১৩ লাখ টন আমদানি, ফলন ভালো, তবু বাড়ছে চালের দাম
Published: 7th, July 2025 GMT
দেশে গত এক বছরে ১৩ লাখ মেট্রিক টনের মতো চাল আমদানি হয়েছে। গত বোরো মৌসুমে ফলনও ভালো হয়েছে। কিন্তু এতে চালের দাম কমেনি, বরং বাড়ছে।
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে, বাজারে মোটা চালের সর্বনিম্ন দর উঠেছে প্রতি কেজি ৫৫ টাকায়, যা এক মাস আগে ছিল ৫০ টাকা। মাঝারি চালের কেজি ৬০-৬৫ টাকা। সরু চাল কিনতে লাগছে প্রতি কেজি ৭৫-৮৫ টাকা।
চালের এই মূল্যবৃদ্ধি শুরু হয় মূলত ২০২০ সালের শুরু থেকে। তখন প্রতি কেজি মোটা চালের দর ছিল ৩০-৩৫ টাকা। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার নানা পদক্ষেপের কথা বলেও চালের দাম কমাতে পারেনি। এখনো সেটা কমছে না।
তানিয়া বলেন, সংসারের খরচ নিত্য বাড়ছে। অথচ বেতন কিন্তু বাড়ছে না। এভাবে দাম বাড়লে সংসারে চালাবেন কী করে, প্রশ্ন তাঁর।চাল দেশের মানুষের প্রধান খাদ্যশস্য। চালের দাম বাড়লে মূল্যস্ফীতির ওপর প্রভাব সবচেয়ে বেশি হয়। আর দরিদ্র পরিবারে ব্যয়ের বড় একটি খাত হলো চাল কেনা।
রাজধানীর কাজীপাড়ার মোসলেম উদ্দিনের দোকানে গতকাল রোববার নিত্যপণ্য কিনছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা তানিয়া বেগম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর পরিবারে প্রতি মাসে মিনিকেট চালের ২৫ কেজির একটি বস্তা কেনা হয়। পবিত্র ঈদুল আজহার আগে এক বস্তা চাল ২ হাজার ১৫০ টাকায় নিয়েছিলেন। কয়েক দিন আগে সেই একই চালের বস্তা নিয়েছেন ২ হাজার ৩০০ টাকায়। বেশি পড়েছে কেজিপ্রতি ৬ টাকা।
তানিয়া বলেন, সংসারের খরচ নিত্য বাড়ছে। অথচ বেতন কিন্তু বাড়ছে না। এভাবে দাম বাড়লে সংসারে চালাবেন কী করে, প্রশ্ন তাঁর।
ঢাকায় চালের দামবোরো মৌসুমে দেশে দুই কোটি টনের বেশি চাল উৎপাদিত হয়, যা সারা বছরের মোট উৎপাদনের অর্ধেকের বেশি। বোরোর ভরা মৌসুমে সাধারণত চালের দাম অনেকটাই কমে যায়। এবার কিছুটা কমেছে। তবে মোটা চালের কেজি ৫০ টাকা বা বেশি ছিল।
সাধারণত মে মাস পর্যন্ত বোরো মৌসুম ধরা হয়। এবার দেখা গেছে, জুনেই চালের দাম বাড়তে শুরু করেছে। টিসিবির হিসাবে, মোটা চালের কেজি যেমন ৫ টাকা বেড়েছে, তেমনি মাঝারি চালের দর কেজিপ্রতি ৩-৭ টাকা এবং সরু চাল ৩-৫ টাকা বেড়েছে।
৫৫ টাকা কেজিতে যে মোটা চাল বিক্রি হয়, তা সাধারণত সব বাজারে পাওয়া যায় না। নিম্ন আয়ের মানুষকে চাল কিনতে হয় মূলত ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে। রাজধানীর কাজীপাড়ার বাইশবাড়ী এলাকা ও পশ্চিম তেজতুরী বাজারের মুদিদোকান এবং কারওয়ান বাজারের আড়ত ঘুরে দেখা গেছে, মানভেদে পাইজাম চাল ৬০-৬২ টাকা এবং বিআর আটাশ ৬০-৬৫ টাকা দরে বিক্রি হয়। এই চালই মূলত নিম্নবিত্তের মানুষেরা কেনেন।
কাজীপাড়ার বাইশবাড়ী জেনারেল স্টোরের মালিক মোসলেম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, তিনি মোজাম্মেল ব্র্যান্ডের মিনিকেট চাল বিক্রি করেন। ১৫ দিন আগে মিনিকেট চালের ৫০ কেজির বস্তা ৩ হাজার ৮০০ টাকায় কিনেছেন। গত শুক্রবার তা কিনেছেন ৪ হাজার ১০০ টাকায়। তাই তাঁকেও বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
সাধারণত মে মাস পর্যন্ত বোরো মৌসুম ধরা হয়। এবার দেখা গেছে, জুনেই চালের দাম বাড়তে শুরু করেছে। টিসিবির হিসাবে, মোটা চালের কেজি যেমন ৫ টাকা বেড়েছে, তেমনি মাঝারি চালের দর কেজিপ্রতি ৩-৭ টাকা এবং সরু চাল ৩-৫ টাকা বেড়েছে।আমদানি ১৩ লাখ টনদেশে গত আগস্টে বন্যায় আমনের উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তখন সরকার শুল্ক কমানো ও ১০ লাখ টন চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ৩০ জুন শেষ হওয়া ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ১৩ লাখ টন চাল আমদানি হয়েছে। এর মধ্যে সরকারিভাবে এসেছে ৮ লাখ ৩৫ হাজার টন। বেসরকারি আমদানিকারকেরা এনেছেন প্রায় ৪ লাখ ৭০ হাজার টন চাল। একই সময়ে ৬২ লাখ টন গমও আমদানি হয়েছে।
সরকারের কাছে এখন খাদ্যশস্য মজুত আছে প্রায় ১৮ লাখ টন, যা সন্তোষজনক বলে গণ্য করা হয়। এর মধ্যে ১৫ লাখ টনের বেশি চাল।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশে চাল আমদানি সাধারণত নিষিদ্ধ থাকে। সরকার বিশেষ অনুমতি দিয়ে চাল আমদানি করে। বিশেষ অনুমতির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। শুল্কছাড়ের মেয়াদও শেষ। এ কারণে চাল আমদানি হচ্ছে না। এই সুযোগে ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।বিশ্ববাজারে দাম কমেছেবিশ্ববাজারে চালের দাম কমেছে। বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে থাইল্যান্ড ৫ শতাংশ ভাঙা চালের প্রতি টনের গড় দাম ছিল ৫৮৬ ডলার, যা গত মাস জুনে নেমেছে ৪১৯ ডলারে। ভিয়েতনামের চাল ৫৪৩ ডলার থেকে কমে নেমেছে ৩৭৭ ডলারে। গত জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকের তুলনায় চালের দাম কম।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশে চাল আমদানি সাধারণত নিষিদ্ধ থাকে। সরকার বিশেষ অনুমতি দিয়ে চাল আমদানি করে। বিশেষ অনুমতির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। শুল্কছাড়ের মেয়াদও শেষ। এ কারণে চাল আমদানি হচ্ছে না। এই সুযোগে ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) শুল্কহার অনুযায়ী, চাল আমদানিতে মোট শুল্ক–কর এখন সাড়ে ৬৭ শতাংশ।
বেনাপোল আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো.
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ২০২২ সালের পর ডলারের দাম বেড়েছে ৪০ শতাংশের বেশি। ফলে দেশি চাল ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের বাজার সুরক্ষা পেয়েছেন। বিদেশ থেকে চাল আমদানির খরচ অনেক বেড়ে গেছে। ফলে দেশীয় ব্যবসায়ীদের প্রতিযোগিতার মুখে পড়তে হচ্ছে না। বড় ব্যবসায়ীরা বিপুল বিনিয়োগ করে ধান-চাল কিনে রাখছেন। তাঁদের নিয়ন্ত্রণ করতে হলে বাজারে প্রতিযোগিতা বাড়াতে হবে।
সরকারের সংশ্লিষ্ট একটি সংস্থার একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, ব্যবসায়ীরা যদি মুনাফার সুযোগ দেখতে পান, সেখানে বিনিয়োগ করবেন, ধান-চাল মজুত করবেন; এটা থামানো যাবে না। তাঁদের নিয়ন্ত্রণ করতে শুল্ক–কর তুলে নিয়ে চাল আমদানি অবাধ করে দিতে হবে। তিনি বলেন, সরকার তিন মাসের জন্য শুল্ক–কর তুলে নিয়ে আমদানি উন্মুক্ত করে পরিস্থিতি কী দাঁড়ায়, তা দেখতে পারে।
অর্থনীতিবিদদের আশঙ্কা, চালের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে মূল্যস্ফীতি কমানো যাবে না। বাংলাদেশ ব্যাংক সুদের হার বাড়িয়ে বাজারে ঋণপ্রবাহ কমানোর মাধ্যমে মূল্যস্ফীতি কমানোর চেষ্টা করছে। মূল্যস্ফীতি কমেছে। তবে তা এখনো চড়া, ৯ শতাংশের বেশি (মে, ২০২৫)। অন্যদিকে অর্থনীতিতে চাঞ্চল্য কম থাকায় কর্মসংস্থান ও আয়ের সুযোগ কম।
চাল উৎপাদনে দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। সে ক্ষেত্রে ঠিক সময় আমদানি করতে হবে, যাতে চাহিদাজনিত চাপ চালের বাজারে আলাদা সংকট সৃষ্টি করতে না পারে। সরবরাহ ঠিক থাকার কারণে এবার রোজার সময় অনেক পণ্যের দাম সেভাবে বাড়েনি। সরকারের সেই চেষ্টা সামগ্রিকভাবে সারা বছর ধরে দেখা যাচ্ছে না।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সেলিম রায়হানঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সেলিম রায়হান প্রথম আলোকে বলেন, সরকার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে শুধু মুদ্রানীতির ওপর জোর দিয়েছে। তাতে হবে না। বাজার ব্যবস্থাপনা, বিশেষ করে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ ঠিকমতো আছে কি না, সেই দিক খেয়াল রাখতে হবে। সে ক্ষেত্রে দেশে উৎপাদন যদি যথেষ্ট না হয়, সঠিক সময় আমদানিটা নিশ্চিত করতে হবে।
দেশে মূল্যস্ফীতি মূলত সরবরাহ–সংকটের কারণে উল্লেখ করে সেলিম রায়হান বলেন, চাল উৎপাদনে দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। সে ক্ষেত্রে ঠিক সময় আমদানি করতে হবে, যাতে চাহিদাজনিত চাপ চালের বাজারে আলাদা সংকট সৃষ্টি করতে না পারে। সরবরাহ ঠিক থাকার কারণে এবার রোজার সময় অনেক পণ্যের দাম সেভাবে বাড়েনি। সরকারের সেই চেষ্টা সামগ্রিকভাবে সারা বছর ধরে দেখা যাচ্ছে না।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: চ ল র দ ম কম প রথম আল ক ব যবস য় র চ ল আমদ ন স ধ রণত সরক র র সরবর হ ব শ বব ১৩ ল খ ল খ টন উৎপ দ
এছাড়াও পড়ুন:
৩৮ মিলিয়ন ডলার কিনল বাংলাদেশ ব্যাংক
দেশের ব্যাংকগুলোতে ডলার সরবরাহ বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে বাজার স্থিতিশীল রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ৬টি ব্যাংক থেকে নিলামে ৩৮ মিলিয়ন ডলার কিনেছে।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
আরো পড়ুন:
সিএমএসএমই ঋণ সহজ করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা
ব্যাংকের কার্ড থেকে নগদ, বিকাশে টাকা পাঠানোর নতুন সুবিধা
তিনি জানান, বাজারে বর্তমানে ডলারের চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি। এ কারণে রিজার্ভ থেকে বিক্রি না করে বাজার থেকেই ডলার কিনছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ভবিষ্যতেও এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ব্যাংকগুলো থেকে মাল্টিপল অকশন পদ্ধতিতে ৩৮ মিলিয়ন ডলার কেনা হয়েছে। নিলামের বিনিময় হার ছিল ১২১ টাকা ৮০ পয়সা পর্যন্ত। আর এই প্রাইসেই ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংক নিলামে ডলার কেনার ফলে বাজারে তারল্য বাড়ছে, আর রিজার্ভে যোগ হচ্ছে নিলামে কেনা ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক ২০২৫-২৬ অর্থবছরে মোট দুই হাজার ১২৬ মিলিয়ন ডলার ক্রয় করেছে। এসব ডলার দেশের ব্যাংকগুলো থেকে মাল্টিপল অকশন পদ্ধতিতে কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ৯ দফায় ডলার কিনেছিল। এর মধ্যে গত ৬ অক্টোবর ৮টি ব্যাংক থেকে নিলামে ১৪০ মিলিয়ন ডলার কিনেছে। গত ১৫ সেপ্টেম্বর ২৬টি ব্যাংক থেকে নিলামে ৩৫৩ মিলিয়ন ডলার কিনেছে। গত ৪ সেপ্টেম্বর ১২১ টাকা ৭৫ পয়সা দরে ১৩৪ মিলিয়ন ডলার কিনেছে, ২ সেপ্টেম্বর একই দরে বাংলাদেশ ব্যাংক ৮ ব্যাংক থেকে ৪৭.৫০ মিলিয়ন ডলার কিনেছে, ১৩ জুলাই ১৮টি ব্যাংকের কাছ থেকে ১২১ টাকা ৫০ পয়সা দরে, একই দরে গত ১৫ জুলাই ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এছাড়া গত ২৩ জুলাই ডলার কিনেছে ১২১ টাকা ৯৫ পয়সা দরে। গত ৭ আগস্ট ১২১ টাকা ৩৫ পয়সা থেকে ১২১ টাকা ৫০ পয়সায় এবং গত ১০ আগস্ট ১১টি ব্যাংকের কাছ থেকে ১২১ টাকা ৪৭ পয়সা থেকে ১২১ টাকা ৫০ পয়সায় ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, দেশে প্রবাসী আয় (রেমিট্যান্স) ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ বাড়ায় ডলারের বাজারে স্থিতিশীলতা এসেছে। দেশের ব্যাংকগুলোতে ডলারের সরবরাহ বেড়েছে, চাহিদা কমেছে। এ কারণে ডলারের দাম কিছুটা কমে গেছে। আর ডলারের দাম আরও কমে গেলে রপ্তানিকারকরা একদিকে সমস্যায় পড়বে অপরদিকে রেমিট্যান্স আয় বৈধ পথে আসা কমে যাবে। এমন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলার কেনার সিদ্ধান্ত নেয়। যা খুবই যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত। তাতে ডলারের বাজার স্থিতিশীল থাকবে ও চাহিদার ভারসাম্য রক্ষা করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন তারা।
গত ১৫ মে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এর সঙ্গে আলোচনার পর ডলারের বিনিময় মূল্য নির্ধারণে নতুন পদ্ধতি চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। তখন থেকে ব্যাংক ও গ্রাহক নিজেরাই ডলারের দর নির্ধারণ করছে।
ঢাকা/নাজমুল/সাইফ