ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে চারুকলা বিভাগে ভর্তিচ্ছুদের ব্যবহারিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। আজ শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র নজরুল কলাভবনে বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

পরীক্ষায় আবেদনকারীদের মধ্যে ১৮০ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। যা মোট আবেদনকারীর ২৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ। অনুপস্থিত ছিলেন ৫৮৪ জন। চারুকলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড.

কামরুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর আমাদের কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের উপস্থিতি বেড়েছে। ৭৬৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে প্রায় ১৮০ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। 

পরীক্ষা চলাকালীন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকিব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম ও চারুকলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান প্রমুখ।

উল্লেখ্য, বিভাগটির মোট আসনসংখ্যা ৩০। এতে ‘এ’ ইউনিটের (বিজ্ঞান) জন্য ৯টি, ‘বি’ ইউনিটের (মানবিক) জন্য ১৫টি ও ‘সি’ ইউনিটের (বাণিজ্য) জন্য ৬টি আসন বরাদ্দ রয়েছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পর ক ষ চ র কল

এছাড়াও পড়ুন:

‘ভূমির ডিজিটাল রূপান্তর একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ’

ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ বলেছেন, “ভূমির ডিজিটাল রূপান্তর বাংলাদেশের ভূমি প্রশাসনে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। বর্তমান বিশ্বের দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তিনির্ভর যুগে ভূমি ব্যবস্থাপনা খাতেও এসেছে ডিজিটাল রূপান্তর। সরকারের গৃহীত ‘ডিজিটাল ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (ই. ডি. এল. এম. এস.)’ প্রকল্প ভূমি প্রশাসনকে করেছে আরো স্মার্ট, স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক এবং নাগরিকবান্ধব।”

সোমবার (৪ নভেম্বর) রাজধানীর ভূমি ভবনের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত ‘ই. ডি. এল. এম. এস. সফটওয়্যার সংক্রান্ত কর্মশালা’য় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আরো পড়ুন:

আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ২০, আহত তিন শতাধিক

ভূমি অফিসকে আস্থার প্রতিক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে: সিনিয়র সচিব

সালেহ আহমেদ বলেন, “তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর এই যুগে জনসেবা কার্যক্রমকে দক্ষ, স্বচ্ছ ও নাগরিকবান্ধব করতে প্রযুক্তির ভূমিকা অনস্বীকার্য। ডিজিটাল ভূমি জরিপ ভূমি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। অতীতে হাতে লেখা মানচিত্র ও কাগজের খতিয়ানভিত্তিক জরিপ ছিল সময়সাপেক্ষ, ব্যয়বহুল ও ত্রুটিপূর্ণ। কিন্তু এখন স্যাটেলাইট ও ভূ-তাত্ত্বিক তথ্য ব্যবস্থা (জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সিস্টেম–জি. আই. এস.) প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে ভূমির আয়তন, সীমা ও মালিকানা নির্ভুলভাবে নির্ধারণ করা সম্ভব হচ্ছে।”

তিনি বলেন, “ডিজিটাল ভূমি জরিপের ফলে ভূমি সংক্রান্ত জটিলতা ও বিরোধ অনেকাংশে কমে এসেছে। যেহেতু সব রেকর্ড অনলাইনে সংরক্ষিত ও যাচাইযোগ্য, তাই জালিয়াতি বা একাধিক মালিকানা দাবি করা এখন প্রায় অসম্ভব। নাগরিকরা ঘরে বসেই দ্রুত ও নির্ভরযোগ্য সেবা পাচ্ছেন। এতে প্রশাসনে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং নজরদারি বৃদ্ধি পেয়েছে।”

কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান (সচিব) ড. মাহমুদ হাসান, ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, ই. এল. এ. এম. এস. প্রকল্পের ভূমি নীতি বিশেষজ্ঞ মো. হান্নান মিয়া ও মো. হামিদুর রহমান, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, এছাড়া ভূমি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (গ্রেড–১) মো. সাইদুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কোরিয়ান প্রতিষ্ঠান জিওমেক্সসফট-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. জে ইয়ং ইউ।

প্রকল্পের কার্যক্রম উপস্থাপন করেন উপসচিব ও ডেপুটি প্রজেক্ট ডিরেক্টর মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান।

ঢাকা/এএএম/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ