যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের সামরিক ঘাঁটিতে হামলার হুমকি
Published: 14th, June 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের সামরিক ঘাঁটি এবং জাহাজে হামলার হুমকি দিয়েছে ইরান। ইসরায়েলের হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ব্যবহার বন্ধে সাহায্য করলে এ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে তেহরান।
শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, আমেরিকা ইসরায়েলকে রক্ষা করতে সাহায্য করবে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁও জানিয়েছেন, তার দেশ ইরানের প্রতিশোধমূলক হামলার বিরুদ্ধে ইসরায়েলকে রক্ষা করতে সাহায্য করবে।
মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইসরায়েলের দিকে এগিয়ে আসা ইরানি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করতে সাহায্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
তবে যুক্তরাজ্য সরকার জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার উত্তেজনা হ্রাসের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিচ্ছেন। ব্রিটিশ বাহিনী ইসরায়েলকে কোনো সামরিক সহায়তা প্রদান করেনি।
তেহরান এমন এক সময়ে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষার জন্য পশ্চিমাদের সমর্থন রোধ করতে চাইছে, যখন ইসরায়েলে ছোড়া বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন তাদের লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছানোর আগেই ধ্বংস হচ্ছে।
শুক্রবার ভোররাতে ইরানের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালায় ইসরায়েল। এই হামলায় ইরানের সামরিক বাহিনীর প্রধান, বিপ্লবী বাহিনীর প্রধান এবং দুজন পরামণু বিজ্ঞানী নিহত হন। ইরান এই হামলার কঠোর জবাব দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছিল। শনিবার প্রথম প্রহরেই ইসরায়েলে হামলা শুরু করে ইরান।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স হ য য কর য ক তর ইসর য
এছাড়াও পড়ুন:
আলো আর আসবে না, আপনারা অন্ধকারে নিমজ্জিত: উজ্জ্বল
‘আরো দিব রক্ত, করব ফ্যাসিবাদ দোসর মুক্ত/ রক্তের ঋণে স্বাধীনতা, জাগ্রত হোক মানবতা’- এমন প্রতিপাদ্য নিয়ে পালিত হলো চলচ্চিত্রের কালো দিবস।
রবিবার (৩ আগস্ট) সকালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের মূল ফটকের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন চলচ্চিত্র অঙ্গনের কর্মীরা।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রজনতার আন্দোলনে নির্বিচারে গুলি ও গণহত্যার সমর্থনে গত বছরের ২ আগস্ট বিটিভি প্রাঙ্গণে এবং ৩ আগস্ট বিএফডিসিতে তৎকালীন হাসিনা সরকারের ইন্ধনদাতা শিল্পী-কলাকুশলীদের বিচার এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে বর্জন করার দাবিতে জুলাই আন্দোলনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মানববন্ধন ও চলচ্চিত্রের কালো দিবস পালন করেন তারা।
অভিনেতা আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জ্বল বলেন, “আজ বাংলাদেশ স্বৈরাচারমুক্ত হয়েছে। কিন্তু দোসরমুক্ত হয়নি। আজ আমরা যেখানে দাঁড়িয়ে আছি এখানে গত বছরের এই দিনে কিছু সুবিধাবাদী, স্বৈরাচারের দোসররা অবস্থান নিয়েছিল ছাত্র-জনতার বিপক্ষে। তারা ‘আলো আসবেই’ গ্রুপের সদস্য। তাদের বলতে চাই- আলো আর আসবে না। আলো বন্ধ হয়ে গেছে, তেল শেষ হয়ে গেছে। আপনারা অন্ধকারে নিমজ্জিত। আর আপনাদের চেহারা দেখা যাবে না।”
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন নির্মাতা বদিউল আলম খোকন, চিত্রনায়ক আবির চৌধুরী, অভিনেতা মারুফ আকিব, জেবাসহ অনেকেই।
অনুষ্ঠানে বক্তারা জুলাই আন্দোলনে ফ্যাসিস্টদের পক্ষ নেওয়া শিল্পী ও কলাকুশলীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে ক্ষমা চাইতে বলেন। অন্যথায় এসব শিল্পী-কলাকুশলী ও ‘আলো আসবেই’ গ্রুপের সদস্যদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবেন বলেও জানানো হয়। একইসঙ্গে আন্দোলনের বিপক্ষে থাকা শিল্পী-কলাকুশলীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে বর্জন করার দাবি জানান।
ঢাকা/রাহাত