যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে আমদানি হয় কম। তবে দেশটিতে বাংলাদেশের পণ্যের রপ্তানি বেশি। ফলে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যে পিছিয়ে বা ঘাটতিতে আছে যুক্তরাষ্ট্র। সদ্য শেষ হওয়া ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এই ঘাটতি আরও বেড়েছে।

এই বাণিজ্যঘাটতি বিবেচনায় এনে বাংলাদেশের পণ্যের ওপর গত ২ এপ্রিল ৩৭ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছিল দেশটি। তবে আলোচনার সুযোগ রেখে তিন মাস শুল্ক কার্যকর পিছিয়ে দেয় ট্রাম্প প্রশাসন। সে জন্য গত তিন মাসে আমদানি বাড়িয়ে ঘাটতি কমানোর নানা উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেছিল সরকার। তবে অর্থবছর শেষে সরকারের এসব উদ্যোগ বাণিজ্যঘাটতি কমায়নি, উল্টো দেশটি থেকে আমদানি কমে ঘাটতি আরও বেড়েছে।

শুল্কছাড়ের চেয়ে নীতিসহায়তা দেওয়া হলে বরং যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি বাড়ত। যেমন নীতিসহায়তা না পাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে সয়াবিন বীজ আমদানি কমে গেছে।আমিরুল হক ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ডেল্টা এগ্রো ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ 

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বা এনবিআরের হিসাবে, সদ্য বিদায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি হয়েছে প্রায় ২৫০ কোটি ডলারের পণ্য। দেশটিতে বাংলাদেশের রপ্তানি ছিল প্রায় ৮৭৬ কোটি ডলারের পণ্য। অর্থাৎ দুই দেশের বাণিজ্যে বাংলাদেশের হাতে বাড়তি রয়েছে ৬২৬ কোটি ডলার, যা যুক্তরাষ্ট্রের ঘাটতি। এর আগে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হয়েছিল প্রায় ৭৬৭ কোটি ডলার। দেশটি থেকে আমদানি হয়েছিল প্রায় ২৬২ কোটি ডলার। তাতে ওই অর্থবছরে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ঘাটতি ছিল ৫০৫ কোটি ডলার।

দুই অর্থবছরের তুলনা করে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে এ সময়ে বাংলাদেশের রপ্তানি বেড়েছে প্রায় ১৪ শতাংশ। তার বিপরীতে দেশটি থেকে আমদানি কমেছে প্রায় ৫ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যে বাংলাদেশের এগিয়ে থাকার বিষয়টি বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক হলেও ট্রাম্পের সূত্র উল্টো বিপাকে ফেলেছে বাংলাদেশের রপ্তানিকারকদের। কারণ, নতুন শুল্ক কার্যকর হলে এই বাজারে রপ্তানি কমে যাবে।

ঘাটতি কমাতে সরকারের যা পদক্ষেপ 

গত ২ এপ্রিল বাংলাদেশসহ বিশ্বের নানা দেশে পাল্টা শুল্ক আরোপ করার পর বাংলাদেশ সরকার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা শুরু করে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস চিঠি দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। সেখানে নানা উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলা হয়।

আলোচনা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি গত ২ জুন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে ১১০টি পণ্যে শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়, যা ওই দিনই কার্যকর হয়। সব দেশ থেকে আমদানিতে এই শুল্কহার প্রযোজ্য হলেও যুক্তরাষ্ট্র সুবিধা পাবে এমন বিষয় বিবেচনা রেখে এই পদক্ষেপ নেয় সরকার। বেসরকারিভাবে আমদানি বাড়াতে নানা পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র থেকে সরকারি কেনাকাটা বাড়ানোর কথাও বলা হয় সরকারের পক্ষ থেকে। 

সরকারি পদক্ষেপের প্রভাব কী 

সরকারের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সুবিধার কথা মাথায় রেখে যেকোনো দেশ থেকে ১১০টি পণ্য আমদানিতে কাস্টমস শুল্কছাড় দেওয়া হয়। শুল্কছাড় দেওয়ার পর মাত্র এক মাস সময় পেরিয়েছে। ফলে এই এক মাসে খুব বেশি প্রভাব পড়ার কথা নয়। এরপরও যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি হওয়া প্রধান কয়েকটি পণ্যের আমদানির হিসাবে কিছু ধারণা পাওয়া যায়। 

যেমন যুক্তরাষ্ট্র থেকে সবচেয়ে বেশি আমদানি হয় রড তৈরির কাঁচামাল পুরোনো লোহার টুকরা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এই পণ্যটি আমদানি হয় প্রায় ৬৭ কোটি ডলারের। সদ্য শেষ হওয়া অর্থবছরে আমদানি হয় ৬৮ কোটি ৬৬ লাখ ডলার। একইভাবে সয়াবিন বীজ আমদানি হয় ৩৬ কোটি ৪৬ লাখ ডলার। গত অর্থবছরে তা কমে দাঁড়ায় ৩৫ কোটি ৩১ লাখ ডলারে। আবার ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তুলা আমদানি হয় ৩৬ কোটি ৮৯ লাখ ডলারের। গত অর্থবছরে তা কমে দাঁড়ায় ২৩ কোটি ৫১ লাখ ডলারে।

আমদানি বৃদ্ধি বা কমার বিষয়ে জানতে চাইলে ইস্পাত ও সয়াবিন বীজ খাতের দুজন উদ্যোক্তা প্রথম আলোকে বলেন, শুল্কহার সব দেশের জন্যই সমান। বাজেটে শুল্কছাড়ও সব দেশের জন্য একই। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দর-কষাকষির জন্য শুল্কছাড় দেওয়া হলেও তাতে আমদানিতে মোটাদাগে প্রভাব পড়বে না। যে দেশ থেকে কম খরচে ভালো মানের পণ্য আমদানি করা যায় সেখান থেকেই ব্যবসায়ীরা আমদানি করেন। 

তবে সয়াবিন বীজ মাড়াই করে প্রাণিখাদ্য তৈরির প্রতিষ্ঠান ডেল্টা এগ্রো ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিরুল হক প্রথম আলোকে বলেন, শুল্কছাড়ের চেয়ে নীতিসহায়তা দেওয়া হলে বরং যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি বাড়ত। যেমন সয়াবিন বীজ থেকে দেশে সয়াবিন তেল ও সয়া কেক উৎপাদন হচ্ছে। সয়াবিন বীজ থেকে প্রস্তুত পণ্য সয়া কেক আমদানিতে শুল্ক নেই। এখন সরকার যদি সয়া কেক আমদানিতে ন্যূনতম শুল্ক কর আরোপ করত তাহলে সয়াবিন বীজ আমদানিও বাড়ত। মানের কারণে যুক্তরাষ্ট্র থেকেই সয়াবিন বীজ আমদানি বেশি হতো। নীতিসহায়তা না পাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে এই পণ্যটির আমদানি কমে গেছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র র স য ক তর ষ ট র থ ক সরক র র আমদ ন ত পদক ষ প র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

বদলে যাচ্ছে ধনীদের পছন্দ, কী কাজে ব্যয় করছেন তাঁরা

শ্যাতো দ’ইকেম ২০১০—এই পানীয়ের এক বোতল যেন বিলাসিতার সংজ্ঞা। এতে আছে খুবানি, টোস্ট করা বাদাম, লেবুর খোসা, রসালো লেবু আর সাদা ট্রাফল—সব মিলিয়ে স্বাদ-গন্ধের নিখুঁত সমারোহ।

অনেক দিন ধরেই বিশ্বের এই সেরা মিষ্টি ওয়াইনটির দাম বেড়েছে। ২০২৩ সালে এসে এর দাম ছিল ২০১০–এর দশকের মাঝামাঝি সময়ের তুলনায় প্রায় ৬০ শতাংশ বেশি। তখন কেবল ওয়াইন নয়—বিলাসিতা মানেই ছিল বাড়তি মূল্য। পুরোনো গাড়ি, পুরোনো হুইস্কি, বিশাল অট্টালিকা—সবকিছুর দাম ছিল ঊর্ধ্বমুখী। ২০১৫ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে সম্পদবিষয়ক প্রতিষ্ঠান নাইট ফ্রাঙ্কের তৈরি ‘লাক্সারি ইনভেস্টমেন্ট ইনডেক্স’ প্রায় ৭০ শতাংশ বেড়েছে।

কিন্তু হঠাৎ করেই যেন দৃশ্যপট বদলে গেল। ২০২৩ সালের শীর্ষ থেকে ওই সূচক এখন ৬ শতাংশ কমেছে। বোর্দোর বিখ্যাত ওয়াইন যেমন লাফিত রথচাইল্ড ও মারগোর দাম কমেছে ২০ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রে ব্যক্তিগত জেট ও বিলাসবহুল নৌকার দাম কমেছে প্রায় ৬ শতাংশ। ব্যবহৃত রোলেক্স ঘড়ির দাম ২০২২ সালের তুলনায় প্রায় ৩০ শতাংশ কম। দামি শিল্পকর্মের বাজারেও মন্দা।

আবাসনপ্রতিষ্ঠান স্যাভিলসের হিসেবে, বিশ্বের বড় শহরগুলোর সবচেয়ে বিলাসবহুল বাড়ির দাম এখন আর তেমন বাড়ছে না, বরং লন্ডন ও প্যারিসে বিলাসবহুল আবাসনের দাম নিম্নমুখী। সানফ্রান্সিসকোর ‘বিলিয়নিয়ার্স রো’ (ধনীদের এলাকা)–এর এক অট্টালিকার দাম দুই বছর আগে বিক্রির জন্য উঠেছিল ৩ কোটি ২০ লাখ ডলারে; এখন সেই দাম ২৬ মিলিয়ন বা ২ কোটি ৬০ লাখ ডলারে নেমে এসেছে।

কিন্তু ধনীদের জিনিসপত্রে এমন মন্দা কেন—ধনীদের সম্পদ কি কমে গেছে। ফোর্বসের হিসাব বলছে, এখন বিশ্বে বিলিয়নিয়ার বা শতকোটিপতির সংখ্যা ৩ হাজারের বেশি—এক বছর আগের তুলনায় আরও ২০০ জন বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে ধনী শূন্য দশমিক ১ শতাংশ মানুষের হাতে এখন দেশটির মোট পারিবারিক সম্পদের ১৪ শতাংশ—কয়েক দশকের মধ্যে যা সর্বোচ্চ। সানফ্রান্সিসকোতে এখন ভবনের ক্রেতা নেই, কিন্তু সেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) উত্থানের জোয়ারে প্রতিদিন নতুন নতুন কোটিপতি তৈরি হচ্ছে।

মুডিস অ্যানালিটিকসের গবেষক মার্ক জান্ডির তথ্য বলছে, ২০২২ সালের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ধনী ৩ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষের খরচ বরং বেড়েছে।

কী ঘটছে

তাহলে হচ্ছেটা কী, ধনীদের সম্পদ তো কমেনি, বরং পৃথিবীতে ধনী–গরিবের বৈষম্য বেড়েছে। বিষয়টি হলো, বিলাসপণ্যের অর্থনীতি পাল্টে যাচ্ছে। এই পরিবর্তন বোঝার জন্য মার্কিন অর্থনীতিবিদ থরস্টিন ভেবলেনের দিকে ফিরে তাকাতে হয়। ২০ শতকের শুরুতে তিনি বলেছিলেন, বিলাসিতা টিকে থাকে দুর্লভতা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতার ওপর ভর করে। কোনো জিনিস শুধু দামি বলেই বিলাসবহুল নয়—বরং তখনই বিলাসবহুল হয়, যখন একজনের উপভোগের কারণে অন্যদের কাছে তা অপ্রাপ্য হয়ে ওঠে। আজকের অর্থনীতিতে এই দুই বৈশিষ্ট্যই বদলে গেছে।

ধনীদের জন্য সমস্যা হলো, বিলাসিতা এখন সর্বত্র। বিশ্বের অনেক দেশেই উৎকৃষ্ট ওয়াইন তৈরি হচ্ছে—তাহলে সেরা বোর্দো কি প্রকৃতই ততটা আলাদা? ল্যাবে তৈরি হীরার সঙ্গে প্রকৃত হীরার অমিল নেই বললেই চলে। পুরোনো পণ্যের অনলাইন বাজারে এখন যে কেউ সামান্য অর্থে কিটন জ্যাকেট বা এমনকি ব্যক্তিগত জেটও ভাড়া নিতে পারে। শিল্পজগতের পুরোনো মাস্টারদের চিত্রকর্ম এখন ‘ভাগ’ করে শত শত বিনিয়োগকারীকে মালিক বানানো হচ্ছে। সবাই এখন ‘ভালো জীবনের’ অভিজ্ঞতা নিচ্ছে—আর তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখাতেও পারছে। ফলে এসব জিনিস আর দুর্লভ বা একান্ত মনে হয় না। তাই এগুলো আর ‘বিলাসবহুল’ বলে মনে হয় না।

সেরার সেরা থেকেও সেরা

তাই ধনীরা এখন পণ্য নয়, অভিজ্ঞতায় খরচ করছেন—বড়, ব্যতিক্রমী ও সেবামূলক অভিজ্ঞতা প্রাপ্তির দিকে এখন তাঁদের ঝোঁক। এই পরিস্থিতিতে দ্য ইকোনমিস্ট ‘আল্ট্রা-লাক্সারি সার্ভিস ইনডেক্স’ তৈরি করেছে—যেখানে রয়েছে সুপার বোলের টিকিট থেকে শুরু করে বিশ্বের সেরা রেস্তোরাঁয় খাবারসহ নানা অভিজ্ঞতা। এই সূচক প্রণয়নে ইকোনমিস্ট এমন অভিজ্ঞতাগুলোই আমলে নিয়েছে, যেগুলো শুধু ভালো নয়, বরং বিশ্বের সেরার সেরা—এবং যার মূল্যসংক্রান্ত তথ্য বহু বছর ধরে নির্ভরযোগ্য সূত্রে পাওয়া যায়। হিসাব অনুযায়ী, এই সূচক ২০১৯ সালের পর থেকে ৯০ শতাংশ বেড়েছে। ২০২৩ সালের পর পণ্যের দাম কমলেও এই সূচক আরও ওপরে উঠেছে।

এর ঊর্ধ্বগতি বিলাসপণ্যের মতোই—দুর্লভতা ও সীমিত সুযোগের প্রতিযোগিতার ফল। ধরা যাক, প্যারিসের বিখ্যাত হোটেল লে ব্রিস্টল। এর ছাদে থাকা পুল থেকে আইফেল টাওয়ার দেখা যায়। অতিথিরা পানীয়ের চেয়ে তার ছবি তুলতেই ব্যস্ত। এই হোটেলে ঘরসংখ্যা ২০০–এরও কম। ফলে সেখানে থাকা মানেই এক বিরল আনন্দ। সেখানে এখন এক রাত থাকার খরচ ২০১৯ সালের তুলনায় দ্বিগুণ।

অন্যদিকে গৃহকর্মীদের বাজারেও তীব্র প্রতিযোগিতা। যুক্তরাষ্ট্রে এখন তাদের বেতন ২০১৯ সালের তুলনায় প্রায় ৫০ শতাংশ বেশি। ফ্লোরিডার অভিজাত এলাকা পাম বিচে গৃহকর্মীরা বছরে দেড় লাখ ডলারের বেশি আয় করেন।

বাস্তবতা হলো, ঘড়ি বা গয়না বিক্রি করা যায়, কিন্তু উইম্বলডনের সেন্টার কোর্টে কাটানো একদিনের অভিজ্ঞতা বিক্রি করা যায় না। ২০১৬ সালে যে সদস্যপদের টিকিট ৫০ হাজার পাউন্ডে পাওয়া যেত, এখন তার দাম এক লাখ পাউন্ড ছাড়িয়েছে। সুপার বোলের টিকিটও দ্বিগুণ। মেট গালার প্রবেশমূল্য ২০১৯ সালের দ্বিগুণের বেশি। সানফ্রান্সিসকোর তিন তারকা রেস্তোরাঁ বেনুর খাবারের দাম ২০১৫ সালের তুলনায় ৭৮ শতাংশ বেড়েছে। সেখানে এক বেলা খাবারের জন্য ৫০০ ডলারের বেশি খরচ করেছেন দ্য ইকোনমিস্টের সাংবাদিক।

কিন্তু এমন রেস্তোরাঁয় খাওয়া মানে কেবল খাবার নয়। ওখানে খাওয়ার অর্থ হলো, আগামী  কয়েক ঘণ্টায় পৃথিবীর আর কেউ আপনার জায়গায় বসতে পারবে না। নিউইয়র্ক ও প্যারিস ফ্যাশন উইক, এক্সক্লুসিভ ফান্ডরেইজার, এনবিএ প্লে-অফ—এসব জায়গায় এখন ‘সস্তায়’ যাওয়ার সুযোগ নেই, বরং সেটাই গর্ব—আপনি সেখানে ছিলেন, অন্যরা ছিল না।

আগামী বছর যুক্তরাষ্ট্রে হতে যাওয়া ফুটবল বিশ্বকাপের ফাইনালের পুনর্বিক্রিত টিকিটের দাম কত উঠবে, তার পূর্বাভাস করা কারও সাধ্য নয়। কিন্তু বাস্তবতা হলো, সেটাই এখন বিলাসিতার প্রকৃত মোহ। যখন আপনি নিজে ইয়ামাল আর কিলিয়ান এমবাপ্পেকে মাঠে মুখোমুখি দেখতে পারেন, তখন এক বোতল শ্যাতো দ’ইকেম কতটা সন্তুষ্টি দেবে, তার চেয়ে তো বেশি নয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দিনাজপুর বোর্ডে পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তি কম, ইংরেজিতে অকৃতকার্য বেশি
  • বদলে যাচ্ছে ধনীদের পছন্দ, কী কাজে ব্যয় করছেন তাঁরা
  • দুই বছরে উধাও ১৬ হাজার কোটি, আইপিএলের বাজারমূল্য কমছে কেন
  • অর্থনীতিতে কি মন্দা ঘনিয়ে আসছে
  • গাজায় যুদ্ধবিরতির পরও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আইসিজেতে মামলা চালিয়ে যাবে দক্ষিণ আফ্রিকা
  • উৎসব-পার্বণে ডিজিটাল লেনদেন বেশি
  • চলতি বছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮% হতে পারে: আইএমএফ
  • প্রিমিয়ার লিগ: ৯০ মিনিটের পরেই এবার সবচেয়ে বেশি নাটক
  • ‘হেনী কলেজের টেঁয়া লই চুদুরবুদুর চইলত নঅ’ স্লোগানটি কেন আবার প্রাসঙ্গিক
  • স্বামীকে ২১ কোটি টাকার শেয়ার উপহার দিচ্ছেন স্ত্রী