সিলেটে সড়কের পাশে ২৫ গজের মধ্যে গাড়ি রাখলেই দণ্ড
Published: 21st, October 2025 GMT
সিলেট নগরে রাস্তার সংযোগস্থলের কেন্দ্রবিন্দু থেকে ২৫ গজের মধ্যে সব ধরনের পার্কিং নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ দূরত্বের মধ্যে কোনো ধরনের যানবাহন রাখলেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে এক বিজ্ঞপ্তিতে সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার আবদুল কুদ্দুছ চৌধুরী এ নির্দেশনা জারি করেন। এতে আরও বলা হয়, দুই লেনের সড়কে কোনো ধরনের পার্ক করা যাবে না। এ ছাড়া নির্ধারিত পার্কিংয়ে সিঙ্গেল লাইনে অনুমোদিতসংখ্যক যানবাহন রাখতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সিলেট মহানগর পুলিশ আইনের ২৭(১) ধারা মতে, ফুটপাত ও সড়কে যানবাহন রেখে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি দণ্ডনীয় অপরাধ। আইনভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, জনস্বার্থে আদেশটি জারি করা হয়েছে। এতে নগরে যানজট সমস্যা অনেকটাই দূর হবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
স্পিরিট পানে ৭ মৃত্যু: কবর থেকে তোলা হলো চার মরদেহ
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ এলাকায় বিষাক্ত স্পিরিট পানে মারা যাওয়া সাতজনের মধ্যে চারজনের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকাল ৯টার দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হুদা মনির উপস্থিতিতে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহগুলো উত্তোলন করা হয়।
যাদের মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে তারা হলেন- চুয়াডাঙ্গা সদরের পিরোজখালি গ্রামের নবীছউদ্দিনের ছেলে লাল্টু হোসেন, খেজুরা গ্রামের মৃত দাউদ আলীর ছেলে সেলিম, নফরকান্দি গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে খেদের আলী এবং শংকরচন্দ্র গ্রামের শহিদুল মোল্লা।
আরো পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার
টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হামিদুল হক মোহন আর নেই
আরো পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ২ দিনে ‘মদ পানে’ ৬ জনের মৃত্যু
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হুদা মনির জানান, আদালতের নির্দেশ ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহগুলো কবর থেকে তোলা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে সংশ্লিষ্ট আদালতে এ বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।
গত ৯ অক্টোবর দিবাগত রাতে সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ বাজার এলাকায় কয়েকজন বিষাক্ত স্পিরিট পান করেন। এরপর একে একে তারা সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েন। বিভিন্ন সময়ে তাদের মধ্যে সাতজনের মৃত্যু হয়। পরে পুলিশ মারা যাওয়া ব্যক্তিদের বাড়িতে গিয়ে তদন্ত শুরু করে। জানা যায়, মারা যাওয়াদের মধ্যে চারজনকে গোপনে দাফন করেন পরিবারের সদস্যরা। আদালতের নির্দেশে আজ ওই চারজনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে তোলা হয়েছে।
মারা যাওয়া সাতজন হলেন- চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নফরকান্তি গ্রামের পূর্বপাড়ার ভ্যানচালক খেদের আলী, খেজুরা হাসপাতাল পাড়ার মাছ ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সেলিম, পিরোজখালি স্কুলপাড়ার ভ্যানচালক লালটু হোসেন, শংকরচন্দ্র মাঝেরপাড়ার শ্রমিক মোহাম্মদ শহীদ, ডিঙ্গেদহ টাওয়ারপাড়ার মিল শ্রমিক মোহাম্মদ সামির, ডিঙ্গেদহ এশিয়া বিস্কুট ফ্যাক্টরি পাড়ার শ্রমিক সরদার মোহাম্মদ লালটু এবং হায়াত আলী (৪৫)।
ঢাকা/মামুন/মাসুদ