দ্বিতীয় দফায় ইরান থেকে ফিরলেন আরো ৩২ জন
Published: 8th, July 2025 GMT
ইরানে যুদ্ধ পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে সেখানে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের দ্বিতীয় দফার প্রত্যাবাসন সম্পন্ন হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) আরো ৩২ জন বাংলাদেশি ইরান থেকে দেশে ফিরেছেন বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ফেরত আসা বাংলাদেশিরা সড়কপথে তেহরান থেকে মাশহাদ যান এবং সেখান থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ হয়ে ঢাকায় পৌঁছান। ইরানে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস তাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার সমন্বয় করে।
এর আগে, ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে প্রথম দফায় ২৮ জন বাংলাদেশিকে গত ১ জুলাই দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। তারা ২৫ জুন তেহরান থেকে সড়কপথে যাত্রা শুরু করে তাফতান সীমান্ত হয়ে পাকিস্তান প্রবেশ করেন। পরে করাচি ও দুবাই হয়ে তারা ঢাকায় ফেরেন। ওই দলে নারী, শিশু ও চিকিৎসার জন্য ইরানে অবস্থানরত ব্যক্তিরা ছিলেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইরান থেকে দেশে ফেরার জন্য এখন পর্যন্ত ২৫০ জন বাংলাদেশি তেহরানে বাংলাদেশ দূতাবাসে নিবন্ধন করেছেন। সরকার তাদের ধাপে ধাপে দেশে ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। তবে সংঘাত কমে আসায় পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক ফ্লাইটও ধীরে ধীরে সচল হচ্ছে, ফলে অনেকেই নিজ উদ্যোগে ফিরতে পারবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ইরানে প্রায় দুই হাজার বাংলাদেশি অবস্থান করছেন। এর মধ্যে তেহরানে রয়েছেন প্রায় ৪০০ জন। তালিকাভুক্ত বাংলাদেশির সংখ্যা ৬৭২, যাদের মধ্যে ৬৬ জন শিক্ষার্থী।
ঢাকা/হাসান/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের বিপক্ষে দুই ম্যাচে কেমন খেলল আনচেলত্তির ব্রাজিল
গ্রিক দার্শনিক প্লেটো বলেছিলেন ‘ফর্ম’ বা ‘আইডিয়াজ’-এর কথা। তাঁর মতে, প্রতিটি জিনিসের একটি চিরস্থায়ী, নিখুঁত ও আদর্শ রূপ আছে। আমরা পৃথিবীতে যা দেখি, তা আসলে সেই নিখুঁত রূপেরই অনুকরণ। যেমন কালো রঙের একটা নিখুঁত ধারণা আমাদের মনের ভেতরে আছে বলেই আমরা চারপাশে কালো রঙের নানা রূপ দেখি। বাস্তবে আমরা যে কালো দেখি, সেটা আসলে সেই নিখুঁত কালোরই প্রতিলিপি।
ফুটবলকে যদি প্লেটোর এই ধারণার আলোকে দেখি, তবে ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের সৃষ্টি ‘জোগো বনিতো’কে নিখুঁত ফুটবল বলা যায়। আমরা যে ফুটবলের নান্দনিকতা, কৌশল আর সৌন্দর্য দেখি, তা মূলত সেই নিখুঁত ফুটবলেরই প্রতিফলন। আমাদের চোখ সব সময় সেই আদর্শ ফুটবল খুঁজে বেড়ায়। কোথাও তার আভাস পেলেই আমরা উল্লসিত হয়ে উঠি। যদিও শেষ পর্যন্ত সেই প্রত্যাশা থাকে ব্রাজিলের কাছেই, যারা নিজেরাও অনেক আগেই সেই খেলা পেছনে ফেলে এসেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ ঘিরে আবারও সামনে এসেছে ‘জোগো বনিতো’র আলাপ। সেদিন ৯০ মিনিট ধরে অসাধারণ ফুটবল খেলেছিল ব্রাজিল। এরপরই কিছু সংবাদমাধ্যম ও সমর্থক প্রশ্ন তোলে—ব্রাজিলের ‘জোগো বনিতো’ কি আবার ফিরে এল? তবে প্লেটোর ফর্মের যুক্তি মেনে নিলে, সেই নিখুঁত রূপ আসলে কোথাও নেই।
আরও পড়ুনদক্ষিণ কোরিয়াকে উড়িয়ে দিয়ে যা বললেন ব্রাজিল কোচ আনচেলত্তি১০ অক্টোবর ২০২৫বরং মনে হয়, ব্রাজিলও হয়তো ভুলে গেছে সেই রূপটা কেমন ছিল। কিন্তু হারানো ঐতিহ্যের প্রতি টানই মাঝেমধ্যে আমাদের মনে করিয়ে দেয় সেই খেলার কথা। ‘জোগো বনিতো’র আলোচনাটা সরিয়ে রাখলেও, সেদিন ৫–০ গোলে জেতার পথে ব্রাজিলের ফুটবল সত্যিই ছিল চোখধাঁধানো। অনেক দিন পর সমর্থকেরা হয়তো খেলা দেখে তৃপ্তির ঢেকুর তুলেছিলেন। যদিও পরের ম্যাচে জাপানের বিপক্ষে সেই ব্রাজিলকে পাওয়া গেল সামান্যই।
প্রথমার্ধে ২–০ গোলে এগিয়েও শেষ পর্যন্ত ৩–২ গোলে হেরে যায় ব্রাজিল। আনচেলত্তি এ ম্যাচে দলে অনেক পরিবর্তন এনেছিলেন। তবু প্রশ্ন উঠতেই পারে—আসল ব্রাজিল কোনটা? দক্ষিণ কোরিয়াকে উড়িয়ে দেওয়া দল, নাকি জাপানের বিপক্ষে এগিয়েও হেরে যাওয়া দল? হয়তো আসল ব্রাজিলকে খুঁজতে হবে এই দুই রূপের মাঝামাঝি কোথাও।
ব্রাজিল কোচ কার্লো আনচেলত্তি