নারী ভক্তের মামলার পর ডিপজল বললেন, আল্লাহ বিচার করবেন
Published: 9th, July 2025 GMT
অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজলসহ দুজনের বিরুদ্ধে অ্যাসিড নিক্ষেপ ও মারধরের অভিযোগে ঢাকার একটি আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ডিপজল জানালেন, এক নারী ভক্তকে ব্যবহার করে এমন মামলা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
বিষয়টি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ডিপজল বলেন, ‘একজন পাগল ভক্তের কর্মকাণ্ড পুঁজি করে যারা নিজেদের স্বার্থ হাসিল করার জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা অভিযোগ ও মামলা দিয়ে হয়রানি করার চেষ্টা করছেন! আল্লাহ আপনাদের বিচার করবেন।’
ডিপজল বলেন, ‘এই নারী দুটি বাচ্চা নিয়ে এফডিসি থেকে তার স্বামী নেই বলে অসহায়তার কথা বলে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। পরে মাঝে মাঝে এসে কান্নাকাটি করে ১০ হাজার বা ২০ হাজার টাকা নিয়ে গেছে। অনেকবারই এফডিসিতে দেখা হয়েছে, যার ভিডিওগুলো আপনারা সোশ্যাল মিডিয়াতে পাবেন।’
ডিপজল উল্লেখ করেন, ‘ওই নারীর বক্তব্য মতে, ২০২৫ সালের জুনের ২ তারিখে হাটে দেখা হয়েছে বলে সাক্ষাৎকারে বলেছে। সম্পূর্ণ মিথ্যা—ভিডিওটি দেখলে বোঝা যাবে। গত ১৫ এপ্রিল ঢাকা সিটি করপোরেশনকে হাটটি বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, যার সব কাগজপত্র প্রমাণাদি আমাদের কাছে আছে। হাট বুঝিয়ে দেওয়ার ২ মাস পর আবার কেন হাটে যাব? ২ জুন মহিলাটি হাটে এসে কী করেছিল, সেটির ভিডিও ফুটেজও রয়েছে, যা আপনারা দেখতে পাবেন। হাটের সিসি ক্যামেরার ফুটেজও পাওয়া যাবে।’
সুষ্ঠু বিচার চেয়ে ডিপজল বলেন, ‘এখন মহামান্য আদালতকে সম্মান জানিয়ে বলতে চাই, আপনারা সুষ্ঠু তদন্ত করে এর বিচার করবেন। যারা এই নারীকে ব্যবহার করে এসব কাজ করছে, তাদেরও প্রকাশ্যে আনবেন। এসব মিথ্যা অভিযোগ এবং মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, গত ২ জুন রাজধানীর কোরবানির গরুর হাটে অভিনেতা ডিপজলের আগমনের কথা শুনে তার ভক্ত হিসেবে কথা বলতে গিয়েছিলেন। তখন ডিপজল তার পিএসকে বলে, “এই মহিলা এখানে কীভাবে ঢুকল, বের কর এখান থেকে। পরে ডিপজলের পিএসসহ সেখানে থাকা ৮ থেকে ১০ জন শারীরিকভাবে হেনস্তা, মারধর করে রশি দিয়ে টেনে বের করে দিতে চায়। ভুক্তভোগী আহত অবস্থায় বলেন, ‘আমাকে ছাড়, আমি ডিপজল ভাইয়ের কাছে বিচার দেব।’ তখন পিএস বলে, ‘ভেতরে গেলে ডিপজল ভাই তোকে খুন করে ফেলবে। ওকে এভাবে মারলে মনের জিদ কমবে না।
এজাহারে বাদী আরও বলেন, পিএসের নির্দেশে একজন ভেতর থেকে একটা ছোট গ্যালন নিয়ে আসে। পরে সে গ্যালনটি বাদীর ঘাড়ের দিকে ঢেলে দেয়। বাদী যন্ত্রণায় কান্না করতে করতে বাসায় যান। পরে ৪ থেকে ১১ জুন ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা নেন। ১২ জুন মামলা করতে গেলে ডিপজলের পিএস কল দিয়ে মামলা না করার জন্য হুমকি দেন বলেও উল্লেখ করেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ড পজল
এছাড়াও পড়ুন:
সুইমিংপুলের পানি সরিয়ে তৈরি হলো অফিস
একসময় ছিল সুইমিংপুল। চলত গোসল, সাঁতার কাটা। সেখানেই এখন দিব্যি চলছে অফিস। পানি সরিয়ে পুলের ভেতরে চেয়ার-টেবিল পেতে কাজ করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। কাজের সময় ধাতব মই বেয়ে পুলের ভেতরে নামছেন তাঁরা। অফিস শেষে আবার মই বেয়ে উঠে ফিরছেন নিজ নিজ গন্তব্যে।
ঘটনাটি ঘটেছে চীনের সিচুয়ান প্রদেশের চেংডু শহরে। অফিসটি লুবান ডেকোরেশন গ্রুপ নামের একটি অন্দরসজ্জা প্রতিষ্ঠানের। ওই প্রতিষ্ঠানের এক কর্মচারী সম্প্রতি অনলাইনে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। তারপরই সুইমিংপুলের ভেতরে তাঁদের নতুন অফিসের বিষয়টি সামনে আসে। আজ মঙ্গলবার এ নিয়ে চীনের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ওই প্রতিষ্ঠানের ভবনে এখন একই তলায় ব্যায়ামাগার, সুইমিংপুল ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজের জায়গা। ব্যায়ামাগারের দরজা খুলেই নামা যায় পানিশূন্য সুইমিংপুলের ভেতরে তৈরি করা কাজের স্থানে। তবে সেখানে এখনো রয়েছে গেছে ‘সুইমিংপুল’ লেখা ফলক। তাতে এখনো লেখা ‘১ দশমিক ৫৫ মিটার গভীর পানির এলাকা’।
অনলাইনে প্রকাশিত ভিডিও ও ছবিতে দেখা গেছে, সুইমিংপুলের পানি সরিয়ে কর্মকর্তাদের জন্য পাঁচ সারি ডেস্ক বসানো হয়েছে। বিদ্যুতের লাইন বসানো হয়েছে পুলের মেঝেতে। লুবা ডেকোরেশন গ্রুপের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমার মনে হয় কল্পকাহিনির চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছি।’ আরেক কর্মচারী বলেন, এভাবেই দুই মাস ধরে অফিস করছেন তাঁরা।
সুইমিংপুলের পানি সরিয়ে অফিস বানানোর পর এর নিরাপত্তা নিয়েও সমালোচনা করছেন অনেকে। অগ্নিনির্বাপণব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। বেইজিংয়ের আইনি প্রতিষ্ঠান ‘ইংলি’র অংশীদার ওয়াং মিং মনে করেন, এই অফিসে প্রয়োজনীয় অগ্নিনিরাপত্তা নেই। আগুন লাগলে কর্মীরা জরুরি ভিত্তিতে অফিস থেকে কীভাবে বিকল্প পথে বের হবেন, তারও কোনো ব্যবস্থা নেই।
আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, এভাবে অফিস বানানো ভবন নির্মাণ আইনের লঙ্ঘন। তবে এরই মধ্যে অফিসটি পরিদর্শন করেছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম রেড স্টার নিউজকে তাঁরা জানিয়েছেন, অস্থায়ী এই অফিস খালি করে দেওয়া হয়েছে।