সৌদি রিয়াল ডাকাতি মামলায় গ্রেপ্তার আরও ৬ জন
Published: 4th, July 2025 GMT
রাজধানীর তেজগাঁও সাতরাস্তা এলাকা থেকে ডাকাতি হওয়া সৌদি রিয়ালের প্রায় সবটাই উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর সঙ্গে জড়িত আরও ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা হলেন- আব্দুল্লাহ আল-মামুন, আরিয়ান, সাব্বির হোসেন, জাহিদুল ইসলাম সোহাগ, জয় ও বিজয়।
এ নিয়ে এই মামলায় এখন পর্যন্ত ১৩ জন গ্রেপ্তার হলো।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একটি প্রাইভেটকারের গতিরোধ করে ‘অস্ত্রের মুখে’ এম এম আয়াত ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলসের নগদ ৪ লাখ ৯১ হাজার ৫০০ সৌদি রিয়াল, ৪০০ ওমানি রিয়াল, ৩০ কুয়েতি দিনার এবং ১২ হাজার ৩৫০ সংযুক্ত আরব আমিরাত দিরহাম ডাকাতির ঘটনা ঘটে। প্রায় এক কোটি ৬৪ লাখ টাকার বিদেশি মুদ্রা ডাকাতির চার দিনের মধ্যে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) তিনটি মোটরসাইকেলসহ ১৩ জনকে গ্রেপ্তারের তথ্য দিয়েছে।
শুক্রবার পর্যন্ত ডাকাতি হওয়া প্রায় চার লাখ সৌদি রিয়াল উদ্ধার হয়েছে। তবে গ্রেপ্তার ছয়জনের নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ। আগে গ্রেপ্তার প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী মো.
মুখোশ পরে ১০-১২ জনের একটি দল দেশি অস্ত্রের মুখে ডাকাতি করে। তদন্তে নেমে আয়াত ট্যুরসের কর্মী তুহিনের যোগসাজশ পায় পুলিশ। তাকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে, তুহিনসহ অন্য আসামিরা কয়েক দিন আগে ‘গল্প সাজিয়ে’ ডাকাতির পরিকল্পনা করে। সেই অনুযায়ী, তুহিন বায়তুল মোকাররম এলাকা থেকে ভাড়ায় প্রাইভেটকারে বিদেশি মুদ্রাভর্তি লাগেজ নিয়ে উত্তরা যাওয়ার পথে তাঁর লাইভ লোকেশন হোয়াটসঅ্যাপে ডাকাতদের কাছে পাঠান। গাড়িটি তেজগাঁওয়ে কেন্দ্রীয় ঔষধাগার এলাকায় যাত্রী ছাউনির সামনে পৌঁছালে তার গতিরোধ করে বিদেশি মুদ্রাভর্তি লাগেজ নিয়ে পালিয়ে যায় ডাকাত দল। তারা মুদ্রাগুলো নিজেদের মধ্যে ‘ভাগ বাটোয়ারা’ করে ‘আত্মগোপনে’ চলে যায়। তুহিনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই ঘটনায় জড়িত ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ঢাকা তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ওসি আসলাম ইসলাম জানান, ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী ডাকাতির ঘটনায় থানায় মামলা করেন। মামলায় আগে গ্রেপ্তার সাতজন পুলিশি রিমান্ডে রয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে আরও ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ শনিবার তাদের আদালতে তুলে রিমান্ড আবেদন করা হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ছ নত ই
এছাড়াও পড়ুন:
বগুড়ায় আটকের ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়, পালানোর সময় এপিবিএন সদস্যসহ গ্রেপ্তার ৬
বগুড়ায় আটকের ভয় দেখিয়ে ৭০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালানোর সময় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) এক সদস্যসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বগুড়া শহরতলির সাবগ্রাম এলাকা থেকে তাঁদের আটক করা হয়। এ সময় এপিবিএনের একটি পিকআপ জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন এপিবিএনের কনস্টেবল (গাড়িচালক) আল হাদী (২৭), সরকারি আজিজুল হক কলেজের শিক্ষার্থী তারেক রহমান (২৫) ও শাহরিয়ার রহমান (২৬) এবং কলেজশিক্ষার্থী আবিদ হাসান (২৬), সাদিক আকবর (২৬) ও মো. আবদুল্লাহ (১৮)। তাঁদের বিরুদ্ধে বগুড়ার সোনাতলা থানায় মামলা করা হয়েছে।
সদর থানা সূত্রে জানা যায়, এপিবিএনের সদস্য আল হাদীর গ্রামের বাড়ি সোনাতলা উপজেলার চারালকান্দি গ্রামে। পাশের কাতলাহার গ্রামের শফিকুর রহমানের সঙ্গে তাঁর পরিবারের বিরোধ আছে। গ্রেপ্তার ছয়জন গতকাল রাতে এপিবিএনের একটি পিকআপ ভ্যান নিয়ে কাতলাহার গ্রামে গিয়ে পুলিশ পরিচয়ে অনলাইন জুয়া খেলার অভিযোগে শফিকুরের ছেলে ওয়ালিদকে আটকের চেষ্টা করেন। এ সময় শফিকুর রহমান ৭০ হাজার টাকা দিয়ে ছেলেকে ছাড়িয়ে নেন। পরে শফিকুর রহমান জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল করে পুলিশ পরিচয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়টি জানালে গাবতলী ও সদর থানা–পুলিশ পিকআপটি আটকে অভিযানে নামে। পরে রাত দেড়টার দিকে শহরতলির সাবগ্রাম দ্বিতীয় বাইপাস এলাকায় গতিরোধ করে এপিবিএনের পিকআপসহ ছয়জনকে আটক করে সদর থানা–পুলিশ।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান বাসির বলেন, এপিবিএনের সদস্য আল হাদীর পরিবারের সঙ্গে কাতলাহার গ্রামের শফিকুর রহমানের বিরোধ ছিল। তাঁর ছেলেকে আটকের ভয় দেখিয়ে টাকা নিয়ে পালানোর সময় সদর থানা–পুলিশ ওই ছয়জনকে আটক করে। তাঁদের বিরুদ্ধে সোনাতলা থানায় মামলা হয়েছে।
এপিবিএনের বগুড়ার অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মো. শহীদ আবু সরোয়ার বলেন, কনস্টেবল আল হাদী এপিবিএনের গাড়িচালক। তাঁর বাড়ি সোনাতলা উপজেলায়। অনুমতি ছাড়াই তিনি এপিবিএনের সরকারি গাড়ি নিয়ে সোনাতলা উপজেলায় গিয়েছিলেন। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে গাড়িটি এপিবিএনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অভিযুক্ত আল হাদীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা হওয়ায় তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।