যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের সামরিক ঘাঁটি এবং জাহাজে হামলার হুমকি দিয়েছে ইরান। ইসরায়েলের হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ব্যবহার বন্ধে সাহায্য করলে এ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে তেহরান।

শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, আমেরিকা ইসরায়েলকে রক্ষা করতে সাহায্য করবে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁও জানিয়েছেন, তার দেশ ইরানের প্রতিশোধমূলক হামলার বিরুদ্ধে ইসরায়েলকে রক্ষা করতে সাহায্য করবে।

মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইসরায়েলের দিকে এগিয়ে আসা ইরানি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করতে সাহায্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র। 

তবে যুক্তরাজ্য সরকার জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার উত্তেজনা হ্রাসের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিচ্ছেন। ব্রিটিশ বাহিনী ইসরায়েলকে কোনো সামরিক সহায়তা প্রদান করেনি।

তেহরান এমন এক সময়ে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষার জন্য পশ্চিমাদের সমর্থন রোধ করতে চাইছে, যখন ইসরায়েলে ছোড়া বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন তাদের লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছানোর আগেই ধ্বংস হচ্ছে। 

শুক্রবার ভোররাতে ইরানের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালায় ইসরায়েল। এই হামলায় ইরানের সামরিক বাহিনীর প্রধান, বিপ্লবী বাহিনীর প্রধান এবং দুজন পরামণু বিজ্ঞানী নিহত হন। ইরান এই হামলার কঠোর জবাব দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছিল। শনিবার প্রথম প্রহরেই ইসরায়েলে হামলা শুরু করে ইরান।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স হ য য কর য ক তর ইসর য

এছাড়াও পড়ুন:

‘ভূমির ডিজিটাল রূপান্তর একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ’

ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ বলেছেন, “ভূমির ডিজিটাল রূপান্তর বাংলাদেশের ভূমি প্রশাসনে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। বর্তমান বিশ্বের দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তিনির্ভর যুগে ভূমি ব্যবস্থাপনা খাতেও এসেছে ডিজিটাল রূপান্তর। সরকারের গৃহীত ‘ডিজিটাল ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (ই. ডি. এল. এম. এস.)’ প্রকল্প ভূমি প্রশাসনকে করেছে আরো স্মার্ট, স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক এবং নাগরিকবান্ধব।”

সোমবার (৪ নভেম্বর) রাজধানীর ভূমি ভবনের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত ‘ই. ডি. এল. এম. এস. সফটওয়্যার সংক্রান্ত কর্মশালা’য় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আরো পড়ুন:

আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ২০, আহত তিন শতাধিক

ভূমি অফিসকে আস্থার প্রতিক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে: সিনিয়র সচিব

সালেহ আহমেদ বলেন, “তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর এই যুগে জনসেবা কার্যক্রমকে দক্ষ, স্বচ্ছ ও নাগরিকবান্ধব করতে প্রযুক্তির ভূমিকা অনস্বীকার্য। ডিজিটাল ভূমি জরিপ ভূমি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। অতীতে হাতে লেখা মানচিত্র ও কাগজের খতিয়ানভিত্তিক জরিপ ছিল সময়সাপেক্ষ, ব্যয়বহুল ও ত্রুটিপূর্ণ। কিন্তু এখন স্যাটেলাইট ও ভূ-তাত্ত্বিক তথ্য ব্যবস্থা (জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সিস্টেম–জি. আই. এস.) প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে ভূমির আয়তন, সীমা ও মালিকানা নির্ভুলভাবে নির্ধারণ করা সম্ভব হচ্ছে।”

তিনি বলেন, “ডিজিটাল ভূমি জরিপের ফলে ভূমি সংক্রান্ত জটিলতা ও বিরোধ অনেকাংশে কমে এসেছে। যেহেতু সব রেকর্ড অনলাইনে সংরক্ষিত ও যাচাইযোগ্য, তাই জালিয়াতি বা একাধিক মালিকানা দাবি করা এখন প্রায় অসম্ভব। নাগরিকরা ঘরে বসেই দ্রুত ও নির্ভরযোগ্য সেবা পাচ্ছেন। এতে প্রশাসনে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং নজরদারি বৃদ্ধি পেয়েছে।”

কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান (সচিব) ড. মাহমুদ হাসান, ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, ই. এল. এ. এম. এস. প্রকল্পের ভূমি নীতি বিশেষজ্ঞ মো. হান্নান মিয়া ও মো. হামিদুর রহমান, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, এছাড়া ভূমি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (গ্রেড–১) মো. সাইদুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কোরিয়ান প্রতিষ্ঠান জিওমেক্সসফট-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. জে ইয়ং ইউ।

প্রকল্পের কার্যক্রম উপস্থাপন করেন উপসচিব ও ডেপুটি প্রজেক্ট ডিরেক্টর মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান।

ঢাকা/এএএম/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ