কৃষি ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে রয়ে গেছে আন্তঃবৈষম্য: উপদেষ্টা ফরিদা
Published: 12th, June 2025 GMT
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, কৃষি মন্ত্রণালয় এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে আন্তঃবৈষম্য এখনও রয়ে গেছে। এই বৈষম্য থাকার কারণে এখনও প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষক, ছোট খামারি ও জেলেরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। আমরা চেষ্টা করছি এ বৈষম্য দূর করার। দুই মন্ত্রণালয়ের মধ্যে আন্তঃসমস্যাগুলো সমাধান করা গেলে মানুষ উপকৃত হবে।
বৃহস্পতিবার পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলা মৎস্য বীজ উৎপাদন খামার পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন তিনি। উপদেষ্টা বলেন, দেশের মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য উৎপাদন এবং মাছ, দুধ, ডিম, মাংসসহ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হলে প্রান্তিক পর্যায়ের জেলে ও কৃষকদের সহায়তা করতে হবে। আমরা সেই চেষ্টা করে যাচ্ছি।
পরে উপদেষ্টা ঈশ্বরদীর সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউটে (বিএসআরআই) বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও স্থানীয়দের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় উপদেষ্টা বলেন, লবণ, সাদা চিনি ও পালিশ করা ধবধবে সাদা চাল এই তিনটিই মানবদেহের জন্য বিষ। এই বিষ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে হলে আমাদের ঢেঁকি ছাঁটা চালের ভাত খেতে হবে। পরিমাণের অতিরিক্ত লবণ পরিহার করতে হবে এবং আমদানি করা সাদা চিনির পরিবর্তে ব্যবহার করতে হবে লাল চিনি। ইতোমধ্যে সরকার বন্ধ চিনিকল চালু করে লাল চিনির সরবরাহ বাড়াতে কাজ করছে। অচিরেই পাবনা চিনিকলসহ বন্ধ থাকা ৬টি চিনিকল চালু করা হবে।
ঈশ্বরদীর বিএসআরআই মিলনায়তনে আয়োজিত মতবিনিময় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএসআরআই মহাপরিচালক ড.
মৎস্য খামারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পাবনা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা দীপক কুমার পাল। বক্তব্য দেন ঈশ্বরদী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহাদাত হোসেন খান, জেলা মৎস্য খামার ব্যবস্থাপক ড. মোনাশিষ চৌধুরী, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুর রহমান খান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আকলিমা খাতুন, উপজেলা মৎস্য খামার ব্যবস্থাপক রেজাউল ইসলাম প্রমুখ।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: কর মকর ত উপদ ষ ট উপজ ল মৎস য
এছাড়াও পড়ুন:
হাইতিতে গ্যাং হামলায় ৫০ জনের বেশি নিহত
ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের দেশ হাইতিতে গত সপ্তাহে একাধিক গ্যাং হামলায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্কের (আরএনডিডিএইচ) তথ্যানুসারে, সংকটে জর্জরিত দেশটিতে সর্বশেষ ভয়াবহ গণহত্যার ঘটনা এটি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্যারন’স।
গতকাল সোমবার এএফপিকে পাঠানো এক প্রতিবেদনে আরএনডিডিএইচ জানায়, গত ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের উত্তর এলাকায় এই হামলাগুলো ঘটে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২০২৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিহত হওয়া বহু মানুষের লাশ এখনও পাওয়া যায়নি। লাশগুলো এখনও ঝোপের মধ্যে পড়ে আছে এবং কুকুর লাশগুলো খেয়ে ফেলেছে।’
পশ্চিম গোলার্ধের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ হাইতি। দেশটির একটি অংশ ও রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের বেশিরভাগ এলাকা সশস্ত্র গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণে থাকায় সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
২০২৪ সালের শুরুর দিকে গ্যাংগুলোর একটি জোট লাগাতার হামলা শুরু করলে পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়। যার ফলে প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি পদত্যাগ করেন এবং প্রেসিডেন্টের অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।
হাইতির পুলিশকে সমর্থন করার জন্য কেনিয়ার নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক বাহিনী মোতায়েন করার পরও সহিংসতা দমন করা সম্ভব হয়নি।
আরএনডিডিএইচ জানিয়েছে, ভিভ আনসানম গ্যাং জোট, যারা ২০২৪ সালের মার্চ মাস থেকে ক্যাবারেট শহরের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তারা গত সপ্তাহে নিকটবর্তী ল্যাবোডেরি শহরে বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে অত্যন্ত নিষ্ঠুর গণহত্যা চালিয়েছে। শহরটি রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত।
সংস্থাটি আরো জানায়, ‘তারা ৫০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে এবং বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।’
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ‘বেঁচে থাকা কয়েকজন পার্শ্ববর্তী এলাকায় পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। অন্যান্যরা আক্রমণকারীদের হাত থেকে বাঁচতে নৌকায় করে সমুদ্রে পালিয়ে যায়।’
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গত মাসে সতর্ক করে বলেছেন, হাইতিতে ‘রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব ভেঙে পড়ছে।’
তিনি নিরাপত্তা পরিষদকে সতর্ক করে বলেন, হাইতির রাজধানীর বাইরেও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে। সেখানকার ৯০ শতাংশ অঞ্চলের ওপর গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।
রবিবার, তিনি ক্যাবারে কমিউনে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন এবং দেশগুলোকে প্রয়োজনীয় ‘সরবরাহ, কর্মী ও তহবিল দিয়ে বহুজাতিক নিরাপত্তা সহায়তা মিশনকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করার’ আহ্বান জানিয়েছেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের তথ্যানুসারে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে হাইতিতে কমপক্ষে ৩ হাজার ১৪১ জন নিহত হয়েছে।
ঢাকা/ফিরোজ