গৃহকর্মীর বিরুদ্ধে পরীমণির মামলা খারিজ
Published: 9th, July 2025 GMT
‘মিথ্যা বানোয়াট, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, মানহানিকর ও অশালীন’ শিরোনামে ভুয়া সংবাদ প্রকাশ করার অভিযোগে গৃহকর্মী পিংকি আক্তারসহ চার গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে চিত্রনায়িকা পরীমণির করা মামলাটি খারিজ করে দিয়েছেন ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল।
মঙ্গলবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নূরে আলম এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী মো.                
      
				
তিনি বলেন, গত ২১ মে অন্তর্বর্তী সরকার সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করে। একইসঙ্গে নতুনভাবে ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ’ জারি করে। এক্ষেত্রে পিংকি আক্তারসহ চার গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে হওয়া সাইবার নিরাপত্তা আইনের ২৮ ও ৩১ ধারার মামলা করা হয়েছিল। নতুন অধ্যাদেশে এই ধারার অভিযোগ না থাকায় আদালত মামলাটি খারিজের আদেশ দেন।
এর আগে ২৩ এপ্রিল পিংকি আক্তারসহ চার গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে মানহানির মামলা করেন চিত্রনায়িকা পরীমণি।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ৫ মার্চ ‘কাদের এজেন্সির’ মাধ্যমে পরীমণি তার বাসায় বাচ্চার দেখা শোনার জন্য পিংকি আক্তারকে নিয়োগ দেন। পরবর্তী সময়ে পিংকি আক্তার ২ এপ্রিল পরীমণির বাসা থেকে চলে যায় এবং বাদীর নামে একের পর এক মিথ্যা, বানোয়াট এবং অশ্লীল তথ্য প্রচার ও প্রকাশ করতে থাকে।
এরপর পিংকি বিভিন্ন গণমাধ্যমে উদ্দেশ্যমূলকভাবে সাক্ষাৎকার দেন এবং অন্যান্য আসামিরা তা ফলাও করে প্রচার করার কারণে সমাজে বিভিন্ন স্তরের মানুষের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ায়। এতে পরীমণি সমাজে হেয় প্রতিপন্ন হন দাবি করে সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলাটি দায়ের করেন।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
হাসিনার বিচারের রায় হচ্ছে আগামী সপ্তাহে: মাহফুজ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম বলেছেন, “আমরা বিচারের কাজ শুরু করতে পেরেছি। আগামী সাপ্তাহে ফ্যাসিস্ট, খুনি শেখ হাসিনার বিচার হবে, আমরা একটা রায় পাব। এর ফলে জুলাই শহীদদের পরিবারের কিছুটা হলেও ব্যথা লাঘব হবে।”
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জুলাই শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
তথ্য উপদেষ্টার সঙ্গে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের সাক্ষাৎ
ঐকমত্য কমিশনের কাজ সফলভাবে শেষ হওয়ায় প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন
মাহফুজ আলম বলেন, “আরো অনেকেরই ট্রাইব্যুনালে বিচার কাজ চলছে। ট্রাইব্যুনাল চলমান রয়েছে। যারা ছাত্র-জনতাকে হত্যা ও গুমের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তাদের সবারই বিচার হবে। পরবর্তী সরকারে যারা আসবেন, তারা বিচার কাজ এগিয়ে নেবেন।”
তিনি বলেন, “সংস্কার কাজে আমরা অনেক দূর অগ্রসর হয়েছি। রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যমত হয়ে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছেন। এটা বাংলাদেশের জন্য বড় একটি প্রাপ্তি যে, রাজনৈতিক দলগুলো বসে সরকার গৃহিত একটা দলিলে আসতে পেরেছে। এর ভেতর দিয়ে বাংলাদেশ একটা নতুন পর্যায়ে গেল।”
উপদেষ্টা বেলেন, “৫ আগস্ট শেখ হাসিনাকে উৎখাত করে নতুন সরকার আনা হয়। জুলাই সনদ ও সংস্কার কার্যক্রমের মাধ্যমে পরবর্তীতে যে নির্বাচিত সরকার আসবে, তারা যদি এই কাজগুলো করতে পারেন, তাহলে আমরা যে নতুন বাংলাদেশ চেয়েছিলাম, সে রকম একটা বাংলাদেশ হবে। যেখানে সবার ক্ষমতার ভারসাম্য থাকবে। বিচারে আইনের শাসন থাকবে ও সুবিচার থাকবে। গুম-খুন আর ফেরত আসবে না।”
ঢাকা/জাহাঙ্গীর/মাসুদ