সহকর্মীরা খাবার চুরি করে খেয়ে ফেলে, এরপর যা করলেন ব্যক্তি
Published: 9th, July 2025 GMT
অফিসে খাবার নিয়ে গেলেন, ভাবলেন দুপুরে পেট পুরে খাবেন। কিন্তু খেতে দিয়ে দেখলেন বক্স আছে কিন্তু ভেতরে খাবার নেই। তখন কেমন লাগবে আপনার? কাকে সন্দেহ করবেন? যখন নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তিকে খুঁজে পাবেন না, তখন রাগ গিয়ে পড়বে সবার ওপর। ওই পরিস্থিতিতে এমন কিছু করে বসতে পারেন, যা অন্যদের জন্য বিপদের কারণ হতে পারে।–মূল ঘটনায় আসি। যুক্তরাষ্ট্রের এক ব্যক্তি অফিসে আসার সময় বাড়ি থেকে টিফিন বক্স ভর্তি করে দুপুরের খাবার সঙ্গে আনেন। কিন্তু খেতে গিয়ে দেখেন সেই খাবার উধাও! ঘটনা যে এক বা দুইদিন ঘটেছে তা নয়, প্রায়ই ঘটে।
বারবার একই কাণ্ডে রীতিমতো হতাশ ও ক্ষুব্ধ হন ওই ব্যক্তি। এরপর প্রথমে সহকর্মীদের তার খাবার চুরি না করতে অনুরোধ করেন। কিন্তু তার অনুরোধ কেউ আমলে নেয় নি। শেষে খাবার চুরি ঠেকাতে অভিনব এক কাণ্ড করে বসেন তিনি।
ওই ব্যক্তি ছোট্ট আকারের একটি ফ্রিজ নিয়ে অফিসে হাজির হন। সেটি রাখেন নিজের ডেস্কের তলায়, তাতেও খাবার চুরি ঠেকানো যাবে কিনা-সন্দেহ ছিল তার। এরপর ফ্রিজটি তালাবদ্ধ করে রাখার ব্যবস্থা করেন তিনি।
আরো পড়ুন:
ভাবির দেওয়া তথ্যে ডাকাতির ছক, স্ত্রীসহ ডাকাত প্রধান গ্রেপ্তার
পাবনায় কবরস্থান থেকে ২১টি কঙ্কাল উধাও
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম রেডিট–এ সম্প্রতি এমন একটি ঘটনার ছবি ভাইরাল হয়েছে। ভাইরাল হওয়া পোস্টে ওই কর্মী লেখেন, ‘‘গত এক মাসে আমার লাঞ্চ (দুপুরের খাবার) পাঁচবার চুরি হয়েছে। কেবল সাধারণ নাশতা নয়, বাড়ি থেকে আমি যে খাবার বানিয়ে আনতাম, তার সবটুকু চুরি হয়ে যাচিছলো। এটা শুধু চরম হতাশারই নয়, এটা ব্যয়বহুলও বটে। এ জন্য আমার পুরো দিন খারাপ যেত।’’
ওই ব্যক্তি তার পোস্টে আরও লেখেন, ‘‘এরপর আর কিছু চুরি হয়নি।’’
তবে ওই ব্যক্তির সহকর্মীরা বিষয়টি ভালোভাবে নেননি।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ভাড়া বাসায় একা থাকতেন বৃদ্ধা, তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
চুয়াডাঙ্গা শহরের দক্ষিণ কবরস্থান পাড়ায় বাসা থেকে গুলশান আরা চমন (৬৫) নামে বৃদ্ধার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করছে পুলিশ। তিনি ঝিনাইদহের শৈলকুপার উপজেলার দামুদহ গ্রামের মৃত আবুক কাশেমের স্ত্রী।
আজ সোমবার ( ১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরো পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জে ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের লাশ উদ্ধার
গাজীপুরে নৌকা ভ্রমণে গিয়ে নিখোঁজ, নদীতে মিলল লাশ
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদুর রহমান জানান, শয়ন কক্ষের মেঝে থেকে গুলশান আরা চমনের লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘরের ভেতর থেকে দরজা লাগনো ছিল। চমন হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বাড়ির মালিকের স্ত্রী রেহেনা খাতুন বলেন, ‘‘দীর্ঘ সাত বছর বাসা ভাড়া নিয়ে চমন একাই বসবাস করছিলেন। তিন মাস আগে তিনি স্ট্রোক করলে তাকে উদ্ধার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর তাকে পরামর্শ দেওয়া, ঘরের দরজা খোলা রেখে ঘুমাতে। যেন প্রয়োজনে সাহায্য করতে যায়। কিন্তু উনি দরজা দিয়ে ঘুমাতেন।’’
বাসা থেকে দুর্গন্ধ বের হতে থাকলে তিনি পুলিশে খবর দেন।
গুলশান আরা চমনের ছোট বোন খুশি বলেন, ‘‘গত বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) চমনকে সঙ্গে নিয়ে বাজার করে তাকে বাড়ি রেখে যাই। এরপর তার সঙ্গে আর যোগাযোগ হয়নি।’’
ঢাকা/মামুন/বকুল