছিলে আ.লীগ নেতার স্লোগান
মাদারীপুর-১ আসনে কামাল মোল্লার মনোনয়ন স্থগিত
রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েও এমন শুভেচ্ছা বার্তা দ্রুত সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, যা স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে ইতিবাচক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
নীলফামারীর ভোটার আহমেদ ইসলাম বলেন, “আমার জানামতে, এর আগে এমন সৌহার্দ্যপূর্ণ রাজনৈতিক আচরণ দেখিনি। দুইজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হয়েও একজন আরেকজনকে এভাবে অভিনন্দন জানানো সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক।”
আল ফারুক আব্দুল লতিফ বলেন, “আমরা একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন উপহার দিতে চাই। যেই জয়লাভ করুক না কেন, নীলফামারীর উন্নয়নে আমরা একসঙ্গে কাজ করতে চাই।”
ঢাকা/সিথুন/বকুল