বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান বলেছেন, দলীয় নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও দখলবাজি করার অভিযোগ প্রমাণিত হলে শুধু দল থেকে বহিষ্কার নয়, তাঁকে ধরে পুলিশে দেওয়া হবে। গতকাল শনিবার বিকেলে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার গড়বাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে কাঁকড়াজান ইউনিয়ন বিএনপির কর্মিসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আযম খান বলেন, ‘শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন, কিন্তু দেশকে নিঃস্ব করে দিয়ে গেছেন। ১৭ বছর বাংলাদেশে একটি কালো অধ্যায় ছিল। তিনি যেমন করে আমাদের ভোটের অধিকার ও গণতন্ত্র হরণ করেছিলেন, ঠিক তেমনিভাবেই বাংলাদেশের সম্পদও লুটে নিয়েছিলেন। দেশের ব্যাংকগুলোকে খালি করে দিয়েছিলেন। পৃথিবীর ইতিহাসে এটি একটি বিরল ঘটনা যে একটি সরকারের উদ্যোগে একটি দেশ লুট হয়ে যায়! সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ব্যাংক থেকে ২৮ লাখ কোটি টাকা লুট হয়ে গেছে। এই পরিমাণ টাকা কাছাকাছি পাঁচ বছরের বাংলাদেশের বাজেট। অন্যদিকে বেসরকারি হিসাবে প্রায় ৪০ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। অর্থাৎ দেশটাকে একেবারে দেউলিয়া করে জনগণের আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন।’

স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে বন বিভাগের দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, বন বিভাগের কর্মকর্তাদের স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই—যে জায়গায় বন করতে চান, তা আপনাদের নয়; ওই জমিগুলো সখীপুরের মানুষের। যারা ওই জমিতে শত শত বছর ধরে বসবাস করছেন। আপনারা বনের জায়গায় বনায়ন করেন, আমরা এতে সহযোগিতা করব। কিন্তু সখীপুরের মানুষের বসবাসের জমি ও চাষের জমিতে বনায়ন করতে দেওয়া হবে না। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে এই এলাকার মানুষের মরণফাঁদ আটিয়া বন অধ্যাদেশ ৮২ নামের কালো অধ্যাদেশটি বাতিলের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হবে।

কর্মিসভায় উপজেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান সাজুর সভাপতিত্বে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বাছেত, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মীর আবুল হাশেম, এস এম সবুর রেজা, আকবর হোসেন, কাঁকড়াজান ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক আমীর হামজা, সদস্যসচিব মোজাম্মেল হক প্রমুখ বক্তব্য দেন। এ সময় স্থানীয় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

চাঁদাবাজি ও দখলবাজি করলে পুলিশে দেওয়া হবে: বিএনপি নেতা আযম খান

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান বলেছেন, দলীয় নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও দখলবাজি করার অভিযোগ প্রমাণিত হলে শুধু দল থেকে বহিষ্কার নয়, তাঁকে ধরে পুলিশে দেওয়া হবে। গতকাল শনিবার বিকেলে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার গড়বাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে কাঁকড়াজান ইউনিয়ন বিএনপির কর্মিসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আযম খান বলেন, ‘শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন, কিন্তু দেশকে নিঃস্ব করে দিয়ে গেছেন। ১৭ বছর বাংলাদেশে একটি কালো অধ্যায় ছিল। তিনি যেমন করে আমাদের ভোটের অধিকার ও গণতন্ত্র হরণ করেছিলেন, ঠিক তেমনিভাবেই বাংলাদেশের সম্পদও লুটে নিয়েছিলেন। দেশের ব্যাংকগুলোকে খালি করে দিয়েছিলেন। পৃথিবীর ইতিহাসে এটি একটি বিরল ঘটনা যে একটি সরকারের উদ্যোগে একটি দেশ লুট হয়ে যায়! সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ব্যাংক থেকে ২৮ লাখ কোটি টাকা লুট হয়ে গেছে। এই পরিমাণ টাকা কাছাকাছি পাঁচ বছরের বাংলাদেশের বাজেট। অন্যদিকে বেসরকারি হিসাবে প্রায় ৪০ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। অর্থাৎ দেশটাকে একেবারে দেউলিয়া করে জনগণের আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন।’

স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে বন বিভাগের দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, বন বিভাগের কর্মকর্তাদের স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই—যে জায়গায় বন করতে চান, তা আপনাদের নয়; ওই জমিগুলো সখীপুরের মানুষের। যারা ওই জমিতে শত শত বছর ধরে বসবাস করছেন। আপনারা বনের জায়গায় বনায়ন করেন, আমরা এতে সহযোগিতা করব। কিন্তু সখীপুরের মানুষের বসবাসের জমি ও চাষের জমিতে বনায়ন করতে দেওয়া হবে না। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে এই এলাকার মানুষের মরণফাঁদ আটিয়া বন অধ্যাদেশ ৮২ নামের কালো অধ্যাদেশটি বাতিলের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হবে।

কর্মিসভায় উপজেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান সাজুর সভাপতিত্বে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বাছেত, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মীর আবুল হাশেম, এস এম সবুর রেজা, আকবর হোসেন, কাঁকড়াজান ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক আমীর হামজা, সদস্যসচিব মোজাম্মেল হক প্রমুখ বক্তব্য দেন। এ সময় স্থানীয় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ