চিত্রনায়ক মনোয়ার হোসেন ডিপজলের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে প্রতিবাদ জানিয়েছেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য রুমানা ইসলাম মুক্তি ও সনি রহমান।

এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে মুক্তি লেখেন, “শিল্পীদের নামে ভিত্তিহীন অভিযোগের হয়রানি বন্ধ হোক।”

তিনি জানান, এক নারী নিজেকে ভক্ত পরিচয় দিয়ে ডিপজলের কাছে একাধিকবার আর্থিক সহায়তা নিয়েছেন। এমনকি শিল্পী সমিতি নির্বাচন ও এফডিসিতে বিভিন্ন সময় ওই নারীর উপস্থিতি ও কান্নাকাটি ভিডিওতে ধরা রয়েছে।

মুক্তি আরও বলেন, “সম্প্রতি ডিপজল ভাইয়ের বিরুদ্ধে যে মামলা হয়েছে, তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেই মনে হচ্ছে। আদালতের কাছে অনুরোধ, সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত সত্য উদঘাটন করুন।”

অন্যদিকে, সনি রহমান বলেন, “ডিপজল ভাই শুধু একজন শিল্পী নন, বড় মনের একজন মানুষ। পাগল ভক্ত পরিচয় দিয়ে কেউ যদি একের পর এক সহযোগিতা নিয়ে পরে মিথ্যা অভিযোগ করেন, সেটা অত্যন্ত দুঃখজনক।”

তিনি জানান, ডিপজলের জনপ্রিয়তা ও মানবিকতা কেউ কেউ কাজে লাগিয়ে তাকে হয়রানি করার চেষ্টা করছে।

“তদন্তে যদি অভিযোগ ভিত্তিহীন প্রমাণিত হয়, তাহলে এমন মিথ্যা মামলার বাদীদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া উচিত”—মন্তব্য সনি রহমানের।

উল্লেখ্য, এক নারী সম্প্রতি অভিনেতা ডিপজলের বিরুদ্ধে মারধর ও অ্যাসিড নিক্ষেপের অভিযোগে আদালতে মামলা করেন, যা ইতোমধ্যে শিল্পী সমাজে আলোচনা ও প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিয়েছে।
 

ঢাকা/রাহাত//

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ড পজল র

এছাড়াও পড়ুন:

অধ্যাদেশের দাবিতে বিক্ষোভ, ঢাকা কলেজে শিক্ষককে হেনস্তা, কাল শিক্ষা ক্যাডারের কর্মবিরতি

ঢাকার সাতটি বড় সরকারি কলেজ একীভূত করে প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি করা নিয়ে জটিলতা আরও বাড়ছে। এ নিয়ে আন্দোলন এখন সহিংসতার দিকে গড়াচ্ছে। আজ সোমবার ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাসে উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীকে মারধর ও একজন শিক্ষককে হেনস্তা করার অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদে আগামীকাল মঙ্গলবার সারা দেশে সরকারি কলেজ, সরকারি মাদ্রাসা ও অন্যান্য অফিসে দিনব্যাপী সর্বাত্মক কর্মবিরতি ও কালো ব্যাজ ধারণ করে অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সংগঠন বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশন।

অন্যদিকে প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির চূড়ান্ত অধ্যাদেশ জারির দাবিতে আজ রাজধানীর শিক্ষা ভবনসংলগ্ন রাস্তায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন ওই সাত কলেজের কয়েক শ শিক্ষার্থী। এই কর্মসূচি ঘিরে পুলিশ সতর্ক অবস্থান নেয়। সচিবালয় অভিমুখে ব্যারিকেড দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেয় পুলিশ। এ কারণে ওই পথ দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, খসড়া অধ্যাদেশের বিষয়ে ছয় হাজারের বেশি মতামত পাওয়া গেছে। এগুলো সংকলন ও বিশ্লেষণের কাজ চলছে। এরপর শিক্ষক, শিক্ষার্থী, শিক্ষাবিদ ও শিক্ষা-সংশ্লিষ্ট সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ অংশীজনের সঙ্গে শিগগির ধারাবাহিক পরামর্শ সভা করা হবে।

২০১৭ সালে যথেষ্ট প্রস্তুতি ছাড়াই ঢাকার বড় সাতটি সরকারি কলেজকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়েছিল। তখন থেকেই সংকট ছিল। সরকারি এসব কলেজ হলো ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা মহিলা কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল কলেজ, বাঙলা কলেজ ও তিতুমীর কলেজ। চলতি বছরের জানুয়ারিতে এই কলেজগুলোকে আবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আলাদা করার ঘোষণা দেয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু নতুন বিশ্ববিদ্যালয় চূড়ান্ত করার আগেই অধিভুক্তি বাতিল করায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়। এখন এসব কলেজ একীভূত করে সরকার নতুন একটি বিশ্ববিদ্যালয় করতে যাচ্ছে। প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’। সাতটি কলেজ হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠকেন্দ্র (একাডেমিক ক্যাম্পাস)। একেক ক্যাম্পাসে আলাদা আলাদা বিষয়ে (ডিসিপ্লিন) পড়ানো হবে। বিষয়ও কমে যাবে। প্রস্তাবিত এই কাঠামো নিয়ে ওই সব কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান নিয়েছেন এবং শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা বেশ কিছুদিন ধরেই পক্ষে-বিপক্ষে আন্দোলন করছেন।

কলেজগুলোর উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা কলেজের স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখার দাবিতে আন্দোলন করছেন। ইডেন কলেজের ছাত্রীদের অনেকেই প্রস্তাবিত কাঠামোয় বিশ্ববিদ্যালয় চান না। এ জন্য তাঁরা খসড়া অধ্যাদেশ প্রত্যাখ্যান করেছেন। একই অবস্থায় আছেন বেগম বদরুন্নেসা মহিলা কলেজের ছাত্রীদের অনেকেই।

আর স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের অনেকেই প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি দ্রুত করার দাবিতে আন্দোলন করছেন। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, তাঁরা ‘মার্চ ফর অর্ডিন্যান্স’ কর্মসূচি পালনের অংশ হিসেবে দাবিতে আজ বেলা ১১টার দিকে শিক্ষা ভবনসংলগ্ন সড়কে জমায়েত হন। কয়েক শ শিক্ষার্থী সেখানে অংশ নিয়ে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ জারির দাবিতে মিছিল করেন ও স্লোগান দেন।

এ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের এক ছাত্র প্রথম আলোকে বলেন, দীর্ঘ প্রায় এক বছর ধরে তাঁরা নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে আন্দোলন করছেন। এর মধ্যে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের খসড়াও প্রকাশ করে মতামত গ্রহণ করা হয়েছে। এখন তাঁরা চান, দ্রুতই অধ্যাদেশ প্রকাশ করা হোক। কারণ, তাঁরা এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনেও নেই, আবার নতুন কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনেও নেই। এতে পড়াশোনারও ক্ষতি হচ্ছে।

শিক্ষক হেনস্তা, উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থীকে মারধর, কর্মবিরতির ঘোষণা

এদিকে ঢাকা কলেজের স্বতন্ত্র কাঠামো বিলুপ্তির আশঙ্কায় কলেজটির উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীরা আজ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের দিকে অভিযাত্রা কর্মসূচির আয়োজন করেছিলেন। আবার স্নাতক-স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীদের আরেকাংশ শিক্ষা ভবনের সামনের কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নেয়। এ নিয়ে শিক্ষকেরা সতর্ক অবস্থায় ছিলেন। একপর্যায়ে ইতিহাস বিভাগের একজন সহযোগী অধ্যাপককে হেনস্তা ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের কিছু ছাত্রকেও মারধর এবং কলেজের শিক্ষক লাউঞ্জ ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে।

এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হন শিক্ষকেরা। তাঁরা ঢাকা কলেজ মিলনায়তনে প্রতিবাদ সভা করেন। সেখানে বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশনের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। সেখানে কর্মবিরতি ঘোষণা করেন শিক্ষকেরা।

পরে সংগঠনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সহকর্মীদের জানানো হয়, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আগামীকাল মঙ্গলবার সর্বাত্মক কর্মবিরতি ও কালো ব্যাজ ধারণ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের সব কর্মকর্তাকে এ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার অনুরোধ করেছেন অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ ও সদস্যসচিব মো. মাসুদ রানা খান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অ্যালার্ম বন্ধ করে শাহেদ ঘুমিয়ে পড়ে
  • গাজা শান্তি সম্মেলনে মেলেনির সৌন্দর্যের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ট্রাম্প
  • ভাত দেওয়ার মুরোদ না থাকা গোঁসাইয়ের কিল কেন শিক্ষকের পিঠে
  • হাদিসের ভিত্তি, চর্চা ও স্তর
  • বগুড়ায় মদপানে আরো একজনের মৃত্যু, নিহত বেড়ে ৫
  • তামান্নাকে নিয়ে আন্নু কাপুরের ‘অশ্লীল’ মন্তব্য
  • সায়েন্স ল্যাব মোড়ে ব্লকেড কর্মসূচি ঢাকা কলেজের ছাত্রদের
  • নেতানিয়াহুকে ক্ষমা করে দিতে ট্রাম্পের আহ্বান
  • বগুড়ায় বিষাক্ত মদপানে অসুস্থ পাঁচজনেরই মৃত্যু
  • অধ্যাদেশের দাবিতে বিক্ষোভ, ঢাকা কলেজে শিক্ষককে হেনস্তা, কাল শিক্ষা ক্যাডারের কর্মবিরতি