আগামী ২ অক্টোবর থেকে সচিবালয়ে ক্ষতিকর সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের পণ্যসামগ্রীর ব্যবহার ‌নি‌ষিদ্ধ করা হ‌বে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ। তিনি জানান, এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার জন্য আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসজুড়ে সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রস্তুতির সময় দেয়া হবে এবং অধীনস্থদের প্লাস্টিক ব্যবহার কমাতে নির্দেশনা দেয়া হবে।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বাংলাদেশ সচিবালয়ে অর্থ বিভাগের মাল্টিপারপাস হলরুমে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত ‘সাসটেইনেবল প্লাস্টিক ইউজ ইন দ্য সেক্রেটারিয়েট: আ ফিউচার ফর সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ফ্রি এনভায়রনমেন্ট’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এ কথা বলেন।

শেখ আব্দুর রশীদ বলেন, ‘‘প্লাস্টিক দূষণ একটি বৈশ্বিক সমস্যা। একে মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমাদের এগোতে হবে। মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকেও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় আনতে হবে। শুধু নিজের স্বার্থেই নয়, বরং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আমাদের এই পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। আমরা যেন তাদের জন্য একটি নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব পৃথিবী রেখে যেতে পারি।’’ 

সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড.

ফারহিনা আহমেদ বলেন, ‘‘সব মন্ত্রণালয়ের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সচিবালয়কে পরিবেশবান্ধব হিসেবে গড়ে তুলতে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে।’’ তিনি জানান, সচিবালয়ে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক নিষিদ্ধকরণে পরিবেশ মন্ত্রণালয় দ্রুত একটি বাস্তবসম্মত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করবে।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অর্থ বিভাগের সচিব ড. মোঃ খায়েরুজ্জামান মজুমদার, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ নজরুল ইসলাম এবং জাতিসংঘের শিল্প উন্নয়ন সংস্থার কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ ড. জাকি উজ জামান। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) ড. ফাহমিদা খানম। এছাড়াও, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে পরিবেশ সচিব মন্ত্রিপরিষদ সচিবের হাতে ১৭টি সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক সামগ্রীর একটি সচিত্র তালিকা তুলে দেন এবং মন্ত্রিপরিষদ সচিব অন্যান্য সচিবদের হাতে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের বিকল্প পণ্যসামগ্রী তুলে দেন।

পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সরকার ইতোমধ্যে ১৭ ধরনের সামগ্রীকে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের তৈজসপত্র, চকলেটের মোড়ক, প্লাস্টিকের দাওয়াত কার্ড ও ব্যানার, স্টাইরোফোমের খাবার ধারক, পাতলা প্লাস্টিক মোড়কযুক্ত পণ্য, প্লাস্টিক বোতল ও ক্যাপসহ নানা সামগ্রী। 

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/বকুল  

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঙ গ ল ইউজ প ল স ট ক ন মন ত র পর ব শ

এছাড়াও পড়ুন:

ফেসবুকে নাঈম লিখলেন, ‘ভালোবাসা চাই, ঘৃণা নয়’

খারাপ সময়ে সমর্থকদের পাশে থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন বাংলাদেশ দলের ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম। ক্রিকেট মাঠে বাংলাদেশ শিগগিরই ঘুরে দাঁড়াবে, এমন আশাই করছেন নাঈম।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে ধবলধোলাই হয়ে গতকাল রাতে দেশে ফেরেন বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়েরা। বিমানবন্দরে তাদের দুয়ো দেয় কিছু মানুষ, ‘ভুয়া’, ‘ভুয়া’ স্লোগান তোলে তারা।

এই ঘটনা নিয়ে গত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম। তিনি লিখেছেন, ‘আমরা যারা মাঠে নামি, আমরা শুধু খেলি না—আমরা দেশের নামটা বুকে নিয়ে নামি। লাল-সবুজ পতাকাটা শুধু শরীরে নয়, রক্তে মিশে থাকে। প্রতিটা বল, প্রতিটা রান, প্রতিটা শ্বাসে চেষ্টা করি সেই পতাকাটাকে গর্বিত করতে।’

‘হ্যাঁ, কখনো পারি, কখনো পারি না। জয় আসে, পরাজয়ও আসে—এটাই খেলাধুলার বাস্তবতা। জানি, আমরা যখন হেরে যাই, তখন আপনাদের কষ্ট হয়, রাগ হয়—কারণ, আপনারাও এই দেশটাকে আমাদের মতোই ভালোবাসেন।’

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে সুযোগ পেলেও ভিসা জটিলতায় শুরু থেকে যোগ দিতে পারেননি নাঈম। দ্বিতীয় ওয়ানডের আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতে পৌঁছালেও তিনি মাঠে নামেন শেষ ম্যাচে। তবে ২৪ বল খেলে ওই ম্যাচে নাঈমের ব্যাট থেকে আসে ৭ রান।

আরও পড়ুনআরও নতুন তিন লিগে নাম লেখালেন সাকিব১ ঘণ্টা আগে

ব্যর্থ হলেও ক্রিকেটাররা সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা করেন দাবি করে নাঈম লিখেছেন, ‘আজ যেভাবে আমাদের প্রতি ঘৃণা (প্রকাশ করা হয়েছে), গাড়িতে আক্রমণ করা হয়েছে, তা সত্যিই কষ্ট দেয়। আমরা মানুষ, ভুল করি, কিন্তু কখনো দেশের প্রতি ভালোবাসা-চেষ্টার ঘাটতি রাখি না। প্রতিটা মুহূর্তে চেষ্টা করি দেশের জন্য,মানুষের জন্য, আপনাদের মুখে হাসি ফোটাতে।’

সমর্থকদের কাছে ভালোবাসা প্রত্যাশা করেন জানিয়ে নাঈম আরও লিখেছেন, ‘ভালোবাসা চাই, ঘৃণা নয়। সমালোচনা হোক যুক্তিতে, রাগে নয়। কারণ আমরা সবাই একই পতাকার সন্তান। জয় হোক, পরাজয় হোক—লাল-সবুজ যেন আমাদের সবার গর্ব থাকে, ক্ষোভের নয়। আমরা লড়ব, আবার উঠব—দেশের জন্য, আপনাদের জন্য, এই পতাকার জন্য।’

আরও পড়ুনবাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচের পর জরিমানা গুনলেন জাদরান১৪ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ