পাকুন্দিয়ায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ স্কুলছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার
Published: 12th, July 2025 GMT
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় ব্রহ্মপুত্র নদের বেড়িবাঁধ এলাকায় নৌকা ডুবে নিখোঁজ হওয়া স্কুলছাত্রী নীহা আক্তারের (৯) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে ভাসমান অবস্থায় স্থানীয় লোকজন তার মরদেহ দেখতে পান। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার কিছু আগে একই ঘটনায় নিখোঁজ হওয়া নীহার বড় বোন নীলা আক্তারের (১৭) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। দুর্ঘটনায় তাদের মা নীপা আক্তার ও বাবা আবদুর রহমান আহত অবস্থায় উদ্ধার হন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার চৌদ্দশত ইউনিয়নের জালুয়াপাড়া গ্রামের আবদুর রহমান তাঁর স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে বেড়াতে যান পাকুন্দিয়া উপজেলার চরফরাদী ইউনিয়নের দক্ষিণ চরটেকি এলাকায়। সেখান থেকে একটি নৌকা ভাড়া নিয়ে ব্রহ্মপুত্রে ঘুরছিলেন তাঁরা। এ সময় একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা এসে তাঁদের নৌকাটিকে ধাক্কা দিলে সেটি উল্টে যায়। স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আবদুর রহমান ও তাঁর স্ত্রীকে উদ্ধার করা গেলেও তাঁদের দুই মেয়ে নদীতে নিখোঁজ হয়। পরে সন্ধ্যার দিকে গুরুদয়াল সরকারি কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী নীলা আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী নীহা আক্তার রাতভর নিখোঁজ ছিল। আজ সকালে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হলো।
আরও পড়ুনপাকুন্দিয়ায় নৌকায় ঘুরতে গিয়ে পানিতে ডুবে কলেজছাত্রীর মৃত্যু, ছোট বোন নিখোঁজ১৭ ঘণ্টা আগেপাকুন্দিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সোহাগ হত্যাকাণ্ড আইনের শাসন প্রশ্নবিদ্ধ করেছে: ব্যারিস্টার আনিস
পুরোনো ঢাকার মিটফোর্ড (স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ) হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে (৩৯) নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনা আইনের শাসনকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।
দেশে আইনশৃঙ্খলা অবনতি ও সোহাগ হত্যার প্রতিবাদে শনিবার বিকালে গুলশানে জাতীয় পার্টির ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ব্যারিষ্টার আনিস বলেন, ‘‘রাজধানীর পুরান ঢাকায় ভাঙ্গারি ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনা নৃশংস, বর্বর, হৃদয়বিদারক। এই ঘটনায় পুরো দেশের মানুষ স্তব্ধ, ব্যথিত ও ক্ষুব্ধ। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কতটা খারাপ হলে দিনদুপুরে এমন অমানবিক ঘটনা ঘটতে পারে। একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের রাজধানীতে একজন নিরীহ নাগরিককে এভাবে জীবন দিতে হবে— এটা কল্পনাতীত।’’
তিনি বলেন, ‘‘শুধু পুরান ঢাকার হত্যাকাণ্ডই নয়, দেশে প্রতিনিয়ত এ ধরনের নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটছে। এমন অমানবিকতা, এমন হিংস্রতা আমাদের মানবিক মূল্যবোধ, সমাজের নৈতিকতা এবং আইনের শাসনকে চরমভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।’’
এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান ব্যারিস্টার আনিস।
সভায় দলের কো চেয়ারম্যান এবি এম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, ‘‘দেশের মানুষের জীবনের নিরাপত্তা এখন মারাত্মক হুমকির মুখে। যারা পুরান ঢাকায় প্রকাশ্যে ব্যবসায়ীকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তারা শুধু একজন মানুষকে হত্যা করেনি, তারা রাষ্ট্র ও সমাজের প্রতি আমাদের বিশ্বাসকেই রক্তাক্ত করেছে।’’
সাম্প্রতিক সময়ে দেশে হত্যা, ধর্ষণ চাঁদাবাজি ডাকাতি ছিনতাইসহ নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে জানিয়ে হাওলাদার বলেন, ‘‘সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত ও উদ্বিগ্ন। মানুষকে শান্তি দিতে হলে সরকারকে যে কোনো মূল্যে এ ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড কঠোর হাতে দমন করতে হবে।’’
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও মহানগর উত্তর সভাপতি শফিকুল ইসলাম সেন্টুর সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন সাবেক কো চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, প্রেসিডিয়াম সদস্য নাজমা আকতার, মহানগর উত্তরের নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন পাঠান, আমানত হোসেন,, দক্ষিণের নেতা সারফুদ্দিন আহমেদ শিপু, মাসুক আহমেদসহ জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতারা।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন//