বাজে মন্তব্য করা ১২৭ জনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার হুশিয়ারি দিলেন মিষ্টি জান্নাত
Published: 25th, June 2025 GMT
ঢালিউড সিনেমার নায়িকা মিষ্টি জান্নাত। প্রেম, বিয়ের গুঞ্জনসহ বিভিন্ন ব্যক্তিগত কারণে প্রায়ই আলোচনা থাকেন তিনি। গত বছরে শাকিব খানের সঙ্গে প্রেম ও বিয়ের গুঞ্জনে আলোচনায় এসেছিলেন এই অভিনেত্রী। পরে অবশ্য সংবাদ সম্মেলন করে তিনি জানান, পুরো বিষয়টি সঠিক নয়।
বর্তমানে দুবাইয়ে ছুটি কাটাচ্ছেন। তবে এই সফরে গিয়ে বেশ সমালোচনার মুখে পড়েছেন এই অভিনেত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনরা বিভিন্নরকম বিদ্রুপমূলক কথা বলছেন তোকে ঘিরে, যা নজর ভালোভাবে নেন মিষ্টি জান্নাত। তাকে ঘিরে বাজে মন্তব্য কিংবা পোস্টধারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিলেন এ চিত্রনায়িকা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টের মাধ্যমে মিষ্টি জান্নাত লিখেছেন, ‘কিছু পেজ এবং সো-কলড জার্নালিস্ট নামক ভিউ ব্যবসায়ীদের নাম এবং কিছু কন্টেন্ট ক্রিয়েটর এর নাম, ১২৭ জন আমার পেইজে বাজে কমেন্টকারী। এদের স্ক্রিনশট, লিংক সব এন্ট্রি করা হয়েছে। সাথে কিছু সো-কলড ফেইসবুকার, টিকটকার এদের নাম নিয়ে আমার ল-ইয়ার এবং আমার ফ্যান-ফলোয়ার, পরিবার কাজ করছেন।’
মিষ্টি জান্নাত বলেন, ‘শিগগিরই এদের আইনের আওতায় আনা হবে আমার মানহানি করার জন্য। একদল লোক পিছনে লেগেই আছে, এখন তাদের আর কোনো ক্ষমা নেই।’
২০১৪ সালে ‘লাভ স্টেশন’ সিনেমার মাধ্যমে রুপালি পর্দার ক্যারিয়ার শুরু করেন মিষ্টি জান্নাত। এরপর নিয়মিত কাজ করেছেন সিনেমায়। এরপর ‘তুই আমার রানী’, ‘আমার প্রেম তুমি’, ‘চিনিবিবি’সহ কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। নায়িকা পরিচয়ের পাশাপাশি তিনি একজন চিকিৎসকও।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
পটুয়াখালীতে অনাথ শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
পটুয়াখালীতে ১৩ বছরের এক অনাথ শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে শিশুটির খালা বাদী হয়ে পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করেন। পরে আদালতের বিচারক নিলুফার শিরিন সদর থানা-পুলিশকে মামলাটি রুজুর নির্দেশ দেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী উম্মে আসমা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ১৩ বছরের ওই শিশু কিছুটা প্রতিবন্ধী। ২০ জুন জেলা শহরের একটি সরকারি আবাসনে সে ধর্ষণের শিকার হয়। এ ঘটনায় ২১ বছর বয়সী এক তরুণকে আসামি করা হয়েছে। বর্তমানে ওই তরুণ পলাতক।
এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, তিনি পটুয়াখালীর একটি সরকারি আবাসনে শিশুটিকে নিয়ে বসবাস করেন। বেশ কিছুদিন ধরে একই আবাসনের ওই তরুণ নানাভাবে শিশুটিকে উত্ত্যক্ত করতেন। এরপর ২০ জুন বিকেল ৫টার দিকে কৌশলে শিশুটিকে নিজ বসতঘরে ডেকে নেন আসামি। পরে সেখানে ধর্ষণের শিকার হয় শিশুটি। শিশুটি চিৎকার দিয়ে ডাকাডাকি শুরু করলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান ওই তরুণ।
এজাহারে আরও বলা হয়েছে, পরে ২২ জুন পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশুটির শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। ৫ বছর বয়সে শিশুটির মা এবং ১০ বছর বয়সে বাবা মারা যান। এরপর বাদী পটুয়াখালীর একটি সরকারি আবাসনে আশ্রয় নিয়ে তাঁকে লালনপালন করে আসছেন।