হোয়াইট হাউসের কাছে গুলিবিদ্ধ ন্যাশনাল গার্ড সদস্যদের একজন মারা গেছেন
Published: 28th, November 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে হোয়াইট হাউসের কাছে গুলিবিদ্ধ দুই ন্যাশনাল গার্ড সদস্যের একজন মারা গেছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ তথ্য জানিয়েছেন।
ট্রাম্প গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বলেন, আঘাতের কারণে ২০ বছর বয়সী সারাহ বেকস্ট্রম মারা গেছেন। ন্যাশনাল গার্ডের আহত আরেক সদস্য ২৪ বছর বয়সী অ্যান্ড্রু উলফের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
গত বুধবার হোয়াইট হাউসের কাছে ফারাগুট স্কয়ারে স্থানীয় সময় বেলা সোয়া দুইটার দিকে খুব কাছ থেকে ওই দুই ন্যাশনাল গার্ড সদস্যকে গুলি করা হয়। হামলায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁর নাম রহমানুল্লাহ লাকানওয়াল (২৯)। তিনি ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যান।
২০ বছর বয়সী সারাহ বেকস্ট্রম ২০২৩ সালের ২৬ জুন ন্যাশনাল গার্ডে যোগ দেন। ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া আর্মি ন্যাশনাল গার্ডের ৮৬৩তম মিলিটারি পুলিশ কোম্পানিতে নিযুক্ত করা হয় তাঁকে।থ্যাঙ্কসগিভিং উপলক্ষে মার্কিন সামরিক সদস্যদের সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময় ট্রাম্প সারাহ বেকস্ট্রমের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘গুলিবিদ্ধ দুই ন্যাশনাল গার্ডের একজন সারাহ বেকস্ট্রম আর আমাদের মধ্যে নেই। তিনি ছিলেন অত্যন্ত সম্মানিত ও অসাধারণ মানুষ।’ হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা সিবিসি নিউজকে জানান, পরে ট্রাম্প সারাহর বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলেন।
সারাহ বেকস্ট্রম ২০২৩ সালের ২৬ জুন ন্যাশনাল গার্ডে যোগ দেন। তাঁকে ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া আর্মি ন্যাশনাল গার্ডের ৮৬৩তম মিলিটারি পুলিশ কোম্পানিতে নিযুক্ত করা হয়।
ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার রিপাবলিকান সিনেটর জিম জাস্টিস বলেন, সারাহ বেকস্ট্রমের মৃত্যুর খবরে তিনি ‘পুরোপুরি ভেঙে পড়েছেন’।
সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সন্দেহভাজন ব্যক্তি ন্যাশনাল গার্ডের তিন সদস্যের কাছে এগিয়ে যান। তিনি গুলি ছোড়া শুরু করার আগপর্যন্ত খুব সম্ভবত রক্ষীরা তাঁকে খেয়ালই করেননি। হামলাকারী প্রথমে এক ন্যাশনাল গার্ডকে গুলি করেন, তারপর আরেকজনকে।ঘটনার দিন সেভেনটিনথ ও আই স্ট্রিট মোড়ে টহল দিচ্ছিলেন সারাহ বেকস্ট্রম এবং তাঁর সহকর্মী অ্যান্ড্রু উলফ। আল-জাজিরার এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুলিশ বলেছে, গতকাল বেলা সোয়া দুইটার দিকে সন্দেহভাজন এক হামলাকারী এক ন্যাশনাল গার্ডকে লক্ষ্য করে সরাসরি গুলি ছোড়েন।
আরও পড়ুনওয়াশিংটন ডিসিতে হামলা: আসলে কী ঘটেছিল, সন্দেহভাজন কে১৩ ঘণ্টা আগেসিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সন্দেহভাজন ব্যক্তি ন্যাশনাল গার্ডের তিন সদস্যের কাছে এগিয়ে যান। তিনি গুলি ছোড়া শুরু করার আগপর্যন্ত খুব সম্ভবত রক্ষীরা তাঁকে খেয়ালই করেননি। হামলাকারী প্রথমে এক ন্যাশনাল গার্ডকে গুলি করেন, তারপর আরেকজনকে।
পরে সংঘর্ষের সময় সন্দেহভাজন হামলাকারীও গুলিবিদ্ধ হন। তাঁকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তিনি পুলিশ হেফাজতে আছেন।
আরও পড়ুনহোয়াইট হাউসের কাছে ন্যাশনাল গার্ডের দুই সদস্যকে গুলি২৬ নভেম্বর ২০২৫.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
শ্রীপুরে কথা–কাটাকাটির জেরে ৫ সহপাঠীকে ছুরিকাঘাতের অভিযোগ, কিশোর পলাতক
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কথা-কাটাকাটির জেরে একটি মাদ্রাসার পাঁচ শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতে আহত করার অভিযোগ উঠেছে আরেক কিশোর শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা একটার দিকে উপজেলার গাড়ারণ গ্রামের গাড়ারণ খলিলিয়া বহুমুখী ফাজিল মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত শিক্ষার্থীরা হলেন মো. রিফাত, নাদিম মাহমুদ, মুহিন মিয়া, রিফাত আহমেদ ও মো. রাশিদুল। তাঁরা সবাই শ্রীপুরের গাড়ারণ খলিলিয়া বহুমুখী ফাজিল মাদ্রাসার বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থী। অন্যদিকে অভিযুক্ত কিশোর একই উপজেলার বাসিন্দা ও ওই মাদ্রাসার শিক্ষার্থী।
মাদ্রাসাটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম বলেন, ছুরিকাঘাতে আহত পাঁচজনের মধ্যে তিনজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্য দুজনকে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীদের একজন প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল ওই মাদ্রাসায় পরীক্ষা চলার সময় অভিযুক্ত কিশোর বেঞ্চে বসে অন্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলছিল। এ সময় সহপাঠীদের দু-একজন তাঁকে সেখান থেকে সরে যেতে বলেন। এ নিয়ে তাঁদের সঙ্গে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর বাগ্বিতণ্ডা হয়। পরে শিক্ষকদের মধ্যস্থতায় উভয় পক্ষকে মিলিয়ে দেওয়া হয়। এরপর আজ বৃহস্পতিবার বেলা একটার দিকে পরীক্ষা শেষে শিক্ষার্থীরা হল থেকে বের হচ্ছিল। ওই সময় অভিযুক্ত কিশোর ছুরি নিয়ে তাঁদের ওপর হামলা চালায়। এতে ওই পাঁচ শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়।
আরেক শিক্ষার্থী প্রথম আলোকে বলেন, কিছু বুঝে ওঠার আগেই মাদ্রাসার রান্নাঘরের পাশে শিক্ষার্থীদের ওপর ছুরি নিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে ওই কিশোর। এ সময় রাস্তার ওপর একটি অটোরিকশা দাঁড়িয়ে ছিল। হামলার পর খুব দ্রুত সেটিতে ওঠে সে পালিয়ে গেছে।
খবর পেয়ে শ্রীপুর থানা-পুলিশ সেখানে এসেছিলেন বলে জানান মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। তিনি বলেন, ঘটনা ঘটিয়ে ওই শিক্ষার্থী পালিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে তদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আবদুল বারিক।