রাজশাহীর পুঠিয়ায় চাঁদার দাবিতে সেনা সদস্যের বাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দুই বিএনপি কর্মীকে আটক করা হয়। বৃহস্পতিবার ভোরে লেফটেন্যান্ট মোহাম্মদ তারেক আজিজের নেতৃত্বে হাতিনাদা ও শিবপুর ভাড়রা গ্রামে যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। 

আটক ব্যক্তিরা হলেন, শিবপুর ভাড়রা গ্রামের সুজন ও হাতিনাজা গ্রামের শাহিন আক্তার খোকন। তাদের পুঠিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। 

সোমবার দুপুরে বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম ও রাজ্জাকের নেতৃত্বে সেনা সদস্য তরিকুল ইসলামের বাড়িতে চাঁদার দাবিতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। আগুনে ঘরের টিন, ২টি ছাগল, ৫০ মণ পেঁয়াজ, ১০ মণ রসুন পুড়ে যায়। হামলাকারীরা টাকা, সোনার গহনা লুট করে নিয়ে যায়। পরে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ ঘটনায় সেনা সদস্যর বাবা আব্দুল হান্নান বাদী হয়ে পুঠিয়া থানায় বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে ১০ জনের নামে মামলা করেন। ওই মামলায় আরও ১২ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। 
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ আটক সদস য ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

কাহালুর জামাই মেলায় মানুষের ঢল

বগুড়ার কাহালু উপজেলায় দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী জামাই মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার পৌর এলাকার পাল্লাপাড়া গ্রাম উন্নয়ন কমিটির আয়োজনে কাহালু সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ আয়োজন করা হয়। মেলার প্রধান আকর্ষণ ছিল ঐতিহ্যবাহী লাঠি ও পাতা খেলা। শিশু-কিশোরদের জন্য ছিল নাগরদোলা ও নৌকাদোল।

মেলা উপলক্ষে নতুন জামাই ও আত্মীয়দের নিমন্ত্রণ জানানো হয় আশপাশের কয়েকটি গ্রামে। বাড়িতে বাড়িতে অতিথি আপ্যায়নের ধুম পড়ে। এলাকার প্রায় প্রতিটি বাড়িতে বেড়াতে আসেন মেয়েজামাই। তারা একসঙ্গে কেনাকেটা করেন। বাঁশ, মাটি ও প্লাস্টিকের তৈরি খেলনার পসরা সাজিয়ে বসেন বিক্রেতা। ছিল নারীদের প্রসাধনীর দোকানও।

এদিন অতিথি আপ্যায়নে মিষ্টির দোকানগুলোয় ক্রেতার উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। হরেক রকমের মিষ্টি তৈরি করে বিক্রি করছেন দোকানি। মৌসুমি ব্যবসায়ীদের আম, জাম, লিচু, কাঁঠাল, তালের শাঁসসহ বিভিন্ন ফল বিক্রি করতে দেখা যায়। চটপটি, বারোভাজা ও ফুসকার দোকানেও ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।

এ মেলা ঘিরে আশপাশের এলাকায় উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়ে। শিশু-কিশোরদের বাজানো বাঁশির শব্দ ছিল পুরো এলাকায়। মেলায় কথা হয় পাল্লাপাড়া গ্রামের জামাই মোরশেদ আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, এক বছর আগে বিয়ে করেছেন এলাকায়। কয়েকদিন আগে ঈদের দাওয়াতে এসেছিলেন শ্বশুরবাড়ি। এদিন আসেন জামাই মেলা উপলক্ষে।

মেলায় সকালে মাছ ও মাংসের দোকান বসে। বিকেলে ভ্যাপসা গরম উপেক্ষা করেই মানুষের ঢল নামে। শিশু-কিশোরদের হাত ধরে মেলায় ঘুরতে আসেন অভিভাবকসহ স্বজনরা। শিশুদের বায়না মেটাতে হিমশিম খেতে হয় অনেককে।

আয়োজকদের অন্যতম সাবেক কাউন্সিলর মোজাম্মেল হক বলেন, ৩৫ বছর থেকে এ মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। এলাকার জামাইদের দাওয়াত করা হয় বলে এটি ‘জামাই মেলা’ হিসেবে পরিচিত। এ মেলা এখন এলাকার ঐতিহ্য। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ