দেশের অন্যতম মোবাইল অপারেটর রবির নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে জিয়াদ সাতারাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে তাঁর নিয়োগ কার্যকর হবে। আজ সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রবি এ তথ্য জানিয়েছে।

জিয়াদ সাতারা দায়িত্ব গ্রহণের আগপর্যন্ত রবির ভারপ্রাপ্ত সিইও ও প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা (সিএফও) হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন এম.

রিয়াজ রশীদ। বিজ্ঞপ্তিতে রবি জানিয়েছে, বাংলাদেশ, জর্ডান, ইতালি, কম্বোডিয়াসহ বিভিন্ন দেশের টেলিযোগাযোগ খাতে ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করেছেন জিয়াদ সাতারা। তাঁর সম্পর্কে বলা হয়েছে, টেলিকম খাতে ব্যবসা এগিয়ে নেওয়া, আধুনিকীকরণ এবং গতিশীল ও সম্ভাবনাময় বাজারে নতুন দৃষ্টিভঙ্গিতে সাফল্য অর্জনের ক্ষেত্রে তিনি একজন অভিজ্ঞ ও কৌশলী ব্যক্তি।

জিয়াদ সাতারার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বলা হয়েছে, তিনি ইতালির উইন্ড টেলিকমিউনিকেশনে চিফ টেকনোলজি অফিসার (সিটিও), ঢাকায় বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশনস লিমিটেডের সিইও, জর্ডানের মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর উমনিয়াহর সিইও এবং কম্বোডিয়ার স্মার্ট আজিয়াটাতে সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

রবি আজিয়াটা পিএলসিতে জিয়াদ সাতারাকে স্বাগত জানিয়ে রবির পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান থায়াপরান সাঙ্গারাপিল্লাই বলেন, জিয়াদ সাতারার কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গি, গ্রাহকদের চাহিদা বোঝার ক্ষমতা এবং দক্ষ টিম গঠনের সফল অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাঁর নেতৃত্বে রবি বাজারে নিজেদর অবস্থান আরও সুদৃঢ় করবে।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতে রপ্তানির খবরে চাঁদপুরে ইলিশের দাম বেড়েছে

ভারতে রপ্তানির খবরে চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ ও উত্তর উপজেলার মাছবাজারে গতকাল বুধবার থেকে ইলিশের দাম আগের তুলনায় বেড়েছে। বাজারে প্রতি কেজি ইলিশের দাম গড়ে বেড়েছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা করে।

দাম বাড়ায় নিম্ন আয়ের ক্রেতাদের পাতে জুটছে না ইলিশ। এ নিয়ে হতাশ তাঁরা। দাম বেড়ে যাওয়ায় বিক্রি কম। এতে হতাশ বিক্রেতারাও।

গতকাল ও আজ বৃহস্পতিবার সকালে মতলব দক্ষিণ উপজেলা সদর, মুন্সিরহাট ও বরদিয়া আড়ৎ এবং মতলব উত্তর উপজেলার আমিরাবাদ, সুজাতপুর ও ছেংগারচর মাছবাজারে গিয়ে এ তথ্য জানা গেছে।

এসব বাজারে দেখা যায়, সেখানে মোটামুটি হারে ইলিশের আমদানি হয়েছে। ইলিশ সাজিয়ে বসে আছেন বিক্রেতারা, তবে বেচাকেনা কম। দু-একজন ক্রেতা দরদাম করেই ফিরে যাচ্ছেন। কেউ ইলিশের কাছে এসে উঁকিঝুঁকি মেরেই সারা। ইলিশের দাম শুনে হতাশ মনে ফিরছেন অনেকেই। সচ্ছল কিছু ক্রেতা কিছু ইলিশ কিনলেও নিম্ন আয়ের অধিকাংশ ক্রেতাই কিনছেন না, শুধু দেখছেন।

মতলব দক্ষিণ উপজেলার কলেজ গেট এলাকার বাসিন্দা শিক্ষক অশোক কুমার রায়। মাছ কিনতে বাজারে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘ইলিশ কিনতে বাজারে আসছি। দেখি, দাম আগের চেয়ে বেশি। নিম্ন আয়ের ক্রেতার পক্ষে এত দামে ইলিশ কিনা সম্ভব নয়। কী করব, ইলিশের চেহারা দেখেই চইলা আসি।’

মতলব দক্ষিণ উপজেলা সদর মাছবাজারের ইলিশ বিক্রেতা বিমল চন্দ্র দাস বলেন, ইলিশের দাম কিছুটা কমেছিল। ভারতে ইলিশ রপ্তানির খবর জানাজানির পর ইলিশের দাম গতকাল থেকে বেড়েছে। ভারতে ইলিশ রপ্তানি হওয়ায় খবরে পাইকারি বিক্রেতারা বাজার থেকে বেশি করে ইলিশ কিনে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করছেন। এতে বাজারে ইলিশের ঘাটতি দেখা দেয়। গড়ে প্রতি কেজি ইলিশের দাম ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা বেড়েছে। অধিকাংশ ক্রেতাই ইলিশ না কিনেই চলে যাচ্ছেন। বেচাবিক্রি কম। এতে তিনিসহ অন্যান্য বিক্রেতারা হতাশ।

বিক্রেতারা বলেন, কয়েক দিন আগে এক কেজি ওজনের ইলিশের কেজিতে দর ছিল ২ হাজার ১০০ থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা। গতকাল থেকে সেগুলোর দাম বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৫০০। ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হয়েছিল ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকায়। সেগুলোর দাম বেড়ে হয়েছে ২ হাজার টাকা। ৬০০ থেকে ৭০০ গ্রাম ওজনের প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হতো ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায়। সেগুলো বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১ হাজার ৫০০ টাকায়।
মতলব উত্তর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিজয় কুমার দাস বলেন, ভারতে ইলিশ রপ্তানির সঙ্গে বাজারে ইলিশের দাম বেড়ে যাওয়ার কোনো যৌক্তিক সম্পর্ক নেই। ভরা মৌসুমে মেঘনা-পদ্মায় এখন মোটামুটি হারে ইলিশ ধরা পড়ছে। এখন দাম কমার কথা, বাড়ার কথা নয়।

মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা কুলসুম মনি ও মতলব দক্ষিণের ইউএনও আমজাদ হোসেন বলেন, ইলিশের বাজার স্বাভাবিক রাখতে বাজার তদারকি করা হচ্ছে। হঠাৎ ইলিশের দাম আরও বেড়ে যাওয়ার ঘটনা অগ্রহণযোগ্য। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ