জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেয়ারটেকার ও কর্মচারী সমিতির সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম।

আহত ওই শিক্ষার্থী হলেন, ইতিহাস বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের নিরব কুমার দাস।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ১ বছর পূর্তির উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ কথা জানান নজরুল।

আরো পড়ুন:

কুবিতে ছাত্র সংসদ প্রতিষ্ঠার দাবি শিক্ষার্থীদের

খুবির ২ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে আনা ‘চাঁদাবাজি’র অভিযোগের নতুন মোড়

কর্মচারী সমিতির সভাপতি (১১-১৬ গ্রেড) নজরুল ইসলাম বলেন, “জুলাই-অভ্যুত্থানে আহত শিক্ষার্থী নিরব প্রশাসনিকভাবে বড় কোনো ধরনের সহযোগিতা পাননি। এমনকি তার নিজ হলে একটি সিট পাওয়ার সুযোগ থেকেও তিনি বঞ্চিত হয়েছেন। তিনি বর্তমানে প্রতি মাসে চিকিৎসার জন্য প্রায় দুই-আড়াই হাজার টাকা খরচ করছেন।”

তিনি বলেন, “আমি ব্যক্তিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যতদিন তার চিকিৎসা চলবে, ততদিন আমি আমার বেতন থেকে প্রতি মাসে তার চিকিৎসা খরচ বাবদ দুই-আড়াই হাজার টাকা বহন করবো।’

আহত শিক্ষার্থী নিরব বলেন, “আমরা ছয় বন্ধু মিলে আন্দোলনে গিয়েছিলাম। আমরা বগুড়া শহরের সাতমাথা এলাকায় শান্তিপূর্ণ আন্দলোন করছিলাম। হঠাৎ করে পুলিশ সরাসরি গুলি চালাতে শুরু করে। আমি পড়ে যাই, অনুভব করি আমার শরীরে অসংখ্য গুলিবিদ্ধ হয়েছে।”

তিনি বলেন, “আমার বাম হাত, কাঁধ ও পিঠে একসঙ্গে তিন শতাধিক গুলি লাগে। আর ডান হাতের কব্জিতে ৪০টির বেশি গুলি লেগেছে। আমি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০ হাজার টাকার চেক পেয়েছি কিছুদিন আগে। ডাক্তার আমাকে বলেছে এই গুলি একবারে বের করা সম্ভব না।”

তিনি আরো বলেন, “ডাক্তারের ভাষ্য অনুযায়ি আমাকে অনেক দিন সময় নিয়ে অপারেশন করতে হবে। অপারেশনের জন্য অনেক টাকারও প্রয়োজন। এখন আমি হোমিওপ্যাথি ঔষধ খাচ্ছি। হোমিওপ্যাথি ঔষধ খেয়ে গুলি উপরের দিকে এলে তখন বের করা যাবে।”

ঢাকা/মুজিবুর/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আহত নজর ল

এছাড়াও পড়ুন:

রাকসু নির্বাচন: ভোটগ্রহণ শুরু

প্রায় ২০ দিনের প্রচার শেষে আজ বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেটের ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাত ১২টায় প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণা শেষ হয়। এখন ভোটের মাধ্যমে পছন্দের প্রতিনিধি বেছে নেওয়ার অপেক্ষায় দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

আরো পড়ুন:

চাকসুর ভিপি-জিএস শিবিরের, এজিএস ছাত্রদলের

চাকসু নির্বাচন: ভিপি, জিএস, এজিএস পদে ১৫ কেন্দ্রে এগিয়ে যারা

বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় ছাত্র প্রতিনিধিত্বের শূন্যতা নিয়ে রাবির কেটে গেছে ৩৫ বছর; অবশেষে সেই খরা কাটতে চলেছে। নির্বাচিত রাকসু পেতে যাচ্ছে দেশের উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে বড় এই বিশ্ববিদ্যালয়।

এদিকে, ভোট গ্রহণকে কেন্দ্র করে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছে রাকসুর নির্বাচন কমিশন। ভোট ও ফলাফল ঘিরে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে দুই হাজার পুলিশ সদস্য, ছয় প্লাটুন বিজিবি ও ১২ প্লাটুন র‍্যাব। 

ক্যাম্পাসের গেটগুলোতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। ভোটের দিন বৃহস্পতিবার এবং আগে ও পরের দুই দিন ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে রাবি প্রশাসন।

এবার রাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ২৮ হাজার ৯০১ জন। এর মধ্যে ছাত্রী ১১ হাজার ৩০৫ জন এবং ছাত্র ভোটার ১৭ হাজার ৫৯৬ জন।

রাকসুর ২৩টি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২৪৭ জন, যার মধ্যে নারী ২৬ জন। সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধির পাঁচটি পদে ৫৮ জন এবং হল সংসদের ১৫টি পদে ১৭টি হলে ৫৯৭ প্রার্থী লড়াই করছেন। 

প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের এই সংখ্যা রাকসু নির্বাচনের ইতিহাসে সর্বাধিক। এর মধ্যে ভিপি পদে ১৮, জিএস পদে ১৩ এবং এজিএস পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৬ জন। বাকি ২০টি পদে ২০০ জন লড়াই করছেন।

৯টি ভবনে ১৭টি কেন্দ্রের ৯৯০টি বুথে প্রত্যেক ভোটারের রাকসু ও হল সংসদের মোট ৪৩টি পদে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার সুযোগ থাকছে।

ঢাকা/ফাহিম/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ